ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বল হাতে ফিরেই উজ্জ্বল আমির

চার বছর পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের বোলিং তোপে নাস্তানাবুদ হয়েছে কিউইরা। মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর তারা ম্যাচটি ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হয়েছে একেবারে একপেশে। তারুণ্য নির্ভর কিউইরা শুরু থেকেই শাহিন-আমিরদের সামনে দাঁড়াতে হিমশিম খেয়েছেন। তাদের হয়ে চারজন কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্র ১৯ রান এসেছে মার্ক চাপম্যানের ব্যাটে। বিপরীতে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ১৩ রানে শাহিন ৩ উইকেট এবং ১৩ রানে আমির ২ উইকেট শিকার করেন।

জবাবে রানতাড়ায় বাবর আজমের দলের তেমন বেগ পাওয়ার কথা ছিল না। তবে মসৃণও হয়নি স্বাগতিকদের শুরুটা। মাত্র ৪ রানেই ফেরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। পেসার বেন লিস্টারের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ক্ল্যাসিক ব্যাটার। এরপর বাবর ক্রিজে বেশ কিছুক্ষণ থাকলেও, তিনি টি-টোয়েন্টি মেজাজে ছিলেন না। ১৩ বলে ১৪ করেই মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে স্টাম্পিং হয়ে যান। দ্রুত সময়ে ফিরেছেন আরব আমিরাত ছেড়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে নামা উসমান খান। ইশ সোধির বলে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ইনিংসে মাত্র ৭ রান করে তিনি বোল্ড হয়ে যান।

তবে প্রতিপক্ষের রানের গণ্ডি কম থাকায় হয়তো সেভাবে ভাবনায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে। তার ওপর ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দেখেশুনে রান তুলে তিনি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৩৪ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। আর এর মাধ্যমে এই পাক উইকেটরক্ষক ব্যাটার দুর্দান্ত একটি মাইলফলকও পূর্ণ করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে দ্রুততম তিন হাজার রান পূর্ণ করেছেন রিজওয়ান, এর মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলি ও স্বদেশি সতীর্থ বাবরকে।

এছাড়া রিজওয়ানকে শেষদিকে সঙ্গ দিয়েছেন চলতি সিরিজে অভিষেক হওয়া ইরফান খান। যদিও তিনি স্ট্রাইক রোটেট করেননি, খেলেছেন ১৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস। আর তাতেই ১২.১ ওভারে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। কিউইদের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন লিস্টার, সোধি ও ব্রেসওয়েল।

এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে দফায় দফায় বিঘ্ন হয়েছিল, সেই শঙ্কা ছিল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও। তবে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি এদিন, রোদ্রোজ্জ্বল দিনের পর সন্ধ্যায় নেমে সফরকারীরা হোঁচট খেয়েই সিরিজ শুরু করল। যদিও একটি করে ছয়-চারে ভিন্ন কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন ওপেনার টিম সেইফার্ট, তবে সেখানেই শেষ। ১২ করেই শাহিনের বলে তার বিদায়। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। সেইফার্ট ছাড়া তাদের হয়ে দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়া ব্যাটাররা হচ্ছেন— ডিন ফক্সপোর্ট (১৩), মার্ক চাপম্যান (১৯) ও কোল ম্যাককঞ্চি (১৫)। যার ফলে ১৮.১ ওভারেই তারা ৯০ রানে গুটিয়ে যায়।

শাহিন ও আমির ছাড়া পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন আবরার আহমেদ ও শাদাব খান। এছাড়া নাসিম শাহ নেন এক উইকেট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বল হাতে ফিরেই উজ্জ্বল আমির

আপডেট সময় ১২:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪

চার বছর পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ আমিরের বোলিং তোপে নাস্তানাবুদ হয়েছে কিউইরা। মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর তারা ম্যাচটি ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে।

শনিবার (২১ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি হয়েছে একেবারে একপেশে। তারুণ্য নির্ভর কিউইরা শুরু থেকেই শাহিন-আমিরদের সামনে দাঁড়াতে হিমশিম খেয়েছেন। তাদের হয়ে চারজন কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্র ১৯ রান এসেছে মার্ক চাপম্যানের ব্যাটে। বিপরীতে পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ১৩ রানে শাহিন ৩ উইকেট এবং ১৩ রানে আমির ২ উইকেট শিকার করেন।

জবাবে রানতাড়ায় বাবর আজমের দলের তেমন বেগ পাওয়ার কথা ছিল না। তবে মসৃণও হয়নি স্বাগতিকদের শুরুটা। মাত্র ৪ রানেই ফেরেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। পেসার বেন লিস্টারের বলে তাকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ক্ল্যাসিক ব্যাটার। এরপর বাবর ক্রিজে বেশ কিছুক্ষণ থাকলেও, তিনি টি-টোয়েন্টি মেজাজে ছিলেন না। ১৩ বলে ১৪ করেই মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে স্টাম্পিং হয়ে যান। দ্রুত সময়ে ফিরেছেন আরব আমিরাত ছেড়ে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে নামা উসমান খান। ইশ সোধির বলে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ইনিংসে মাত্র ৭ রান করে তিনি বোল্ড হয়ে যান।

তবে প্রতিপক্ষের রানের গণ্ডি কম থাকায় হয়তো সেভাবে ভাবনায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে। তার ওপর ক্রিজে ছিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দেখেশুনে রান তুলে তিনি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ৩৪ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। আর এর মাধ্যমে এই পাক উইকেটরক্ষক ব্যাটার দুর্দান্ত একটি মাইলফলকও পূর্ণ করেছেন। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে দ্রুততম তিন হাজার রান পূর্ণ করেছেন রিজওয়ান, এর মাধ্যমে তিনি পেছনে ফেলেছেন বিরাট কোহলি ও স্বদেশি সতীর্থ বাবরকে।

এছাড়া রিজওয়ানকে শেষদিকে সঙ্গ দিয়েছেন চলতি সিরিজে অভিষেক হওয়া ইরফান খান। যদিও তিনি স্ট্রাইক রোটেট করেননি, খেলেছেন ১৮ বলে ১৮ রানের ইনিংস। আর তাতেই ১২.১ ওভারে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের। কিউইদের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন লিস্টার, সোধি ও ব্রেসওয়েল।

এর আগে প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে দফায় দফায় বিঘ্ন হয়েছিল, সেই শঙ্কা ছিল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও। তবে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি এদিন, রোদ্রোজ্জ্বল দিনের পর সন্ধ্যায় নেমে সফরকারীরা হোঁচট খেয়েই সিরিজ শুরু করল। যদিও একটি করে ছয়-চারে ভিন্ন কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন ওপেনার টিম সেইফার্ট, তবে সেখানেই শেষ। ১২ করেই শাহিনের বলে তার বিদায়। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কিউইরা। সেইফার্ট ছাড়া তাদের হয়ে দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়া ব্যাটাররা হচ্ছেন— ডিন ফক্সপোর্ট (১৩), মার্ক চাপম্যান (১৯) ও কোল ম্যাককঞ্চি (১৫)। যার ফলে ১৮.১ ওভারেই তারা ৯০ রানে গুটিয়ে যায়।

শাহিন ও আমির ছাড়া পাকিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন আবরার আহমেদ ও শাদাব খান। এছাড়া নাসিম শাহ নেন এক উইকেট।