ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অস্তিত্ব রক্ষায় রংপুরে পার্টি অফিস পাহারা দিচ্ছেন জাপা নেতাকর্মীরা Logo মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ Logo যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে: খামেনি Logo সরকার কোনো গোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের কমিটি ঘোষণা Logo মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে ৭ দিনের সময় দিল ইসকন Logo তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেবেন সোহেল তাজ Logo আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা Logo নারী ফুটবলারদের সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : আসিফ মাহমুদ Logo ট্রাম্পের মন্তব্যের‘স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর’হাত আছে -বাংলাদেশ সরকারের প্রেসসচিব

তীব্র দাবদাহে চার্জার ফ্যান-এসির দোকানে উপচে পড়া ভীড়

দেশজুড়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র এই গরমে স্বস্তি খুঁজতে ক্রেতারা ছুটছেন চার্জার ফ্যান-এসির দোকানে। পণ্যগুলোর বিক্রি বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে দামও।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা যায়, চার্জার ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান কিনতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে চার্জার ফ্যানের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

বাজারে বর্তমানে চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া ১২ ইঞ্চির স্ট্যান্ড ফ্যান ৪ হাজার ৫০০ টাকা, আকারভেদে সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ৩১০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় চার্জার ফ্যানের দাম অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরাও।

ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ বলেন, গরম আসায় চার্জার ফ্যানের বিক্রি বাড়ছে। এছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান এগুলোও বিক্রি হচ্ছে। তবে কোম্পানি থেকে দাম বাড়ায় আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাসায় ব্যবহারের জন্য একটি চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, এই গরমে একটা চার্জার ফ্যান দরকার, তাই কিনতে আসা। কিন্তু দাম এতো বেশি যে কিনবো কি না, সে চিন্তা করছি।

চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসি এবং আইপিএসেরও। ওয়ালটন শোরুম ঘুরে দেখা যায়, দেড় টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকা, এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকায়।

এদিকে যমুনা ইলেকট্রনিকসের শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ইনভার্টারসহ দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ হাজার টাকায় ও একটন এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৯ হাজার টাকায়। অপরদিকে ইনভার্টার ছাড়া দেড় টন এসির বিক্রয়মূল্য ৫৭ হাজার টাকা ও এক টন এসির বিক্রয়মূল্য ৪২ হাজার টাকা।

এছাড়া যমুনায় চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২৪৪ টাকায় ও সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০ টাকায়।

এদিকে চাহিদার তালিকায় রয়েছে আইপিএসও। বাজারে বিভিন্ন ধরনের আইপিএসের মধ্যে বহুল পরিচিত হলো রহিমা আফরোজ, লুমিনাস কোম্পানির আইপিএস।

বাসাবাড়ির ব্যবহারের চাহিদা অনুযায়ী মূলত আইপিএস বিক্রি হয়ে থাকে। তিনটি ফ্যান ও পাঁচটি লাইট ব্যবহার হিসেবে রহিমা আফরোজের আইপিএসের সর্বনিম্ন মূল্য হচ্ছে ৩২ হাজার টাকা। ব্যবহার আরো কম হলে খরচ কম পড়বে।

অপরদিকে একই সক্ষমতার ব্যবহারে লুমিনাস আইপিএসের খরচ পড়বে ৩০ হাজার টাকা, যা চাহিদা অনুযায়ী বাড়বে বা কমবে।

ট্যাগস :

অস্তিত্ব রক্ষায় রংপুরে পার্টি অফিস পাহারা দিচ্ছেন জাপা নেতাকর্মীরা

তীব্র দাবদাহে চার্জার ফ্যান-এসির দোকানে উপচে পড়া ভীড়

আপডেট সময় ০৭:৪০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

দেশজুড়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র এই গরমে স্বস্তি খুঁজতে ক্রেতারা ছুটছেন চার্জার ফ্যান-এসির দোকানে। পণ্যগুলোর বিক্রি বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে দামও।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে ঘুরে দেখা যায়, চার্জার ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান কিনতে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। তবে চার্জার ফ্যানের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।

বাজারে বর্তমানে চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া ১২ ইঞ্চির স্ট্যান্ড ফ্যান ৪ হাজার ৫০০ টাকা, আকারভেদে সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ৩১০০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় চার্জার ফ্যানের দাম অতিরিক্ত রাখা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি স্বীকার করেছেন ব্যবসায়ীরাও।

ব্যবসায়ী হারুনুর রশীদ বলেন, গরম আসায় চার্জার ফ্যানের বিক্রি বাড়ছে। এছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যান, সিলিং ফ্যান এগুলোও বিক্রি হচ্ছে। তবে কোম্পানি থেকে দাম বাড়ায় আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাসায় ব্যবহারের জন্য একটি চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছিলেন গৃহিণী ফিরোজা বেগম। তিনি বলেন, এই গরমে একটা চার্জার ফ্যান দরকার, তাই কিনতে আসা। কিন্তু দাম এতো বেশি যে কিনবো কি না, সে চিন্তা করছি।

চার্জার ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে এসি এবং আইপিএসেরও। ওয়ালটন শোরুম ঘুরে দেখা যায়, দেড় টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ হাজার টাকা, এক টনের এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ হাজার টাকায়।

এদিকে যমুনা ইলেকট্রনিকসের শোরুম ঘুরে দেখা যায়, ইনভার্টারসহ দেড় টন এসি বিক্রি হচ্ছে ৬৭ হাজার টাকায় ও একটন এসি বিক্রি হচ্ছে ৪৯ হাজার টাকায়। অপরদিকে ইনভার্টার ছাড়া দেড় টন এসির বিক্রয়মূল্য ৫৭ হাজার টাকা ও এক টন এসির বিক্রয়মূল্য ৪২ হাজার টাকা।

এছাড়া যমুনায় চার্জার ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ২৪৪ টাকায় ও সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪০ টাকায়।

এদিকে চাহিদার তালিকায় রয়েছে আইপিএসও। বাজারে বিভিন্ন ধরনের আইপিএসের মধ্যে বহুল পরিচিত হলো রহিমা আফরোজ, লুমিনাস কোম্পানির আইপিএস।

বাসাবাড়ির ব্যবহারের চাহিদা অনুযায়ী মূলত আইপিএস বিক্রি হয়ে থাকে। তিনটি ফ্যান ও পাঁচটি লাইট ব্যবহার হিসেবে রহিমা আফরোজের আইপিএসের সর্বনিম্ন মূল্য হচ্ছে ৩২ হাজার টাকা। ব্যবহার আরো কম হলে খরচ কম পড়বে।

অপরদিকে একই সক্ষমতার ব্যবহারে লুমিনাস আইপিএসের খরচ পড়বে ৩০ হাজার টাকা, যা চাহিদা অনুযায়ী বাড়বে বা কমবে।