সংবাদ শিরোনাম ::
গ্রাহকদের ‘নিখোঁজ’ দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা গায়েব
- নিজস্ব সংবাদ :
- আপডেট সময় ০৯:৫২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
- 133
আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান খবর:
কালের কন্ঠ:
গ্রাহকদের ‘নিখোঁজ’ দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা গায়েব
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, একই কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।
এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, নিজ কার্যালয়ের লেজার বই থেকে বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে ‘নিখোঁজ’ দেখিয়ে ১২ কোটি টাকার বেশি অর্থ গায়েব; যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ১০ কিলোমিটার বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ; গ্রাহকদের জন্য বিনা মূল্যে বরাদ্দ প্রি-পেইড মিটার থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায়।
নির্বাহী প্রকৌশলীর এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে বিউবো।
তবে তদন্ত কমিটিতে তৌহিদুল হাসান নামে এমন একজন সহকারী প্রকৌশলীকে রাখা হয়েছে, যাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রকৌশলীর কারণে কমিটির তদন্তকাজ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লেজার বই থেকে হিসাব ‘উধাও’
কালের কণ্ঠ’র এ প্রতিবেদকের কাছে বাজিতপুর বিউবো কার্যালয়ের লেজার বই থেকে ‘উধাও’ ২৮১ জন গ্রাহকের তথ্য থাকা কাগজপত্র এসেছে। এতে দেখা যায়, এসব গ্রাহকের কাছে পাওনা প্রায় ১১ কোটি ২৪ লাখ টাকার পুরোটাই উধাও।
এ ছাড়া বিউবোর তিন কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত মাসিক অপারেশন ডাটা বা এমওডি ফরমে আরো প্রায় এক কোটি টাকা গায়েবের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা নয়ছয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, উচ্চ পর্যায়ের বিভাগীয় তদন্তে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার অনিয়মের তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
বিউবোর ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের মাসিক অপারেশন ডাটা (এমওডি) ঘেঁটে জানা যায়, দুই মাসে অফিসের লেজার থেকে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ১৬ টাকা বাদ দেওয়া হয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ আলী, সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল হাসান ও উপসহকারী প্রকৌশলী লিটন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এই (এমওডি নং-৩১০/১) ফরম থেকে জানা যায়, মে মাসে বাদ দেওয়া হয় ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ১৭৭ টাকা ও জুনে বাদ দেওয়া হয় ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৯ টাকা।
সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ভুয়া গ্রাহকদের নামে বিল করে ‘সিস্টেম লস’ কমানোর চেষ্টার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, ‘সিস্টেম লস’ কমাতে নির্বাহী প্রকৌশলী ১১টি মসজিদের নামে ছয় লাখ ৭৭ হাজার ইউনিট বিল করেছেন। সাত টাকা ইউনিট হিসাবে এর মূল্য চার কোটি ৭৩ লাখ ৯ হাজার টাকার বেশি। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে এ টাকার পুরোটাই লেজার থেকে গায়েব করা হয়।
কালবেলা:
বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে চাপে পড়ছে বাজেট
দেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে সাড়ে ১১ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণের চাপ রয়েছে। এই ঋণ দেশি বা বিদেশি হোক, তা নির্দিষ্ট সময় শেষে সুদসহ পরিশোধের বিধান রয়েছে। এই পুঞ্জীভূত ঋণের একটা অংশ প্রতি মাসে সরকার এখন সুদ-আসলে পরিশোধও করছে। তবে দেশি ঋণ যখন খুশি সরকার শোধ দিতে পারে; কিন্তু বিদেশি ঋণে নির্দিষ্ট সময়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কারণে দিন যত পার হচ্ছে, এ ঋণ পরিশোধে সরকারের চাপও তত বাড়ছে।
এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) গত ৯ মাসেই বিদেশি ঋণের সুদ-আসল মিলিয়ে মোট ২৮ হাজার ২৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মধ্যে আসল ১৬ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। বাকি ১১ হাজার ৬০১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা সুদ বাবদ দিতে হয়েছে।
যদিও চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের আসল ২৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং সুদ পরিশোধ বাবদ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা মিলিয়ে মোট ৩৭ হাজার ৭৬ কোটি টাকা পরিশোধের লক্ষ্য নির্ধারণ করে
সরকার। এর অর্থ হচ্ছে, বাজেটে বৈদেশিক ঋণের দায় খাতে রাখা বরাদ্দের অর্থ দিয়ে চলতি অর্থবছরের বাকি ব্যয় সংকুলান হচ্ছে না। দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, এ কারণে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে সরকার ১৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রাথমিক বাজেটে বিদেশি ঋণের জন্য ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। অর্থাৎ সংশোধিত বাজেটে সেটি ৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণত বাংলাদেশের মতো কল্যাণমূলক উন্নয়নশীল দেশে সব সরকারেরই জনপ্রতিশ্রুতি থাকে। এ কারণে উন্নয়নের চাহিদাও বেশি হয়। বিশেষ করে এই বাস্তবতায় এ ধরনের দেশগুলোয় রাজনৈতিক সরকারের বড় বৈশিষ্ট্য হলো, কম আয়ে বেশি উন্নয়নের চেষ্টা। ফলে সরকার বিভিন্ন সময় উন্নয়ন চাহিদা পূরণে বাড়তি ব্যয়ের সঙ্গে আয়ের তাল মেলাতে প্রতি বছর যে বাজেট তৈরি করছে, তার ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ খাতের বাইরে বৈদেশিক বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ করে থাকে। দেশে সরকারের কাঁধে এখন যে ঋণের বোঝা, এটি তারই পুঞ্জীভূত আকার। যার ঋণ এখন প্রতি মাসেই সুদ-আসলে শোধ দিতে হচ্ছে। তবে বিদেশি ঋণে সুদ তুলনামূলক কম, পরিশোধের গ্রেস পিরিয়ডও বেশি। এ কারণে সরকার বিদেশি ঋণেই ঝুঁকছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধে ব্যয় করেছিল ১৬ হাজার ৯৬৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে আসল ছিল ১২ হাজার ২০২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। আর সুদ পরিশোধ করতে হয়েছিল ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরের যেখানে ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সুদ দিতে হয়েছিল, সেখানে চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে তার প্রায় আড়াই গুণ।
মানবজমিন:
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আইএটিএ’র
পাওনা ৩২ কোটি ডলার
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংগঠন (আইএটিএ)। বাংলাদেশের কাছে আইএটিএভুক্ত বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর পাওনা দাঁড়িয়েছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। পাওনা পরিশোধের তাগিদ দিয়ে সংস্থাটি বলছে, আকাশপথে যোগাযোগ কমিয়ে সীমিত করার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানিকে প্রভাবিত করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছে আইএটিএ। দেশটির কাছে সংস্থাভুক্ত বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার পাওনা। গত ২৪শে এপ্রিল এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে আইএটিএ।
বৈশ্বিক বিমান চলাচল শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী আন্তর্জাতিক সংগঠন আইএটিএ বিবৃতিতে অডিট ও আয়কর বাদ দেয়াসহ নানা জটিল প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতে একে সহজতর করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে প্রক্রিয়াটিতে অপ্রয়োজনীয় কোনো বিলম্ব না ঘটে। সংগঠনটি বলেছে, বাংলাদেশের ব্যবস্থা অধিকতর মানসম্মত। যদিও বেসামরিক বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সুবিধা সহজলভ্য করা প্রয়োজন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাজারে বিমান সংস্থাগুলোর পাওনা আছে ৭২ কোটি ডলার। এই অর্থ না পাওয়ায় তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। লিজ চুক্তি, খুচরা যন্ত্রাংশ, ওভারফ্লাইট ফি এবং জ্বালানির মতো ডলারনির্ভর খরচ মেটানোর জন্য বিভিন্ন দেশের কাছে এই পাওনা সময়মতো পরিশোধ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জোর দিয়ে তুলে ধরেন এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে আইএটিএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ।
তিনি আরও বলেন, এই পাওনা পরিশোধে বিলম্ব দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন এবং তাতে বিমান সংস্থার জন্য ঝুঁকির হার বৃদ্ধি করে।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে অবশ্যই কমপক্ষে ৭২ কোটি ডলার ছাড় দিতে হবে। তারা এই অর্থ আটকে রেখেছে। এটা পরিশোধ করতে হবে, যাতে বিমান কানেক্টিভিটি বজায় থাকে। ফিলিপ গোহ বলেন, তার সংগঠন এটা স্বীকার করে যে, এই দুটি সরকার কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বৈদেশিক মুদ্রাকে কীভাবে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নির্ধারণ করা তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, আকাশপথে কানেক্টিভিটি কমিয়ে সীমিত করার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানিকে প্রভাবিত করবে। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের হাতে আটকে থাকা এত বিপুল পরিমাণ অর্থের জরুরি সমাধান হওয়া উচিত।
দৈনিক সংপ্রাম
:ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শতাধিক স্পটে জামায়াতের খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে গতকাল শনিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া, খিলগাঁও, পল্টন, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, নিউমার্কেট, কলাবাগান, চকবাজার, ওয়ারী, কদমতলী, যাত্রাবাড়ী, ডেমরাসহ শতাধিক স্থানে তৃষ্ণার্ত পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
গেন্ডারিয়ায় পানি ও স্যালাইন বিতরণ: জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের গেন্ডারিয়া উত্তর থানার উদ্যোগে রাজধানীতে পথচারী ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামাল হোসাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেন। এসময় গেন্ডারিয়া উত্তর থানা আমীর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কলাবাগান এলাকায় পানি বিতরণ: জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলাবাগান পূর্ব থানার উদ্যোগে রাজধানীর হাতিরপুল, ইস্টার্ন প¬াজা ও কারওয়ান বাজার এলাকায় তীব্র গরমে রিক্সা ও সি এন জি চালক, পথচারী, ফুটপাতের ব্যবসায়ী সহ সাধারণ মানুষের মাঝে ঠান্ডা পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়। থানা সেক্রেটারি বিশিষ্ট আইনজীবী এড.আব্দুল বারী নেতৃত্বে এই কার্যক্রম উপস্থিত ছিলেন, থানার কর্মপরিষদ সদস্যগণ, বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
যাত্রাবাড়ীতে পানি বিতরণ: জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী উত্তর থানার ৪৯ নং দক্ষিণ ওয়ার্ডে উদ্যোগে তীব্র তাপদাহে রিকশা শ্রমিকদের মাঝে খাবার স্যালাইন ও ঠান্ডা পানি বিতরণ করা হয়।
কদমতলীতে পানি ও স্যলাইন বিতরণ: জামায়াতে ইসলামী কদমতলী থানার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য ও কদমতলী থানা আমীর মীর বাহার আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য থানা সেক্রেটারী মুহাম্মদ জুনাইদ ও কর্মপরিষদ সদস্য ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীলবৃন্দ।
শাহজাহানপুর এলাকায় পানি বিতরণ: জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার উদ্যোগে থানা আমীর মোঃ গিয়াস উদ্দীনের নেতৃত্বে মালিবাগ এলাকায় শ্রমজীবী ও সাধারণ পথচারীদের মাঝে বোতলজাত বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইনের প্যাকেট বিতরণ করা হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি মোঃ ইব্রাহীম খলীল মহসীনসহ থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা আমীর এম শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে শাহজাহানপুর পূর্ব থানার উদ্যোগে রাজারবাগ, আমতলাসহ বিভিন্ন স্পটে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলে মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারি মু. সারোয়ার হোসেনসহ থানার কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ।
যাত্রাবাড়ীতে পানি ও স্যালাইন বিতরণ: যাত্রাবাড়ী উত্তর থানার উদ্যোগে রাজধানীতে শ্রমজীবি ও পথচারীদের মাঝে শীতল পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে এই পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর, সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মতিঝিলে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ: জামায়াতে ইসলামী মতিঝিল পূর্ব থানার উদ্যোগে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও জোন পরিচালক সৈয়দ সিরাজুল হকের নেতৃত্বে কমলাপুর স্টেশন এলাকায় শ্রমজীবী মানুষের মাজে গণসংযোগ, বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর নুর মোহাম্মদ, থানা সেক্রেটারি খলিলুর রহমান সহ থানা ও ওয়ার্ডের দায়িত্বশীলবৃন্দ। অপরদিকে মতিঝিল দক্ষিণ থানার উদ্যোগে দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল সহ বিভিন্ন স্পটে মেহনতি শ্রমজীবী ও পথচারী মানুষের মাঝে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়। মহানগরী মজলিসে শূরার সদস্য ও মতিঝিল দক্ষিণ থানার আমীর মাওলানা মুতাছিম বিল্লাহর নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারীর ইমাম হোসেন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদশ প্রতিদিন:
জালিয়াতির দুর্বল কোম্পানিতে সর্বনাশ
দুর্বল কোম্পানিগুলোর নানা রকম জালিয়াতিতে সর্বনাশ হচ্ছে শেয়ারবাজারে। বিগত কয়েক বছরে তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানি এখন দেশের দুই শেয়ারবাজারের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরই নানা ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। কোনো কোনো কোম্পানি বছরের পর বছর উৎপাদনে না থাকলেও তার শেয়ারের দর বেড়েই চলেছে। ওইসব কোম্পানির পরিচালকরা নিজেরাই জড়িত হন শেয়ার কারসাজিতে। ছোট মূলধনি হওয়ায় এসব কোম্পানি ঘিরে শেয়ারবাজারে তৈরি হয়েছে কারসাজি চক্র। মূলত এসব সিন্ডিকেট ছোট ছোট কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করেই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলোর কারণে এখন শেয়ারবাজারে চরম অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্বল ও নামসর্বস্ব কোম্পানি তালিকাভুক্ত করে শেয়ারবাজার খালি করে দেওয়া হচ্ছে। ফলে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে শেয়ারবাজার থেকে বিগত দুই যুগে তালিকাচ্যুত হয়েছে মোট ৪০ কোম্পানি। এসব কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছিল। শেয়ারবাজার থেকে তালিকাচ্যুতির আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা না করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ সাধারণ বিনিয়োগকারী। এমারেল্ড অয়েল নামে একটি কোম্পানি ২০১৪ সালে তালিকাভুক্তির এক বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়েছে। শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে এক টাকাও বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়নি। বাজারে ২০১৪ সালে ১৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়। এর মধ্যে ১৬টির উৎপাদন বন্ধ। কখনো চালু হবে এমন সম্ভাবনাও নেই। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ কোনো বাছবিচার না করে এমন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করেছে। ২০১০ সালে ভয়াবহ ধসের পরও সতর্ক হয়নি কেউ। ওই সময় গঠিত কমিশন একের পর এক দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্তির অনুমোদন দিয়ে গেছে। গত ১৪ বছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি বৃহৎ মূলধনি। যেগুলো বাজার স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রেখেছে। সর্বস্তরে অভিযোগ, নামসর্বস্ব কিছু কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে টাকা নিয়ে এখন বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দিচ্ছে না। পরিচালকরা টাকা নিয়ে শেয়ার কারসাজিতে জড়িত হচ্ছেন। বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে কোম্পানির উৎপাদন। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ বন্ধ কোম্পানি চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ডিএসইর চিহ্নিত কোম্পানির মধ্যে রয়েছে-কে অ্যান্ড কিউ, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, ইমাম বাটন, দুলামিয়া কটন, বেক্সিমকো সিনথেটিক, সমতা লেদার, সরকারি মালিকানাধীন শ্যামপুর সুগার, জিল বাংলা সুগার, মেঘনা কনডেন্টস মিল্ক, বিডি ওয়েল্ডিং, জুট স্পিনার্স, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি অটোকারস, এমারেল্ড ওয়েল, বাংলাদেশ সার্ভিসেস লি., বিচ হ্যাচারি, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, হাক্কানি পাল্প, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মিথুন নিটিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, তাল্লু স্পিনিং, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, মুন্নু সিরামিক, মুন্নু স্টাফলার, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং। বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে সম্প্রতি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২২টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠিয়েছে। এসব কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজনে ব্যর্থতা, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে উৎপাদন বন্ধ ও পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন ছাড়িয়ে গেছে। কোম্পানিগুলো হলো-অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আরামিট সিমেন্ট, আজিজ পাইপস, ডেল্টা স্পিনার্স, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, জিবিবি পাওয়ার, ইনটেক লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কেয়া কসমেটিকস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, ন্যাশনাল টি কোম্পানি, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোম্পানি (বিডি), রিং শাইন টেক্সটাইলস, সাফকো স্পিনিং মিলস, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকা ডাইং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ইয়াকিন পলিমার ও জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএসইসি কিছু বন্ধ কোম্পানি বাজার থেকে তালিকাচ্যুত করার উদ্যোগ নিয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিন থেকে উৎপাদন বন্ধ সেগুলো তালিকাচ্যুত করা হবে। আর যেগুলো চালুর সম্ভাবনা রয়েছে সেসব ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) মার্কেটে পাঠানো হবে।
যুগান্তর:
ডেমু ট্রেন ব্যর্থতার দায় নিচ্ছে না কেউ, ৬৫০ কোটি টাকার স্বপ্নভঙ্গ
স্বপ্নের অত্যাধুনিক ডিজেল মালটিপল ইউনিট (ডেমু) প্রকল্পের ব্যর্থতার দায় নিচ্ছে না রেলের কেউ। প্রকল্পটি অনুমোদন, দরপত্র প্রক্রিয়া, ক্রয় প্রক্রিয়া এসবের প্রায় প্রতিটি ধাপে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ২০ সেট ডেমু শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে।
৩৫ বছর মেয়াদ থাকলেও প্রথম ২ বছর থেকেই অকেজো হওয়া শুরু। এখন কোনো অবস্থাতেই এগুলো মেরামত করা সম্ভব নয়। ডেমুর মালামাল স্থানীয়ভাবে কোথাও পাওয়া যায় না। চীন এগুলোকে একটি বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে চালাত। সেই সফটওয়্যারও নেই। যে কদিন ট্রেনগুলো চলাচল করেছে সে সময় মেরামতের পেছনে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে লোকসান হয়েছে আরও প্রায় ৩০ কোটি টাকা। সব মিলে ডেমু ট্রেনের পেছনে সরকারের ৬৫০ কোটি টাকার পুরোটাই জলে গেছে।
২০১৩ সালে নেওয়া প্রকল্পের পিডিসহ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু কর্মকর্তা অবসরে গেছেন। প্রকল্প তৈরির সময় রেলের মহাপরিচালক এবং তার পরের মহাপরিচালকও অবসরে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী এবং পরিকল্পনামন্ত্রী মারা গেছেন। কিছু কর্মকর্তা এখন চাকরিতে থাকলেও তাদের কেউ দায় নিচ্ছেন না।
এছাড়া বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছেন তারা বলছেন প্রকল্প গ্রহণ ক্রয়সহ এ সংক্রান্ত কাজের সময় তারা ছিলেন না। কেনার সময় অতি আগ্রহ এবং পরে যে কোনোভাবে দায় এড়ানোয় ডেমু প্রকল্পের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। এখন ট্রেনগুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার পাঁয়তারাও চলছে বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম যুগান্তরকে বলেন, ‘ডেমু ট্রেন নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। তবে ট্রেনগুলো আমি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কেনা হয়নি। যে মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময়ে ট্রেনগুলো কেনা হয়েছে তিনি আর নেই। তাছাড়া ডেমু কেনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কারা ছিলেন-সেটা আমার জানা নেই। কেনাকাটা এবং ডেমু প্রশিক্ষণে বিদেশে যেসব কর্মকর্তা গিয়েছিলেন, তাদের বিষয়েও আমি জানি না। তবে জবাবদিহি থাকা প্রয়োজন।’ এখন অকেজো ডেমুগুলোর কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ডেমু বিষয়ে আমি খুব একটা জানি না। তবে এ বিষয়ে আমি খোঁজ নেব।’
শুক্র ও শনিবার ২ দিন গোপনে ঢাকা রেলওয়ে লোকোশেডে ঘুরে দেখা যায়, শেডের দক্ষিণ পাশে সারি সারি ডেমু পড়ে আছে। গাছপালা, লতাপাতায় ভরা জায়গাটি ভূতুড়ে পরিবেশ। শত শত কোটি টাকার ডেমুতে গাছপালা গজিয়ে গেছে। দরজা খোলা, ভেতরে মলমূত্রও চোখে পড়েছে। সিট এবং ডেমুর সামনের (ইঞ্জিন) অংশ ভাঙাচুরা। মাকড়সা আর মরিচা পড়া প্রতিটি ডেমুতে যেন পচন ধরেছে। একেকটি ডেমু সেটে দুটি করে ইঞ্জিন। বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনে উঠে দেখা গেছে, মালটি ডিসপ্লেগুলো ভাঙাচুরা-ছেঁড়া। যেন একেকটা ডেমুর কঙ্কাল। শেডে দায়িত্বরত এক কর্মকর্তার ভাষ্য, ডেমুর কঙ্কালগুলো পড়ে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে ডেমু থেকে কোন যন্ত্রাংশগুলো হাওয়া হয়ে গেছে। এর জন্য দায়ী কে বা কারা তা শনাক্ত করাও সম্ভব হবে।
শেডটির ভেতর প্রায় ৭টি ডেমু পড়ে আছে। লতাপাতা আর গাছে ঢাকা বেশ কয়েকটি ডেমুর অংশ বিশেষ শুধু দেখা যাচ্ছিল। দক্ষিণ পাশের বিশাল এলাকাজুড়ে পড়ে থাকা ডেমুগুলোর উপরিভাগে শ্যাওলার আস্তর পড়েছে। শেডে দায়িত্বরত অপর এক কর্মকর্তা বলেন, ডেমুগুলো বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে। অবশিষ্ট ১২টি ডেমু চট্টগ্রাম এবং লালমনিরহাট শেডে পড়ে আছে। একটি মাত্র ডেমু চট্টগ্রাম দোহাজারী রুটে চলছে। সেও একদিন চলে এরপর ৪ দিন বন্ধ হয়ে থাকে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
রেলপথ সচিব ড. হুমায়ুন কবীর যুগান্তরকে বলেন, এখন ডেমু সেভাবে চলছে না। এটি যাত্রীবান্ধব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে তা হয়নি। ডেমুর বর্তমান অবস্থান নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আলোচনার পর নির্ধারণ করা হবে এ বিষয়ে কি করা যায়। এছাড়া ডেমু ক্রয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত ছিল, তাদের অবস্থান আমার জানা নেই। এ প্রকল্পে যারা বিদেশে গিয়েছিলেন, নিশ্চয় তাদের জবাবদিহিতা থাকবে। জবাবদিহি থাকা প্রয়োজন।
সচিব আরও বলেন, রেলে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়নের সুফল যাতে সাধারণ মানুষ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডেমুর মতো ট্রেনগুলো সচল থাকলে কম দূরত্বের রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে পর্যাপ্ত ট্রিপ দেওয়া যেত। এদিকে অকেজো ডেমু ট্রেনের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যুগান্তরের হাতে এসেছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গঠিত ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা হয়েছে গত বছরের ১১ মে। তদন্ত রিপোর্টের সুপারিশে বলা হয়, ডেমু কিছুতেই মেরামত করা সম্ভব নয়। এতে ব্যবহৃত মডিউল, সেন্সর আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ না হলে মেরামত হবে না। চীনা ঠিকাদারি কোম্পানির কাছ থেকেই শুধু ওই সব যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করতে হবে, কারণ ওই সব যন্ত্রপাতি শুধু তারাই দিতে পারবে। এ বিষয়ে চীনের সিআরআরসিকে আহ্বান করা যেতে পারে। সুপারিশে আরও বলা হয়, ডেমু মেরামত বিষয়ে রেলওয়ের পরিপূর্ণ কারিগরি সক্ষমতা গড় উঠেনি। এ জন্য ডেমু বিষয়ে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন পরামর্শক জরুরি। কমিটির এক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, ডেমু ক্রয় থেকে দেশে চলাচল শুরু পর্যন্ত পুরো সময়েই অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে গেছে। পুরো অর্থটাই জলে গেছে।
প্রথম আলো:
পরিবেশ উপযোগী নয়, এমন গাছে ভরে আছে রাজধানী
রাজধানী ঢাকায় দিন দিন গাছপালা কমছে। কমছে জলাভূমি। গাছপালা কাটা হলেও লাগানো হচ্ছে কম। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কিছু কিছু গাছ লাগালেও বেশির ভাগই বিদেশি এবং আগ্রাসী প্রজাতির। লাগানোর পরিবল্পনা রয়েছে চরাঞ্চলের ঝাউজাতীয় গাছও। এসব গাছ ঢাকার পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, সেটি বিবেচনার চেয়ে সৌন্দর্যবর্ধনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে এসব গাছ ঢাকার তাপমাত্রা কমাতে সহায়তা করছে না।
অথচ ঢাকার লাল মাটিতে শাল, চালতা, সিন্দুরির মতো প্রজাতির গাছ ভালো হয়। পরিবেশের সঙ্গেও মানানসই। কিন্তু গত এক দশকে এসব প্রজাতির একটি গাছও কেউ লাগায়নি। ভবিষ্যতেও লাগানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
প্রকৃতিবিদ ও উদ্ভিদবিদেরা বলছেন, দেশজুড়ে চলছে দাবদাহ। রাজধানীতে এর প্রভাব অনেক বেশি। ঢাকায় গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে তা স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, ভবিষ্যতে এটি কতটুকু ফল বয়ে আনবে—এসব বিবেচনা করতে হবে। ভবিষ্যতে ঢাকার পরিবেশে আরও বেশি প্রভাব পড়তে পারে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা নগরে গাছের বৈচিত্র্য নিয়ে গত ডিসেম্বরে একটি গবেষণা হয়েছে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, এসব এলাকার ৫৮ শতাংশ গাছই বিদেশি প্রজাতির। শোভাবর্ধক উদ্ভিদ আছে ৩৩ শতাংশ।
গত বুধবার সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের দুই পাশে বনসাইয়ের সারি। নিকুঞ্জ থেকে র্যাডিসন হোটেল পর্যন্ত এসব গাছ রয়েছে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে চীন ও তাইওয়ান থেকে এনে ২০১৭ সালে সওজ এসব গাছ লাগিয়েছিল। তবে পরিবেশ ও উদ্ভিদবিদদের প্রবল বিরোধিতার মুখে এসব দামি গাছ লাগানোর কাজ আর এগোয়নি।
নয়াদিগন্ত:
তাপপ্রবাহে মুরগি খামার ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি
– ১০ দিনে খামারিদের ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
– চিটা হচ্ছে ধান মুকুলেই ঝরছে ফল
টানা তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের খামার ও কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে অনেক খামারি ভয়ানক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। অনেক খামারি লোকসান করে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার কথাও ভাবছেন।
এ অবস্থায় প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার গতকাল সন্ধ্যায় জানান, গত ১০ দিনে প্রায় ১০ লাখ মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা গেছে। যার ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি টাকা। প্রতিদিন ১ লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। যার ৮০ শতাংশ ব্রয়লার, ১০-১৫ শতাংশ লেয়ার ও সোনালি এবং বাকি ৫ শতাংশ দেশী মুরগি। তার মতে, হিটস্ট্রোকে সব থেকে বেশি মুরগির মৃত্যুর হার নরসিংদীতে। এ অঞ্চলে গত ১২ দিনে প্রায় তিন লাখ মুরগি মারা গিয়েছে। এর পর ময়মনসিংহে, গাজীপুর অঞ্চলে ২ লাখ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১ লাখ ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ৫০ হাজার, যশোর ১ লাখ ৫০ হাজার, পাবনায় ৫০ হাজার, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ মুরগি মারা গেছে। চলমান পরিস্থিতিতে দেশের মুরগি ও ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ভয়ানক পরিস্থিতিতে ডিম ও মুরগি উৎপাদন কমেছে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত।
সুমন হাওলাদার অভিযোগ করেন, দেশে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার খামার ছিল। কিন্তু লোকসান গুনতে গুনতে ক্ষুদ্র খামারিরা পথে বসেছেন। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এই ক্ষুদ্র খামারিদের স্বার্থ দেখে না। তারা শুধু করপোরেট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ দেখেন। ক্ষুদ্র খামারিদের ভালোমন্দ দেখলে বর্তমান খামার সংখ্যা ৬ লাখে পৌঁছতো। কিন্তু, সেটা এখন কমতে কমতে ৬০ হাজারে নেমেছে। সুমন হাওলাদার জানান, বর্তমানে যে অবস্থা তাতে আগামীতে আরো ১৫-২০ হাজার খামার বন্ধ হয়ে যাবে। গোশত ও ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পরিচালক (সম্প্রসারণ) ডা: মো: শাহীনুর আলম জানান, হিটস্ট্রোকের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কন্ট্রোল রুম খুলেছে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব রাখা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা এ্যানিম্যাল প্রডাকশন অফিসার আলী রেজা গতকাল সন্ধ্যায় জানান, গত তিন দিন ধরে (২৫,২৬ ও ২৭ এপ্রিল) আমরা হিসাব রাখছি। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩১৩ টি মুরগি মারা যাওয়ার তথ্য আছে। এর মধ্যে ব্রয়লার ও লেয়ারের সংখ্যাই বেশি।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা বলছেন, তবে, এখন পর্যন্ত কোনো গরু বা অন্য কোনো গবাদিপশু মারা যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: রেয়াজুল হককে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: ইমরান হোসেন জানান, হিটস্ট্রোকে এখন পর্যন্ত ১০-১৫টি গরু মারা যাওয়ার তথ্য আছে আমাদের কাছে। তবে, মারা যাওয়ার চাইতে এই গরমে গরুর প্রচুর মিস-ক্যারেজ-এর ঘটনা ঘটছে। তিনি জানান, প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে দুগ্ধজাত গরুর ওলান শুকিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশ দুধের উৎপাদন কমে গেছে। আসছে কোরবানি উপলক্ষে খামারে যেসব গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়, প্রতিদিন ১ কেজি করে গরুর ওজন বাড়ার কথা। এ রকমই হয়। কিন্তু, ওজন বাড়া তো দূরের কথা, আরো যেন কমছে। ফলে এখানেও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দিনে তিন চার বার গোসল করিয়ে গরু সুস্থ রাখা যাচ্ছে না। ক্ষুরারোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা যাচ্ছে।
এ দিকে রেকর্ড ভঙ্গ করা তাপমাত্রায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি খাত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশাখে এটাই স্বাভাবিক। তবে এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ধানসহ আমাদের কৃষি এ তাপমাত্রার সাথে সহনশীল নয়। ফলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে কৃষিতে।
বনিকর্বাতা:
দেশের নিট এফডিআই কত, ৩.২৫ নাকি ১.৬৫ বিলিয়ন ডলার?
নিট প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের দুই তথ্য পার্থক্য প্রায় ৫০%
বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহ নিয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি প্রতিবেদনেও গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণের তথ্য দেয়া হয়েছে দুই ধরনের। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ও বিদেশী বিনিয়োগসংক্রান্ত অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন ‘ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এক্সটার্নাল ডেবটে’ (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) দেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরে নিট এফডিআই প্রবাহ দেখানো হয়েছে প্রায় ৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। আর অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো নিয়ে গত মার্চে প্রকাশিত সর্বশেষ ‘মেজর ইকোনমিক ইন্ডিকেটরস: মান্থলি আপডেট’ প্রতিবেদনে ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) অংশে নিট এফডিআই দেখানো হয়েছে প্রায় ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের। সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত পদ্ধতিগত পার্থক্যের কারণেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই প্রতিবেদনে নিট এফডিআইয়ের তথ্যে এ ব্যবধান দেখা যাচ্ছে। একইভাবে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাবায়নেও বড় ধরনের পার্থক্য তৈরি করছে পদ্ধতিগত ভিন্নতা।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক রূপান্তরে প্রত্যক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এফডিআই। আশির দশক-পরবর্তী সময়ে ভিয়েতনাম, চীন, মেক্সিকো ও ভারতের মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় অবদান রেখেছে। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে বড় প্রভাবকের ভূমিকা রাখে এফডিআই। যদিও এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত প্রতিবেশী মিয়ানমারও বাংলাদেশের তুলনায় বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের দিক থেকে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশে নিট এফডিআই জিডিপির ১ শতাংশেরও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এফডিআই ও বিদেশী ঋণসংক্রান্ত অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল ৩২৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ইকুইটি মূলধন ৭৯ কোটি ৫৯ লাখ ডলার, পুনর্বিনিয়োগকৃত আয় ২৩৭ কোটি ৫ লাখ ডলার ও আন্তঃকোম্পানি ঋণ ৮ কোটি ৩২ লাখ ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের নিট এফডিআই প্রবাহের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে ইকুইটি মূলধন ১৩৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, পুনর্বিনিয়োগকৃত আয় ২০৪ কোটি ৪৮ লাখ ডলার ও আন্তঃকোম্পানি ঋণ ৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। মূলত ইকুইটি মূলধন কমে যাওয়ার কারণেই ২০২২-২৩ অর্থবছরে এর আগের বছরের তুলনায় দেশে নিট এফডিআই প্রবাহ কমেছে। ইকুইটি মূলধন কমে যাওয়ার অর্থ হলো দেশে নতুন বিনিয়োগ আসছে না।
এ প্রতিবেদনে নিট এফডিআই হিসাব করা হয়েছে মোট এফডিআই (গ্রস) থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের পরিমাণকে বাদ দিয়ে। গত অর্থবছরে দেশে গ্রস এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ৪৪২ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এ সময়ে মূলধন প্রত্যাবাসন, বিপরীতমুখী বিনিয়োগ, মূল কোম্পানিকে প্রদত্ত ঋণ ও আন্তঃকোম্পানি ঋণ পরিশোধ বাবদ ১১৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ হিসাবের ভিত্তিতে দেশে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
দেশরুপান্তর:
হিট স্ট্রোকের চিকিৎসা জানা নেই কারওপ্রতিদিনের মতো গত সোমবার রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর বকশীবাজারের আবদুল আওয়াল (৪৫)। প্রচন্ড গরমে বকশীবাজারের কাছেই ঢাকা নার্সিং কলেজের পেছনের রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়ে যান তিনি। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের ধারণা তিনি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
বগুড়ার শেরপুরে গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বাড়ির পাশের জমিতে ঘাস কাটতে যান কৃষক মো. আবদুস ছালাম (৬০)। কাজ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি জমিতেই জ্ঞান হারান এবং তার মৃত্যু হয়। স্থানীয় চিকিৎসকরা তার মৃত্যুর জন্য হিট স্ট্রোককে দায়ী করেন।
আবদুল আওয়াল কিংবা আবদুস ছালামই নন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্র (১৯ এপ্রিল) থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় সারা দেশেই তাপপ্রবাহ বইছে। নয়টি অঞ্চলে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। এমতাবস্থায় দেশে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট বা ‘তাপ সতর্কতা’ জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলতি মাসে এ নিয়ে টানা চতুর্থ দফায় ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হলো। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই। এপ্রিল মাসের শেষেও তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বরং এ প্রবাহ মে মাসের ২-৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয়ভাবে কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
ট্যাগস :
আজকের প্রত্রিকা
জনপ্রিয় সংবাদ