ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাফ নদীতে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত ২ জেলে Logo ঈদে ২০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি বাস মালিকদের Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত: ইসি সচিব Logo অবশেষে চলতি মাসেই ব্রাজিলের দায়িত্ব নিচ্ছেন আনচেলত্তি Logo এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণ, দ্রুত বিচার দাবি Logo লক্ষ্মীপুরে ১২ দেশের বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আটক ২ Logo “মুন্সীগঞ্জ ছাত্র আন্দোলন হত্যাকাণ্ড সহ ১৪ মামলার আসামী চাক্কু মিলন গ্রেফতার” Logo পাবনায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের ১ দফা দাবি এবং আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস বয়কটের ডাক Logo রাজপথের চাপে কোনো বিচার করা সম্ভব নয়: চিফ প্রসিকিউটর Logo র‍্যাব পুনর্গঠনে কমিটি গঠন করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

হামলা চালালে এমন জবাব দেওয়া হবে যে অনুতাপ করতে হবে: ইরানের সেনাপ্রধান

ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। এই জবাব এমন হবে যে তাদের অনুতাপ করতে হবে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার বদলা নিতে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার (১৭ এপ্রিল) তেহরানে ইরানের জাতীয় সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দেশটির সেনাপ্রধান।

জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। আজ আমরা সারা দেশে যেটা প্রদর্শন করেছি, তা আমাদের সক্ষমতার ক্ষুদ্র একটা অংশ মাত্র।’

ইরানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘শত্রুরা যদি আগ্রাসনমূলক কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা আরও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে তার জবাব দেব।’তেহরানে ইরানের সেনা দিবসের এই অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনসহ নানা সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার বদলা হিসেবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে ১৭০টি ড্রোন, ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।

ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্যমতে, সেসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই আকাশে থাকতে ধ্বংস করা হয়েছে। আগে থেকে ওই অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এ হামলা রুখতে বড় ভূমিকা রাখে। সিরিয়ায় আগে থেকে অবস্থানরত যুক্তরাজ্যের জঙ্গি বিমানগুলোও এতে অংশ নেয়। এ হামলা প্রতিহতে সেখানে আরও যুদ্ধবিমান পাঠায় যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্স। ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীও তাতে ভূমিকা রাখে। পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলা ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানও তাদের আকাশসীমায় ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে।

ইরানের তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মধ্যে মাত্র গুটিকয় ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। তাতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত এবং একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। এর জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নাফ নদীতে আরাকান আর্মির গুলিতে আহত ২ জেলে

হামলা চালালে এমন জবাব দেওয়া হবে যে অনুতাপ করতে হবে: ইরানের সেনাপ্রধান

আপডেট সময় ০৭:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। এই জবাব এমন হবে যে তাদের অনুতাপ করতে হবে। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার বদলা নিতে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এই প্রেক্ষাপটে বুধবার (১৭ এপ্রিল) তেহরানে ইরানের জাতীয় সেনা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দেশটির সেনাপ্রধান।

জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। আজ আমরা সারা দেশে যেটা প্রদর্শন করেছি, তা আমাদের সক্ষমতার ক্ষুদ্র একটা অংশ মাত্র।’

ইরানের সেনাপ্রধান বলেন, ‘শত্রুরা যদি আগ্রাসনমূলক কোনো পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরা আরও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে তার জবাব দেব।’তেহরানে ইরানের সেনা দিবসের এই অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনসহ নানা সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার বদলা হিসেবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে ১৭০টি ড্রোন, ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।

ইসরায়েলি বাহিনীর ভাষ্যমতে, সেসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই আকাশে থাকতে ধ্বংস করা হয়েছে। আগে থেকে ওই অঞ্চলে অবস্থান নিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এ হামলা রুখতে বড় ভূমিকা রাখে। সিরিয়ায় আগে থেকে অবস্থানরত যুক্তরাজ্যের জঙ্গি বিমানগুলোও এতে অংশ নেয়। এ হামলা প্রতিহতে সেখানে আরও যুদ্ধবিমান পাঠায় যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্স। ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীও তাতে ভূমিকা রাখে। পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে চলা ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানও তাদের আকাশসীমায় ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে।

ইরানের তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মধ্যে মাত্র গুটিকয় ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। তাতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত এবং একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। এর জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।