ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত আরও দুই জন মারা গেছেন। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তারা। এর ফলে ওই ঘটনায় মৃত্যের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ ঘাতক ট্রাকটির চালককে আটক করেছে। ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক তারাহ গুল নিঝুম। এর আগে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার গাবখান সেতু এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী, ও ৩ জন শিশু রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সেভেন রিংস সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়। প্রাইভেটকারটি পাশে থাকা তিনটি অটোরিকশার ওপর গিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সাত জন নিহত হন। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর ৫ জন মারা যান। নিহতদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। গুরুতর আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জন মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে টোল প্লাজার প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এসময় নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনগুলো উদ্ধার কার্যক্রম চলমান আছে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক তারাহ গুল নিঝুম বলেন, ঝালকাঠির গাবখান সেতু টোল প্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক তিনটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে চাপা দেয়। দুর্ঘটনা তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।