বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের হোগলারচর গ্রামে অবস্থিত পৃথিবীর সব থেকে ছোট পাঞ্জেগানা মসজিদ। দৈর্ঘ্যে সাড়ে ৫ ফুট আর প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট আয়তনের এই মসজিদে একসঙ্গে মাত্র দু’জন মুসল্লি আদায় করতে পারেন নামাজ। যদিও এখানে হয়না ৫ ওয়াক্তের নামাজ, তবে যারা আসেন তারা আদায় করেন নফল কিংবা মানতের নামাজ।
স্থানীয়দের মতে, কম হলেও ৪ থেকে ৫শ’ বছরের পুরনো মসজিদ এটি। আয়তনে দেশেরতো বটেই, পৃথিবীর অন্য কোথাও এত ছোট মসজিদ নেই বলে দাবি এলাকাবাসীর। এক সঙ্গে দুইজন ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে পারেন এই পাঞ্জেগানা মসজিদে। এর প্রবেশের দরজার উচ্চতা মাত্র সাড়ে ৩ ফুট। দুপাশে রয়েছে ছোট দুটি জানালা। এই মসজিদটিতে একটি গম্বুজও রয়েছে।
ঠিক কত বছর আগে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে তার সঠিক কোন ইতিহাস পাওয়া না গেলেও স্থানীয়দের মতে, এর বয়স কম করে হলেও ৫০০ বছর। মসজিদটির নির্মাণ নিয়েও রয়েছে নানা মত আর বক্তব্য। কেউ কেউ বলেন এটা গায়েবি মসজিদ। কোন এক রাতে মাটি ফুঁড়ে বের হয়েছে। কারো মতে, এক রাতের মধ্যে গায়েবি নির্দেশে নির্মিত হয়েছে এই মসজিদ। তবে পুরাতাত্ত্বিকদের ধারণা, পর্তুগিজ আমলে এটি নির্মিত। মসজিদের নকশায় তেমনই ছাপ পাওয়া যায় এখানে।
বরিশাল নগরী থেকে সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মসজিদ দেখতে প্রায় প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন পর্যটকরা। তাদের মানত আর দানের টাকায় চলে মসজিদের ছোট-খাট সংস্কার আর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ।
হায়দ্রাবাদের জিন মসজিদ নয়, বরিশালের এই গায়েবি মসজিদকে দেওয়া হোক পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মসজিদের স্বীকৃতি, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।