বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসির বাংলাদেশে আগমনের সম্ভাবনা দেখছেন। আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এমন কথা জানিয়েছেন তিনি।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ভারতের ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। তিনিই মূলত আগামী বছর মেসিকে বাংলাদেশের আনার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। পরবর্তীতে ক্রীড়ামন্ত্রী মেসি প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারা বলেছে মেসিকেও আনতে পারে।’ ভারতীয় ক্রীড়া উদ্যোক্তা শতদ্রু অবশ্য সরাসরি মেসির কথা না বলে ওই রকম ইঙ্গিতই দিয়েছেন, ‘মার্টিনেজ, রোনালদিনহো এসেছে। ডি মারিয়াও আসবে। সামনে আরও বড় কেউ বাংলাদেশে আসতে পারে।’
মেসির বিষয়টি প্রায় পুরোটাই কথার পৃষ্ঠে কথা। সেটি অবশ্য মন্ত্রী পুনরায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘তারা বলেছে, যেহেতু অন্যরা আসছে মেসিও আসতে পারে। তবে অনেক বিষয় থাকে এখানে।’ মার্টিনেজ-রোনালদিনহো আগমনে অনেক বিচ্যুতি ছিল। ডি মারিয়ার সফরে এমন কিছু না হওয়ার আশ্বাস পাপনের, ‘আগের বিষয় নিয়ে আর মন্তব্য নেই। তবে এখন যেহেতু তারা মন্ত্রণালয়ে এসেছে, তাই আমরা তাদের প্রস্তাবনা দিতে বলেছি। দেখি তারা কি দেয়, এরপর আমরাও কিছু কন্ডিশন দিতে পারি যেহেতু আমাদের সহযোগিতা চেয়েছে।’
বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের আবেগ নিয়ে একটি পক্ষ ব্যবসা করছে। এই বিষয়টিও বিশেষভাবে দেখার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। মার্টিনেজ ও রোনালদিনহোকে আনা শতদ্রু এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখানে বাণিজ্যের একটি বিষয় রয়েছে। আর্থিক বিষয় ছাড়া এ রকম সফর সম্ভব নয়। আগের দুই বার যে ভুল-ত্রুটি ছিল এবার সেটা হবে না।’
বাংলাদেশে মেসিসহ পুরো আর্জেন্টিনা দল এসেছিল ২০১১ সালে। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে তারা ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। গত বছর বাফুফে আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলায় পরে সেই আলোচনা বাতিল হয়ে যায়।