ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা Logo নারী শিক্ষার্থীকে দুই ঘণ্টা আটকে হয়রানির অভিযোগ ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Logo ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জকসু নীতিমালা পাশের দাবি জবি শিবিরের Logo আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ল টাইগাররা Logo মৌলভীবাজারে অগ্নিকাণ্ডে সব হারানো সেই হিন্দু পরিবারের পাশে জামায়াত নেতা Logo ১৫ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ হাজার ২০২ কোটি টাকা Logo বন কর্মকর্তার ১৭ বিয়ে: আদালতে মামলা, পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ Logo আজ থেকে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন আসর Logo বাঁচা-মরার লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে টাইগাররা

সন্দেহ হয়, হঠাৎ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কেন মাতামাতি: প্রধানমন্ত্রী

সন্দেহ হয়, হঠাৎ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কেন মাতামাতি: প্রধানমন্ত্রী

হঠাৎ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা নির্বাচন বয়কট, ভোট চুরি ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক। আসল কথা হলো, এরা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আজ শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং- যত রকমের অপকর্ম বাংলাদেশ ছিল সেগুলো থেকে তো বাংলাদেশকে মুক্ত করেছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট ছিল সেটা থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে দেশকে এনেছি। দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন? সন্দেহ হয় রে…এটাই বলতে হয়- সন্দেহ হয় রে। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচনটাকে বানচাল করে দেওয়া। তিনি আরো বলেন, যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, অবাধে সে টাকা খরচ করে যাচ্ছে তারা। আমি স্পষ্ট বলে এসেছি।

কেন? ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম। রক্ত দিয়ে, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আমাকে ভোটের অধিকার শেখাতে হবে না উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা তো সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি। এমন নয় যে নতুন এসেছি। স্কুল জীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রাম করছি।

আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আসার পর আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগকে তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। কাজের মধ্যে দিয়ে আস্থা অর্জন করি আমরা।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের নেতারা, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানদের হারিয়ে সুপার ফোর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা

সন্দেহ হয়, হঠাৎ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কেন মাতামাতি: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৩৪:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩

হঠাৎ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে মাতামাতি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা নির্বাচন বয়কট, ভোট চুরি ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শোনা দুর্ভাগ্যজনক। আসল কথা হলো, এরা নির্বাচন বানচাল করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে আজ শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং- যত রকমের অপকর্ম বাংলাদেশ ছিল সেগুলো থেকে তো বাংলাদেশকে মুক্ত করেছি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেশনজট ছিল সেটা থেকে আমরা উদ্ধার করেছি। একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে দেশকে এনেছি। দেশটা যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সবার এত মাতামাতি কেন? সন্দেহ হয় রে…এটাই বলতে হয়- সন্দেহ হয় রে। আসল কথা হচ্ছে নির্বাচনটাকে বানচাল করে দেওয়া। তিনি আরো বলেন, যারা জানে নির্বাচন করে জনগণের ভোট পাবে না, তারা সব জায়গায় গিয়ে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। কারণ তাদের তো কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতায় থেকে এত বেশি টাকা মানি লন্ডারিং এবং এত বেশি টাকার মালিক হয়ে গেছে, অবাধে সে টাকা খরচ করে যাচ্ছে তারা। আমি স্পষ্ট বলে এসেছি।

কেন? ভোটের জন্য তো আমরা সংগ্রাম করলাম। রক্ত দিয়ে, আমার নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার অর্জন করে দিয়েছি। আমাকে ভোটের অধিকার শেখাতে হবে না উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমরা তো সেই আইয়ুব খানের আমল থেকে আন্দোলন করি, রাস্তায় থাকি। এমন নয় যে নতুন এসেছি। স্কুল জীবন থেকেই রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রাম করছি।

আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে করেছি, ইয়াহিয়া খানের বিরুদ্ধে করেছি। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া সবই তো ভোট চোর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ আসার পর আওয়ামী লীগের তো ভোট চুরি করা লাগে না। আওয়ামী লীগকে তো জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়। কাজের মধ্যে দিয়ে আস্থা অর্জন করি আমরা।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান ও যুক্তরাজ্য সফরের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, আওয়ামী লীগের নেতারা, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।