ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিট হাইকোর্টে খারিজ

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

রায় ঘোষণার আট বছর এবং রিট আবেদনের তিন যুগ (৩৬ বছর) পর হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ১৯৮৮ সালে অর্থাৎ ২৮ বছর আগে করা রিট আবেদন ২০১৬ সালে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই রিটে আবেদনকারীর আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) নেই।

২০১৬ সালের ২৮ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

আট বছর আগে দেওয়া ওই রায়ের ৫২ পৃষ্ঠার অনুলিপি প্রকাশের তথ্য বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জানা গেছে। রিটটি খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি ঐক্যমতে পৌঁছান। তবে রায়ে পৃথক পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারপতিরা।

আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক।

রিটের বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত বলেন, রিট আবেদনটি ওই সংগঠনের পক্ষে করা হয়েছে। ওই সংগঠনের লোকাস স্ট্যান্ডি নেই। রিট সরাসরি খারিজ। পরে ওইদিন সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে তাঁরা আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ।

জনপ্রিয় সংবাদ

গুমের সঙ্গে জড়িত কেউ রাজনীতিতে ফিরতে পারবে না: প্রেস সচিব

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা রিট হাইকোর্টে খারিজ

আপডেট সময় ১০:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করেনি।

রায় ঘোষণার আট বছর এবং রিট আবেদনের তিন যুগ (৩৬ বছর) পর হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চ্যালেঞ্জ করে ১৯৮৮ সালে অর্থাৎ ২৮ বছর আগে করা রিট আবেদন ২০১৬ সালে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেলেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই রিটে আবেদনকারীর আবেদনের এখতিয়ার (লোকাস স্ট্যান্ডি) নেই।

২০১৬ সালের ২৮ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

আট বছর আগে দেওয়া ওই রায়ের ৫২ পৃষ্ঠার অনুলিপি প্রকাশের তথ্য বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জানা গেছে। রিটটি খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি ঐক্যমতে পৌঁছান। তবে রায়ে পৃথক পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বিচারপতিরা।

আদালতে রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক।

রিটের বিষয়ে শুনানি শেষে আদালত বলেন, রিট আবেদনটি ওই সংগঠনের পক্ষে করা হয়েছে। ওই সংগঠনের লোকাস স্ট্যান্ডি নেই। রিট সরাসরি খারিজ। পরে ওইদিন সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে তাঁরা আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারই ধারাবাহিকতায় ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি। তাদের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ।