ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর

সাভারের পাড়া-মহল্লায় শতাধিক কিশোর গ্যাং

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান সংবাদ:

যুগান্তর:

সাভারের পাড়া-মহল্লায় শতাধিক কিশোর গ্যাং

নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর

কিশোরদের হাতে এক মাসে চার খুন * ‘অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন দলীয় নেতারা স্থানীয় নেতাকর্মীরা দুই দশক আগেও নিজেদের শক্তি ও অবস্থান জানান দিতে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিতেন। তখন গুলি করে হত্যার প্রবণতা ছিল সর্বোচ্চ। এসব ঘটনায় অনেক নেতাকর্মীকে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়।

তাই জটিলতা এড়াতে তারা এখন পাড়া-মহল্লায় তৈরি করেছেন কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন অনৈতিক স্বার্থ হাসিলে তারা এদের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন। কারণ, কিশোর অপরাধে আইনের দিক থেকে অনেকটাই ছাড় পাওয়া যায়। এজন্য এখন নেতাকর্মীরা কিশোরদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ডিস ও নেট ব্যবসা, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, অস্ত্রবাজি ও উত্ত্যক্তসহ খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন।

এদের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতাই সমাজে কিশোর অপরাধ পর্যায়ক্রমে বেড়ে চলেছে বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম।

গত এক মাসে সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ৪টি খুন হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন নামে অন্তত শতাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। এসব গ্যাংয়ে স্কুল পড়ুয়া ও সদ্য কলেজে পা দেওয়া ছাত্রদের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া ১৮-২৫ বছর বয়সি তরুণও এসব গ্যাংয়ে রয়েছে। শতাধিক গ্যাংয়ে সদস্য রয়েছে ২ হাজারের বেশি।

১৬ এপ্রিল রাতে চাঁদা উত্তোলনে বাঁধা দেয় সাভার পৌর কামাল গার্মেন্টস এলাকার বাসিন্দা রিফাত। এ কারণে কিশোর গ্যাং লিডার হৃদয়ের সহযোগী সোহাগ, রিপন ও জাহিদ রিফাতকে ছুরিকাঘাত করে। রিফাতের চিৎকারে স্থানীয় তারেক (২২), সাগর (৪০) ও রাশেদ (৩০) এগিয়ে এলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইল হারানোর দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালের ৯ জুলাই সাভার সুপার ক্লিনিকের সামনে কিশোর গ্যাং হৃদয় গ্রুপের সদস্যরা আকাশ মাহমুদ নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় র‌্যাব ওই গ্রুপের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা সবাই সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারী।

আতিক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে। উঠতি বয়সি ছেলেদের দলে ঠাঁই দেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন টিপু ও সাভার সদর ইউনিয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল।

মূলত এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ডিস ও নেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, অস্ত্রবাজি, উত্ত্যক্তসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে আধিপত্য বজায় রাখতে তারা কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন। চাঁদাবাজির একটি অংশও ব্যয় হয় গ্যাংয়ের সদস্যের পেছনে।

কালবেলা:

সাত দিনের ডিজি হয়ে হাতিয়ে নেন সাড়ে ৭ কোটি অসুস্থতার কারণে গত বছরের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। সেই ৯ দিন অধিদপ্তরের শীর্ষপদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। এর মধ্যে অবশ্য দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করেন সাত দিন। আর এটুকু সময়েই ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বকালে এক দিনেই ছাড় করেন মাল্টিপল পাসপোর্টের ৫০০ ফাইল। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রতিটি ফাইল অনুমোদনের জন্য নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। সব মিলিয়ে এই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) সরাসরি কর্মকর্তা সেলিনা বানু পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা এডিজির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসন বিভাগের এডিজির পদটি শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই বিভাগের এডিজির দায়িত্বও পালন করছেন। পুরো অধিদপ্তরে তার ওপরে শুধু প্রেষণে আসা মহাপরিচালক রয়েছেন। অধিদপ্তরে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তার কথাতেই চলে সবকিছু। অনিয়ম-দুর্নীতিতে এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের নির্দেশনাও অমান্য করে নিজের মতো ডিআইপির কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পেয়েই দীর্ঘদিন আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের ফাইলগুলো ছাড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। অধিদপ্তরে তার সিন্ডিকেটে থাকা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ফাইলগুলো অনুমোদন দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করতে পাঠানো হয়। প্রতি পাসপোর্ট থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়ে তা সিন্ডিকেটে ভাগবাটোয়ারা হয়। কথিত আছে, ওই সময়ে পাসপোর্ট ভবনের তলায় তলায় ‘কোরবানি ঈদ’ চলেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত হলেও বিষয়টি রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন।

এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্টকে মাল্টিপল পাসপোর্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকেই বিদ্যমান পাসপোর্টের তথ্য গোপন রেখে নতুন করে পাসপোর্টের আবেদন করেন। তবে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মেলানোর সময় তা আটকে যায়। আবার অনেকে প্রকাশ্যেই তথ্য পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন। তখন কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের অন্তত ১২ হাজার আবেদন তদন্তের জন্য জমা পড়ে আছে। এসব আবেদন যাচাই করে পুলিশের বিশেষ শাখার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে আবেদনকারীর বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও রয়েছে; কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এডিজি সেলিনা বানু অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিপত্র জারি করে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এরপর নিজের ক্ষমতাবলে টাকার বিনিময়ে পছন্দমতো ফাইল ছাড় করেন।

সমকাল:

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই বড় চ্যালেঞ্জ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশে কোনো জাতীয় প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি। আদালতে গিয়ে সবাই সমান বিচার বা পুলিশের কাছে গিয়ে সবাই সমান সেবা পান কিনা– তা নিয়ে সন্দেহ আছে। একাত্তরে স্বাধীনতা লাভের পর যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেও বাংলাদেশ তা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা আজ দৃশ্যমান নয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং ড. রওনক জাহান সম্পাদিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে গবেষণা সংস্থা সিপিডির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো রওনক জাহান। সমাপনী বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানে বইটির লেখকরা সশরীরে ও অনলাইনে যুক্ত হয়ে তাদের লেখার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়নে অনেক ফাঁক আছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, বিচারালয়ে গিয়ে সবাই কি সমান বিচার পান? পুলিশের কাছে গেলে সবাই কি সমান আচরণ পান? ব্যাংকে গিয়ে সবাই কি ঋণ পুনঃতপশিলের সুযোগ পান? তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি। নির্বাচন কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশনের কথাই বলি– সর্বক্ষেত্রে একই অবস্থা চলছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ না হওয়ায় সুশাসনে সমস্যা তৈরি করছে; সমস্যা তৈরি করছে রাজনীতিতেও।’

গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে বলতে গিয়ে রেহমান সোবহান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক উত্তরণ নিয়েও কথা আছে। ছিয়ানব্বইয়ের প্রেক্ষাপটে যখন রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়, তখন সব কিছু ভালোই ছিল। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, অবাধ ও সর্বজন-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এসেছিল। নির্বাচনের এ প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে– কীভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে করা যায়। গত নির্বাচনের বিষয়টি বাদ দিলে পাকিস্তান এবং নেপাল বাংলাদেশের এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রচলন করেছিল।

 

নয়াদিগন্ত:

তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ, আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বর এবং হিটস্ট্রোকে। এই গরমে বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ভুগছে। কয়েক দিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহে বেড়েছে চরম অস্বস্তি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম হচ্ছে এবং এতে শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা। ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য সুপরিচিত আইসিডিডিআরবির সব হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। এই হাসপাতালের একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগীই শিশু, যারা ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

এদিকে অব্যাহত তাপদাহের মধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এর মধ্যে টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে বছরের এই সময়ে এমনিতেই চরম গরম থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ায় বেড়ে যায় তাপমাত্রা। বাড়তে বাড়তে তাপ উঠে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। কোনো কোনো সময় তাপমাত্রা আরো বেশি উঠে যায়। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ‘বৈশাখ মাসের এ সময় বাতাসে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে তা দিয়ে মেঘ তৈরি হয় না বলে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতও হয় না। বৃষ্টি হতে না পারলে বেড়ে যায় গরম।’ তিনি বলেন, এ সময় বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প আসে না, যেটুকু জলীয়বাষ্প আসে তা থেকে বৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় না। তবে মাঝে মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে কিছু বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে তেমন সহায়তা করে না। ঘণ্টা কয়েক পরই আবার বেড়ে যায়। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো কমপক্ষে এক সপ্তাহ থাকার আশঙ্কা আছে। এর মধ্যে হয়তো কিছুটা কমতেও পারে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হলে। তবে দেশব্যাপী ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েক দিনে নেই। গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। থার্মোমিটারের কাঁটায় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠলেও মানুষের মধ্যে তাপমাত্রার অনুভূতি কিন্তু ৪০ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আরব দেশের মরুভূমিতে এ সময়ে এ ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করে থাকে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা যশোরের মতো না হলেও এখানে গরমের অনুভূতি অনেক বেশি। ঢাকা শহরে গতকাল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এটা আবহাওয়ার আগারগাঁও অফিসের তাপমাত্রা। ঢাকার আরো কিছু জায়গা আছে যেখানে দুপুরবেলা কাঠফাটা রোদ ওঠে। রাস্তার পিচ নরম হয়ে যায়। যেমন মতিঝিল ও এর আশপাশের তাপমাত্রা এমন হয়ে থাকে। গরমে মাথা বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে।

প্রথম আলো:

মন্ত্রী–এমপিদের স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে থাকা মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও তাঁদের স্বজনেরা সময় নিতে চাইছেন।

● ইতিমধ্যে আ.লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের দলের এই নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন।

● এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি।

দলের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের দলের এই নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন। এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে থাকা মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও তাঁদের স্বজনেরা সময় নিতে চাইছেন।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়নকাজ না করার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এসব খবরসহ নানা বিভেদের তথ্য দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ডেকে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন বলে দলটির সূত্রগুলো বলছে।

আগামী ৮ মে প্রথম পর্বে ১৫০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে প্রথম পর্বে ১৪টি উপজেলায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্য পর্বের নির্বাচনেও অনেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্য তাঁদের স্বজনদের প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাচনের চার পর্বের জন্যই প্রযোজ্য বলে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁরা নিজ নিজ বিভাগে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

মানবজমিন:

নিয়ন্ত্রণহীন সড়ক-মহাসড়ক সড়কে ব্যয় হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বাস্তবায়ন হচ্ছে একের পর এক বড় প্রকল্প। তারপরও কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা। বরং আগের চেয়ে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। পঙ্গুত্ববরণ করেও পরিবারের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকছেন অনেকে। সম্প্রতি পরপর দু’দিন দুটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ফের আলোচনায় নিরাপদ সড়ক। মঙ্গলবার ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরদিন বুধবার ঝালকাঠিতে অটোরিকশা, প্রাইভেটকারকে পিষে দেয় অতিরিক্ত লোডের ট্রাক। এতেও ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। পৃথক দু’টি দুর্ঘটনার পরেই সামনে আসে যানবাহন ও চালকের নানা ত্রুটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে দেশের সড়ক-মহাসড়ক। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ সব ক্ষেত্রে রয়েছে ত্রুটি আর গাফিলতি। দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মহাসড়কে দুর্ঘটনার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে এমন অবৈধ যানবাহন দায়ী। এ ছাড়া যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, অদক্ষ চালকের হাতে ভারী যানবাহন চালানোয় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলায় বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৫ জনের প্রাণ যাওয়ার পর জানা যায়, দুর্ঘটনায় পড়া বাসটির ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট ছিল না। যে পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি যাত্রী পরিবহন করা হয়েছিল যা একেবারেই নিষিদ্ধ। পিকআপের সেই যাত্রীদের প্রাণহানি ঘটে। আর ঝালকাঠি জেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় দুর্ঘটনায় ১৪ মৃত্যুর পর জানা যায়, যে ট্রাকটি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারকে পিষে দেয় সেই ট্রাকের চালকের লাইসেন্স ছিল হালকা শ্রেণির। অর্থাৎ ট্রাক চালানোর লাইসেন্সই ছিল না তার। আর ট্রাকের সক্ষমতার চেয়ে ৭ টন বেশি মাল বোঝাই করা ছিল।

কালের কন্ঠ:

গরমে হাসপাতালে রোগী বেড়েছে ৩০% দিন দশেক ধরে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সারা দেশে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে কথা বলে জানা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।

বেশির ভাগ রোগী সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি ও পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের প্রবণতাও বাড়ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাইখ আবদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদের আগে দিনে গড়ে রোগী আসত ২০০-এর মতো। এখন ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

দুর্নীতি অতিধনী তৈরির কারখানা ♦ কোনো কার্যকর প্রতিষ্ঠান নেই : রেহমান সোবহান ♦ সস্তা শ্রমের অর্থনীতির ফাঁদে দেশ : হোসেন জিল্লুর রহমান ♦ ভবিষ্যৎ বন্ধক রেখে উন্নয়ন হচ্ছে : জাহিদ হোসেন দুর্নীতি এখন অতিধনী তৈরির কারখানা হিসেবে গড়ে উঠেছে। দেশে গরিবের উন্নতি হচ্ছে শামুকের গতিতে আর ধনীর উন্নতি রকেট গতিতে। কৃষি, তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নতি প্রথাগতভাবে, বিস্ময়কর গতিতে নয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজধানীতে গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাংলাদেশের ৫০ বছর নিয়ে ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ : ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন সিপিডির চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রওনক জাহান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো রওনক জাহান। বক্তৃতা করেন সিপিডির ফাউন্ডিং চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান, সম্মাননীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ আখতার মাহমুদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের (সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, আইএলওর সাবেক উপদেষ্টা ড. রিজওয়ানুল ইসলাম, ব্রুনাইয়ের দারুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইফতেখারুল ইকবাল, ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক ও লেখক ড. সেলিম জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি প্রফেসর ড. ফকরুল আলম, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ড. সোহেলা নাজনীন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফেরদৌস আজিম ও দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের এমডি মাহরুখ মহিউদ্দিন।

বনিকবার্তা: ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য বানাতে আজ জাতিসংঘে ভোট জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদনের ওপর আজ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১১ সালে প্রথম এ আবেদন করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে বারবারই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে ফিলিস্তিনিরা সদস্যপদ পাওয়ার আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করে।

ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে তাদের এ আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। পূর্ণ সদস্য না হলেও ফিলিস্তিন ২০১২ সালে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে।

কূটনীতিকরা জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ স্থানীয় সময় আজ বেলা ৩টার দিকে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোট অনুষ্ঠান করবে। এ প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে যে ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হোক।’

নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব পাস হতে এর পক্ষে অন্তত নয়টি ভোট প্রয়োজন এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের কোনো ভেটো পড়া যাবে না। কূটনীতিকরা অবশ্য বলছেন, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ জাতিসংঘ সদস্য করার পক্ষে সমর্থন জানাতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য। তবে প্রস্তাবটি আটকানোর জন্য শেষ পর্যন্ত ভেটো দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে আলজেরিয়া। দেশটি এ প্রস্তাবের ওপর গতকাল বিকালে ভোট অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে ওই একই সময় মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠক থাকায় তা একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে আঞ্চলিক ব্লক আরব গ্রুপ মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রতি তাদের ‘অটল সমর্থন’ নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক রেজল্যুশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সদস্যপদ ন্যায়সংগত এবং সঠিক পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

যুক্তরাষ্ট্র যদিও বলছে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত, জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বুধবার বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস করেই যে আমরা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে এগোনোর মতো একটি অবস্থানে পৌঁছতে পারব তেমন সম্ভাবনা দেখি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি যে বার্তা দিলো হেফাজত আমির

নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর

সাভারের পাড়া-মহল্লায় শতাধিক কিশোর গ্যাং

আপডেট সময় ০৮:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আজকের প্রত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান সংবাদ:

যুগান্তর:

সাভারের পাড়া-মহল্লায় শতাধিক কিশোর গ্যাং

নিয়ন্ত্রণে ছাত্রলীগ, চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর

কিশোরদের হাতে এক মাসে চার খুন * ‘অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন দলীয় নেতারা স্থানীয় নেতাকর্মীরা দুই দশক আগেও নিজেদের শক্তি ও অবস্থান জানান দিতে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিতেন। তখন গুলি করে হত্যার প্রবণতা ছিল সর্বোচ্চ। এসব ঘটনায় অনেক নেতাকর্মীকে আইনি জটিলতায় পড়তে হয়।

তাই জটিলতা এড়াতে তারা এখন পাড়া-মহল্লায় তৈরি করেছেন কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন অনৈতিক স্বার্থ হাসিলে তারা এদের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছেন। কারণ, কিশোর অপরাধে আইনের দিক থেকে অনেকটাই ছাড় পাওয়া যায়। এজন্য এখন নেতাকর্মীরা কিশোরদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি, জমি দখল, ডিস ও নেট ব্যবসা, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, অস্ত্রবাজি ও উত্ত্যক্তসহ খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছেন।

এদের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতাই সমাজে কিশোর অপরাধ পর্যায়ক্রমে বেড়ে চলেছে বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক সামসুল আলম সেলিম।

গত এক মাসে সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ৪টি খুন হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সাভার ও আশুলিয়ায় বিভিন্ন নামে অন্তত শতাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। এসব গ্যাংয়ে স্কুল পড়ুয়া ও সদ্য কলেজে পা দেওয়া ছাত্রদের সংখ্যাই বেশি। এছাড়া ১৮-২৫ বছর বয়সি তরুণও এসব গ্যাংয়ে রয়েছে। শতাধিক গ্যাংয়ে সদস্য রয়েছে ২ হাজারের বেশি।

১৬ এপ্রিল রাতে চাঁদা উত্তোলনে বাঁধা দেয় সাভার পৌর কামাল গার্মেন্টস এলাকার বাসিন্দা রিফাত। এ কারণে কিশোর গ্যাং লিডার হৃদয়ের সহযোগী সোহাগ, রিপন ও জাহিদ রিফাতকে ছুরিকাঘাত করে। রিফাতের চিৎকারে স্থানীয় তারেক (২২), সাগর (৪০) ও রাশেদ (৩০) এগিয়ে এলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় চার জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইল হারানোর দ্বন্দ্বে ২০২৩ সালের ৯ জুলাই সাভার সুপার ক্লিনিকের সামনে কিশোর গ্যাং হৃদয় গ্রুপের সদস্যরা আকাশ মাহমুদ নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় র‌্যাব ওই গ্রুপের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে। তারা সবাই সাভার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারী।

আতিক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবের পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে। উঠতি বয়সি ছেলেদের দলে ঠাঁই দেন সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন টিপু ও সাভার সদর ইউনিয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল।

মূলত এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ডিস ও নেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, ছিনতাই, অপহরণ, মারামারি, অস্ত্রবাজি, উত্ত্যক্তসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে আধিপত্য বজায় রাখতে তারা কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন। চাঁদাবাজির একটি অংশও ব্যয় হয় গ্যাংয়ের সদস্যের পেছনে।

কালবেলা:

সাত দিনের ডিজি হয়ে হাতিয়ে নেন সাড়ে ৭ কোটি অসুস্থতার কারণে গত বছরের ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)। সেই ৯ দিন অধিদপ্তরের শীর্ষপদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু। এর মধ্যে অবশ্য দুদিন ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পালন করেন সাত দিন। আর এটুকু সময়েই ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ বনে গেছেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বকালে এক দিনেই ছাড় করেন মাল্টিপল পাসপোর্টের ৫০০ ফাইল। নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা প্রতিটি ফাইল অনুমোদনের জন্য নিয়েছেন দেড় লাখ টাকা করে। সব মিলিয়ে এই কর্মকর্তা হাতিয়ে নিয়েছেন কমপক্ষে সাড়ে ৭ কোটি টাকা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের এনফোর্সমেন্ট টিম সেলিনা বানুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) সরাসরি কর্মকর্তা সেলিনা বানু পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বা এডিজির দায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসন বিভাগের এডিজির পদটি শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওই বিভাগের এডিজির দায়িত্বও পালন করছেন। পুরো অধিদপ্তরে তার ওপরে শুধু প্রেষণে আসা মহাপরিচালক রয়েছেন। অধিদপ্তরে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হওয়ায় তার কথাতেই চলে সবকিছু। অনিয়ম-দুর্নীতিতে এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, অনেক সময় তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগের নির্দেশনাও অমান্য করে নিজের মতো ডিআইপির কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সেলিনা বানু ভারপ্রাপ্ত ডিজির দায়িত্ব পেয়েই দীর্ঘদিন আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের ফাইলগুলো ছাড় করাতে তোড়জোড় শুরু করেন। অধিদপ্তরে তার সিন্ডিকেটে থাকা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ফাইলগুলো অনুমোদন দিয়ে পাসপোর্ট প্রিন্ট করতে পাঠানো হয়। প্রতি পাসপোর্ট থেকে দেড় লাখ টাকা করে নিয়ে তা সিন্ডিকেটে ভাগবাটোয়ারা হয়। কথিত আছে, ওই সময়ে পাসপোর্ট ভবনের তলায় তলায় ‘কোরবানি ঈদ’ চলেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবগত হলেও বিষয়টি রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ রয়েছেন।

এক ব্যক্তির নামে একাধিক পাসপোর্টকে মাল্টিপল পাসপোর্ট হিসেবে অভিহিত করা হয়। অনেকেই বিদ্যমান পাসপোর্টের তথ্য গোপন রেখে নতুন করে পাসপোর্টের আবেদন করেন। তবে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মেলানোর সময় তা আটকে যায়। আবার অনেকে প্রকাশ্যেই তথ্য পরিবর্তন করার জন্য আবেদন করেন। তখন কাগজপত্র যাচাই ও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, এ ধরনের অন্তত ১২ হাজার আবেদন তদন্তের জন্য জমা পড়ে আছে। এসব আবেদন যাচাই করে পুলিশের বিশেষ শাখার তদন্ত প্রতিবেদন ইতিবাচক হলে আবেদনকারীর বিপরীতে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষাসেবা বিভাগ থেকে সে ধরনের নির্দেশনাও রয়েছে; কিন্তু সেই নির্দেশনা অমান্য করে প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বে থাকা এডিজি সেলিনা বানু অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক পরিপত্র জারি করে আটকে থাকা মাল্টিপল পাসপোর্টের আবেদনের বিষয়ে জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এরপর নিজের ক্ষমতাবলে টাকার বিনিময়ে পছন্দমতো ফাইল ছাড় করেন।

সমকাল:

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই বড় চ্যালেঞ্জ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশে কোনো জাতীয় প্রতিষ্ঠান ঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি। আদালতে গিয়ে সবাই সমান বিচার বা পুলিশের কাছে গিয়ে সবাই সমান সেবা পান কিনা– তা নিয়ে সন্দেহ আছে। একাত্তরে স্বাধীনতা লাভের পর যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেও বাংলাদেশ তা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক ভারসাম্য ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা আজ দৃশ্যমান নয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং ড. রওনক জাহান সম্পাদিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ: ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে গবেষণা সংস্থা সিপিডির কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো রওনক জাহান। সমাপনী বক্তব্য দেন সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। অনুষ্ঠানে বইটির লেখকরা সশরীরে ও অনলাইনে যুক্ত হয়ে তাদের লেখার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়নে অনেক ফাঁক আছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিয়ে প্রশ্ন আছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, বিচারালয়ে গিয়ে সবাই কি সমান বিচার পান? পুলিশের কাছে গেলে সবাই কি সমান আচরণ পান? ব্যাংকে গিয়ে সবাই কি ঋণ পুনঃতপশিলের সুযোগ পান? তাঁর ভাষায়, ‘আমাদের কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি। নির্বাচন কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশনের কথাই বলি– সর্বক্ষেত্রে একই অবস্থা চলছে। প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ না হওয়ায় সুশাসনে সমস্যা তৈরি করছে; সমস্যা তৈরি করছে রাজনীতিতেও।’

গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে বলতে গিয়ে রেহমান সোবহান বলেন, আমাদের রাজনৈতিক উত্তরণ নিয়েও কথা আছে। ছিয়ানব্বইয়ের প্রেক্ষাপটে যখন রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়, তখন সব কিছু ভালোই ছিল। বিচারপতি হাবিবুর রহমানের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ, অবাধ ও সর্বজন-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় এসেছিল। নির্বাচনের এ প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে– কীভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে করা যায়। গত নির্বাচনের বিষয়টি বাদ দিলে পাকিস্তান এবং নেপাল বাংলাদেশের এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রচলন করেছিল।

 

নয়াদিগন্ত:

তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মানুষ, আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বর এবং হিটস্ট্রোকে। এই গরমে বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি ভুগছে। কয়েক দিন ধরে চলমান তাপপ্রবাহে বেড়েছে চরম অস্বস্তি। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় প্রচুর ঘাম হচ্ছে এবং এতে শরীরে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা। ডায়রিয়ার চিকিৎসার জন্য সুপরিচিত আইসিডিডিআরবির সব হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। এই হাসপাতালের একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগীই শিশু, যারা ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

এদিকে অব্যাহত তাপদাহের মধ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এর মধ্যে টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়। জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে বছরের এই সময়ে এমনিতেই চরম গরম থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ায় বেড়ে যায় তাপমাত্রা। বাড়তে বাড়তে তাপ উঠে যায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। কোনো কোনো সময় তাপমাত্রা আরো বেশি উঠে যায়। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ‘বৈশাখ মাসের এ সময় বাতাসে যে পরিমাণ জলীয়বাষ্প থাকে তা দিয়ে মেঘ তৈরি হয় না বলে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতও হয় না। বৃষ্টি হতে না পারলে বেড়ে যায় গরম।’ তিনি বলেন, এ সময় বঙ্গোপসাগর থেকে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প আসে না, যেটুকু জলীয়বাষ্প আসে তা থেকে বৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয় না। তবে মাঝে মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে কিছু বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাতে তেমন সহায়তা করে না। ঘণ্টা কয়েক পরই আবার বেড়ে যায়। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো কমপক্ষে এক সপ্তাহ থাকার আশঙ্কা আছে। এর মধ্যে হয়তো কিছুটা কমতেও পারে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হলে। তবে দেশব্যাপী ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েক দিনে নেই। গতকাল বৃহস্পতিবারও দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। থার্মোমিটারের কাঁটায় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠলেও মানুষের মধ্যে তাপমাত্রার অনুভূতি কিন্তু ৪০ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আরব দেশের মরুভূমিতে এ সময়ে এ ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করে থাকে। ঢাকা শহরের তাপমাত্রা যশোরের মতো না হলেও এখানে গরমের অনুভূতি অনেক বেশি। ঢাকা শহরে গতকাল ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এটা আবহাওয়ার আগারগাঁও অফিসের তাপমাত্রা। ঢাকার আরো কিছু জায়গা আছে যেখানে দুপুরবেলা কাঠফাটা রোদ ওঠে। রাস্তার পিচ নরম হয়ে যায়। যেমন মতিঝিল ও এর আশপাশের তাপমাত্রা এমন হয়ে থাকে। গরমে মাথা বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে।

প্রথম আলো:

মন্ত্রী–এমপিদের স্বজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে থাকা মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও তাঁদের স্বজনেরা সময় নিতে চাইছেন।

● ইতিমধ্যে আ.লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের দলের এই নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন।

● এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি।

দলের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকেরা নিজ নিজ বিভাগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের দলের এই নির্দেশ জানাতে শুরু করেছেন। এরপরও কেউ ভোট থেকে সরে না দাঁড়ালে বহিষ্কারসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পরও উপজেলা নির্বাচনের মাঠে থাকা মন্ত্রী-সংসদ সদস্য ও তাঁদের স্বজনেরা সময় নিতে চাইছেন।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিজের ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়নকাজ না করার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিবের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এসব খবরসহ নানা বিভেদের তথ্য দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ডেকে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেন বলে দলটির সূত্রগুলো বলছে।

আগামী ৮ মে প্রথম পর্বে ১৫০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে প্রথম পর্বে ১৪টি উপজেলায় মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যান্য পর্বের নির্বাচনেও অনেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্য তাঁদের স্বজনদের প্রার্থী করার ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত উপজেলা নির্বাচনের চার পর্বের জন্যই প্রযোজ্য বলে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁদেরকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁরা নিজ নিজ বিভাগে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

মানবজমিন:

নিয়ন্ত্রণহীন সড়ক-মহাসড়ক সড়কে ব্যয় হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বাস্তবায়ন হচ্ছে একের পর এক বড় প্রকল্প। তারপরও কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা। বরং আগের চেয়ে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে। পঙ্গুত্ববরণ করেও পরিবারের বোঝা হয়ে বেঁচে থাকছেন অনেকে। সম্প্রতি পরপর দু’দিন দুটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ফের আলোচনায় নিরাপদ সড়ক। মঙ্গলবার ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটে। পরদিন বুধবার ঝালকাঠিতে অটোরিকশা, প্রাইভেটকারকে পিষে দেয় অতিরিক্ত লোডের ট্রাক। এতেও ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। পৃথক দু’টি দুর্ঘটনার পরেই সামনে আসে যানবাহন ও চালকের নানা ত্রুটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে দেশের সড়ক-মহাসড়ক। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ সব ক্ষেত্রে রয়েছে ত্রুটি আর গাফিলতি। দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মহাসড়কে দুর্ঘটনার পেছনে অনেক ক্ষেত্রে এমন অবৈধ যানবাহন দায়ী। এ ছাড়া যানবাহনের ফিটনেস না থাকা, অদক্ষ চালকের হাতে ভারী যানবাহন চালানোয় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলায় বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৫ জনের প্রাণ যাওয়ার পর জানা যায়, দুর্ঘটনায় পড়া বাসটির ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট ছিল না। যে পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে সেটি যাত্রী পরিবহন করা হয়েছিল যা একেবারেই নিষিদ্ধ। পিকআপের সেই যাত্রীদের প্রাণহানি ঘটে। আর ঝালকাঠি জেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় দুর্ঘটনায় ১৪ মৃত্যুর পর জানা যায়, যে ট্রাকটি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারকে পিষে দেয় সেই ট্রাকের চালকের লাইসেন্স ছিল হালকা শ্রেণির। অর্থাৎ ট্রাক চালানোর লাইসেন্সই ছিল না তার। আর ট্রাকের সক্ষমতার চেয়ে ৭ টন বেশি মাল বোঝাই করা ছিল।

কালের কন্ঠ:

গরমে হাসপাতালে রোগী বেড়েছে ৩০% দিন দশেক ধরে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সারা দেশে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে কথা বলে জানা গেছে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রোগী বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।

বেশির ভাগ রোগী সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি ও পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরমে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস বা জন্ডিসের প্রবণতাও বাড়ছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাইখ আবদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ঈদের আগে দিনে গড়ে রোগী আসত ২০০-এর মতো। এখন ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

দুর্নীতি অতিধনী তৈরির কারখানা ♦ কোনো কার্যকর প্রতিষ্ঠান নেই : রেহমান সোবহান ♦ সস্তা শ্রমের অর্থনীতির ফাঁদে দেশ : হোসেন জিল্লুর রহমান ♦ ভবিষ্যৎ বন্ধক রেখে উন্নয়ন হচ্ছে : জাহিদ হোসেন দুর্নীতি এখন অতিধনী তৈরির কারখানা হিসেবে গড়ে উঠেছে। দেশে গরিবের উন্নতি হচ্ছে শামুকের গতিতে আর ধনীর উন্নতি রকেট গতিতে। কৃষি, তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নতি প্রথাগতভাবে, বিস্ময়কর গতিতে নয়। এ ছাড়া দ্বিতীয় প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজধানীতে গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাংলাদেশের ৫০ বছর নিয়ে ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ : ইকোনমি, পলিটিকস, সোসাইটি অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বইটি সম্পাদনা করেছেন সিপিডির চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. রওনক জাহান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো রওনক জাহান। বক্তৃতা করেন সিপিডির ফাউন্ডিং চেয়ারম্যান প্রফেসর রেহমান সোবহান, সম্মাননীয় ফেলো প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ আখতার মাহমুদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের (সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, আইএলওর সাবেক উপদেষ্টা ড. রিজওয়ানুল ইসলাম, ব্রুনাইয়ের দারুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইফতেখারুল ইকবাল, ব্র্যাকের চেয়ারপারসন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক ও লেখক ড. সেলিম জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি প্রফেসর ড. ফকরুল আলম, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো ড. সোহেলা নাজনীন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফেরদৌস আজিম ও দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের এমডি মাহরুখ মহিউদ্দিন।

বনিকবার্তা: ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য বানাতে আজ জাতিসংঘে ভোট জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যরাষ্ট্র হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদনের ওপর আজ নিরাপত্তা পরিষদে ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১১ সালে প্রথম এ আবেদন করা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়ে বারবারই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে ফিলিস্তিনিরা সদস্যপদ পাওয়ার আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করে।

ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য বছরের পর বছর চেষ্টা চালিয়ে আসছে। তবে তাদের এ আর্জি প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেতে হবে এবং তারপর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এর পক্ষে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। পূর্ণ সদস্য না হলেও ফিলিস্তিন ২০১২ সালে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে।

কূটনীতিকরা জানান, ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ স্থানীয় সময় আজ বেলা ৩টার দিকে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে ভোট অনুষ্ঠান করবে। এ প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে যে ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হোক।’

নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রস্তাব পাস হতে এর পক্ষে অন্তত নয়টি ভোট প্রয়োজন এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের কোনো ভেটো পড়া যাবে না। কূটনীতিকরা অবশ্য বলছেন, ফিলিস্তিনকে পূর্ণ জাতিসংঘ সদস্য করার পক্ষে সমর্থন জানাতে পারে নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য। তবে প্রস্তাবটি আটকানোর জন্য শেষ পর্যন্ত ভেটো দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে আলজেরিয়া। দেশটি এ প্রস্তাবের ওপর গতকাল বিকালে ভোট অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে ওই একই সময় মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠক থাকায় তা একদিন পিছিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে আঞ্চলিক ব্লক আরব গ্রুপ মঙ্গলবার একটি বিবৃতি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের আবেদনের প্রতি তাদের ‘অটল সমর্থন’ নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিক রেজল্যুশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের সদস্যপদ ন্যায়সংগত এবং সঠিক পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

যুক্তরাষ্ট্র যদিও বলছে, সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে সরাসরি আলোচনার মধ্য দিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়া উচিত, জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়। এ বিষয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বুধবার বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস করেই যে আমরা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে এগোনোর মতো একটি অবস্থানে পৌঁছতে পারব তেমন সম্ভাবনা দেখি না।