ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাস সনদহীন, ট্রাকে যাত্রী, সড়কে গর্ত, নিহত ১৪

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর:

কালের কন্ঠ:

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি
চলতি বছর মোট দেশজ উৎস্যদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকতে পারে। এ অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশ হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংস্করণে এই তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বসন্তকালীন বৈঠক চলাকালে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল আইএমএফ।
গত বছর আইএমএফ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হওয়ার প্রক্ষেপণ করেছিল, যা সংশোধন করে ৫.৭ শতাংশে নামানো হয়েছে। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৬.৬ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে।
এর আগে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ হওয়ার অনুমান করলেও এখন তা বার্ষিক ৯.৩ শতাংশ হারে হওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হতে পারে, মূল্যস্ফীতির হারও নামতে পারে ৬.১ শতাংশে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক তাদের সবশেষ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, স্বল্পমেয়াদে চাপের মধ্যে থাকবে দেশের অর্থনীতি। চড়া মূল্যস্ফীতি ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে ভোগ চাহিদা কমাচ্ছে, তার সঙ্গে জ্বালানি ও কাঁচামালের সংকট, সুদহার বৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগের আস্থা কমাচ্ছে।

প্রথম আলো:

বাস সনদহীন, ট্রাকে যাত্রী, সড়কে গর্ত, নিহত ১৪
মানুষের মৃত্যুর পর আবার বেরিয়ে এল অনিয়মের চিত্র। গতকাল বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু আরও ১০ জনের।

আনোয়ার হোসেন, ঢাকা ও প্রবীর কান্তি বালা, ফরিদপুর

ফরিদপুরে বাস ও ছোট ট্রাকের সংঘর্ষে সড়কে মৃত্যু হলো ১৪ জনের। তাঁদের মৃত্যুর পর জানা গেল, যে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছে, সেটির ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট নেই। মারা যাওয়া যাত্রীরা ছিলেন একটি ছোট ট্রাকে, যাতে যাত্রী পরিবহন আইনে একেবারেই নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও হাইওয়ে পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্ঘটনার স্থানে মহাসড়কে কিছু খানাখন্দ ছিল। বাসের চাকা গর্তে পড়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অবশ্য বিআরটিএর কোনো কোনো কর্মকর্তা বলছেন, বাসটির চালক দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তেও পারেন।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি ইউনিক পরিবহনের। সেটি চট্টগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ছোট ট্রাকটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসছিল।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সাহানা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা গর্তে পড়ে। এতে সেটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় ছোট ট্রাকটি দ্রুতগতিতে এসে বাসের মাঝামাঝি আঘাত করে।

মারা যাওয়া সবাই ট্রাকের যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও হাসপাতালে ৩ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর রাকিবুল হাসান মোল্লা ওরফে মিলন (৩৫), তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার ওরফে সুমি (২৩) এবং তাঁদের দুই ছেলে আলবি রোহান (৬) ও আবু সিনান (৩)।

নয়াদিগন্ত:

উপজেলা নির্বাচন বর্জন সব বিরোধী দলের
জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও থাকছে না বিএনপি। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অনুপস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকাসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট কারণ বিশ্লেষণ করে দলটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা গতকাল এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি দলের কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। ইতোমধ্যে দলের যেসব প্রার্থী প্রথম দফার নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন, তাদের তা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীসহ বিএনপি জোটের অন্য শরিকরাও উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পর রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান। এতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই নির্বাচন বর্জন করবে বিএনপি।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে গত কিছু দিন ধরে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের পরামর্শ নিয়েছে বিএনপি। নেতাদের কেউ কেউ দলগতভাবে নির্বাচন বর্জন করলেও যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান তাদের বিষয়ে নমনীয় থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে পথে হাঁটেননি দলের নীতিনির্ধারকরা। তৃণমূলের মতামত ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পাঁচটি বিষয় সামনে রেখে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথমত, দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আদলে উপজেলা নির্বাচন করবে সরকার। এ জন্য দলীয় নেতাদের প্রতীক দেয়নি আওয়ামী লীগ। উন্মুক্ত মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মূলত দেশ-বিদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে এই আয়োজন করা হলেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের হাতে। সরকার যাকে ইচ্ছে তাকে নির্বাচিত করে আসবে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে তাতে ভোটের প্রক্রিয়াকে বৈধতা দেয়া হবে। দ্বিতীয়ত, মাত্র তিন মাস আগে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। সেই নির্বাচনে বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। সাধারণ মানুষের সেই সমর্থনে আঘাত দিতে চায় না বিএনপি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ
গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্টে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনতি হচ্ছে। ২০০০ সালের পর থেকে এ সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬, এখন ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনতাবঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে। ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট)-এর ফলাফল জানাতে গতকাল সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিংকট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসনবিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ ও ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে। মূল উপস্থাপনায় লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাংকটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ সমৃদ্ধিতে ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেলেও পিছিয়েছে স্বাধীনতার সূচকে। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ। আবার সুশাসন বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। ২০২৩ সালের জন্য করা এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম। তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৪৬তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। কিন্তু স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম যেখানে ভারত ১০৪তম এবং পাকিস্তান ১১৩তম অবস্থানে রয়েছে। সমৃদ্ধি সূচকের তালিকা করার জন্য স্বাস্থ্য, বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষাসহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা সূচকের তালিকা করার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি অবস্থার পরিমাপ করা হয়েছে।

 

মানবজমিন

:ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা
বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বিশ্বব্যাংকের নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের গড়মূল্য নেমে এসেছে প্রতি টন ৯১২ ডলারে। ২০২২ সালে এই দাম ছিল ১ হাজার ৬৬৭ ডলার। সেই হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়াও কমেছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলেও সয়াবিন তেলের দাম অনেক কমার কথা। কিন্তু দেশের বাজারে উল্টোচিত্র। এই সময়ে পণ্যটির দাম নামমাত্র কমানো হলেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি। ভোক্তাদের বাড়তি দামেই ভোজ্য তেল কিনতে হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম অর্ধেকের বেশি কমেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়াও কমেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতে তেল পরিবহন খরচ কমেছে। সয়াবিন আমদানির খরচও কমেছে। ফলে তেলের দাম অনেক কমার কথা। কিন্তু দেশের বাজারে সেভাবে কমেনি। আর নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে সরকার কিছুই করতে পারছে না। এছাড়া পণ্যের দাম নির্ধারণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের অ্যানালাইসিসে সমস্যা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

কালবেলা:

খালি হাতে আটক দুই যুবককে ফাঁসানো হলো অস্ত্র মামলায়
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সমতল থেকে পাহাড়—দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ধর্ষ সব অপারেশন পরিচালনা করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে আলোচিত হয়েছে এই এলিট ফোর্স। ক্লু-লেস অনেক মামলার রহস্য উদ্ঘাটনেও দেখিয়েছে সাফল্য। তা সত্ত্বেও কোনো কোনো সদস্যের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে নানা সময়ে সমালোচিত হয়েছে র‌্যাব। এবার র‌্যাব-৪-এর কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। রাজধানীর আগারগাঁও থেকে দুই যুবককে খালি হাতে আটকের পর অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে—এমন দাবি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে সুপারিশ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তবে ১৫ দিন পার হলেও জামিন পাননি ওই দুই যুবক। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা মোটেই কাম্য নয়।

মিরপুর মডেল থানায় র‌্যাবের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, ‘গত ৩০ মার্চ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে রাত আনুমানিক ২১.৩০ ঘটিকায় মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সূত্রে সংস্থাটি জানতে পারে, মো. রহিম সুলতান ওরফে বায়েজিদ এবং তার সঙ্গীয় অন্য একজন সন্ত্রাসীসহ একটি মোটরসাইকেলে মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ এলাকার ৬০ ফিট পাকা মসজিদের উত্তর পাশে নিউ অটোকার সলিউশন ওয়ার্কসের সামনে পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার ওপর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দস্যুতা সংঘটনের উদ্দেশ্যে ঘোরাফেরা করছে। এরপর ফোর্সসহ রাত ২২.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১ নম্বর আসামি কর্তৃক চালিত মোটরসাইকেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে মোটরসাইকেলের সিটের নিচ থেকে কাঠের বাঁটের একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. রহিম সুলতান ওরফে বায়েজিদ ও মো. বেল্লাল হোসেন।’

তবে বায়েজিদ ও বেল্লালের পরিবারের দাবি, দুজনকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের পাশে আগারগাঁও জামে মসজিদের গেটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুগান্তর:

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ
অনিয়মের দশ অভিযোগ থাকলে অযোগ্য
ঋণখেলাপিসহ ১০ অনিয়মের অভিযোগ থাকলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের শেয়ারভুক্ত বেসরকারি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে চেয়ারম্যান ও পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাবেন না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে হিসাব-নিরীক্ষা ও আইনের বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে নিষ্পন্ন করতে পর্ষদে কমপক্ষে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট (সিএ), অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ/ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ব্যাংকার নিয়োগ দিতে হবে। তবে পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের জন্য সরকারের কর্মরত কোনো সচিব ও সমগ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা বিবেচিত হবেন না।

এসব বিধান রেখে গত ৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জারি করা হয় ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের শেয়ার রয়েছে এমন বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ নীতিমালা।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

নতুন নীতিমালায় চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের বাছাই কমিটি। ওই কমিটি নিয়োগের আগে চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এবং পরিচালকের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর। তবে কমিটি নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা নিয়ে একটি বোর্ড প্রোফাইল প্রস্তুত করবে।

রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে কারা নিয়োগ পাবেন-তা নিয়ে এতদিন কোনো নীতিমালা ছিল না। এই সুযোগে সব সরকারের সময়েই দলীয় লোক কিংবা পছন্দের পেশাজীবীদের সেখানে বসানো হয়েছে। ফলে বহুল আলোচিত হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ ও অ্যাননটেক্স, মুন গ্রুপ, গোল্ড আনোয়ার এবং বেসিক ব্যাংকে বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। ব্যাংক খাত বিশ্লেষকদের অনেকে আলোচিত ব্যাংক কেলেঙ্কারির জন্য পর্ষদগুলোতে যুক্ত হওয়া প্রভাবশালী সদস্যদের দায়ী করেন।

কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া এসব সদস্যের বেশিরভাগ ব্যক্তির উদ্দেশ্য থাকে কীভাবে নিজে লাভবান হবেন। এরপর রয়েছে অদক্ষতা। অর্থাৎ পর্ষদ সদস্য হওয়ার মতো ব্যাংকিং, মুদ্রানীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ঘাটতি ছিল যথেষ্ট। যে কারণে ব্যাংকিং খাতে একের পর এক বিপর্যয় ঘটে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংক রেডজোনে থাকা বেশ কিছু ব্যাংককে উদ্ধার করতে একীভূত করার ফর্মুলা সামনে এনেছে।

ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মনে করছে, এভাবে হয়তো সাময়িক কিছুটা উপশম হবে, তবে স্থায়ীভাবে এর সমাধান করার জন্য দরকার বাস্তবভিত্তিক কঠোর নীতিমালা। মূলত এমন চিন্তা থেকেই সরকারের নীতিনির্ধারক মহল উল্লেখিত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আরও কার্যকর, দক্ষ ও পেশাভিত্তিক হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম মঙ্গলবার যুগান্তরকে জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের শর্ত দিয়ে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধান করা যাবে না। কারণ যারা রাঘববোয়াল ঋণখেলাপি তাদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করে টাকা আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে ঋণখেলাপিদের জন্য পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে। সেটি করতে না পারলে এসব শর্ত দিয়ে দুর্নীতিপরায়ণ প্রভাবশালী মহলকে সঠিক পথে আনা যাবে না।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের অযোগ্যতা ও অনুপযুক্ততা হিসাবে ১০টি ক্ষেত্র তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক না হলে অথবা অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন বা কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেন এমন ব্যক্তিকে পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এছাড়া ন্যূনতম ১০ বছরের প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনা বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকলে এবং ফৌজদারি অপরাধ কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বা থাকলে সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের যোগ্যতা হারাবেন

বনিক বার্তা:

গ্যাসের স্থানীয় জোগান নিয়ে চিন্তিত পেট্রোবাংলা এখন পরিত্যক্ত কূপে নজর দিচ্ছে
স্থানীয় পর্যায়ে উত্তোলিত গ্যাসের জোগান চাহিদার চেয়ে অনেক কম। সরবরাহ সংকটে নির্ভরতা বাড়ছে আমদানিতে। আবার বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কয়েকটির মজুদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে চাপ বাড়ছে পেট্রোবাংলার ওপর। এ পরিস্থিতিতে খনন ও সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) মাধ্যমে পরিত্যক্ত গ্যাসকূপগুলোকে উত্তোলনে ফিরিয়ে আনায় মনোযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে গঠিত পেট্রোবাংলার এক কমিটির সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্রের আওতাধীন অন্তত ৯৮টি কূপ এখন পরিত্যক্ত ও সাময়িক বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে কূপগুলো থেকে নতুন করে দৈনিক ২২০-২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প ও আবাসিকে এখন দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট কম। গ্যাস সংকটে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে প্রায় অর্ধেক সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যাপকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানায়। আবাসিকেও গ্যাস সংকটের কারণে নতুন কোনো সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মজুদও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পরিস্থিতিতে আমদানির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়াতে জ্বালানি বিভাগের নির্দেশনার ভিত্তিতে ওই কমিটি গঠন করে পেট্রোবাংলা। কমিটির সদস্যরা বন্ধ ও পরিত্যক্ত কূপ সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সম্ভাব্য বাড়তি জোগানের পরিমাণ নির্ণয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালান। এসব কূপে চালানো সমীক্ষার ভিত্তিতে চলতি ২০২৪ সালের মার্চে পেট্রোবাংলা বরাবর একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন তারা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে এ যাবত ২৫৩টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে ৭০টি। বিভিন্ন কারণে সাময়িক বন্ধ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ৯৮টি কূপ। এর মধ্যে ৬৭টি ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদনে আনা সম্ভব। বাকি ৩১টিতেও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বন্ধ ও পরিত্যক্ত এসব কূপ সঠিক উপায়ে ওয়ার্কওভার বা পুনঃখনন করা গেলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক আরো ২২০-২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে।

সমকাল:

সুষ্ঠু ভোটের প্রধান চ্যালেঞ্জ মন্ত্রী-এমপির স্বজন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটেও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ নেই মাঠে। তবু তৃণমূল আওয়ামী লীগে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মন্ত্রী-এমপির আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীরা। প্রথম ধাপের অধিকাংশ উপজেলায় স্থানীয় এমপির ঘনিষ্ঠজন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দিলেও তারাই নিজেদের দলের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন।

এরই মধ্যে প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নাটোরের সিংড়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে পাল্টাপাল্টি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্ষমতাসীনদের ঘরোয়া বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে পরিস্থিতি সহিংসতায় রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, নাটোরের সিংড়ার ঘটনায় কমিশনের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে কমিশন সভায় বসছে। সেখানে নাটোরের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে। এ ছাড়া ওই বৈঠক থেকে তৃতীয় ধাপের তপশিল অনুমোদনের প্রস্তুতিও রয়েছে।

প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তাদের অধিকাংশ কেন্দ্রের নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছেন। দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। ফলে এক উপজেলায় দলীয় পদধারী একাধিক নেতা প্রার্থী হচ্ছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাস সনদহীন, ট্রাকে যাত্রী, সড়কে গর্ত, নিহত ১৪

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি

আপডেট সময় ০৮:২৫:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

আজকের প্রত্রিকা গুলোর প্রধান প্রধান খবর:

কালের কন্ঠ:

উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি
চলতি বছর মোট দেশজ উৎস্যদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় থাকতে পারে। এ অবস্থায় ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশ হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংস্করণে এই তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বসন্তকালীন বৈঠক চলাকালে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করল আইএমএফ।
গত বছর আইএমএফ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হওয়ার প্রক্ষেপণ করেছিল, যা সংশোধন করে ৫.৭ শতাংশে নামানো হয়েছে। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৬.৬ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে।
এর আগে চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশ হওয়ার অনুমান করলেও এখন তা বার্ষিক ৯.৩ শতাংশ হারে হওয়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হতে পারে, মূল্যস্ফীতির হারও নামতে পারে ৬.১ শতাংশে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক তাদের সবশেষ বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, স্বল্পমেয়াদে চাপের মধ্যে থাকবে দেশের অর্থনীতি। চড়া মূল্যস্ফীতি ব্যক্তি বা বেসরকারি পর্যায়ে ভোগ চাহিদা কমাচ্ছে, তার সঙ্গে জ্বালানি ও কাঁচামালের সংকট, সুদহার বৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বিনিয়োগের আস্থা কমাচ্ছে।

প্রথম আলো:

বাস সনদহীন, ট্রাকে যাত্রী, সড়কে গর্ত, নিহত ১৪
মানুষের মৃত্যুর পর আবার বেরিয়ে এল অনিয়মের চিত্র। গতকাল বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু আরও ১০ জনের।

আনোয়ার হোসেন, ঢাকা ও প্রবীর কান্তি বালা, ফরিদপুর

ফরিদপুরে বাস ও ছোট ট্রাকের সংঘর্ষে সড়কে মৃত্যু হলো ১৪ জনের। তাঁদের মৃত্যুর পর জানা গেল, যে বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছে, সেটির ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট নেই। মারা যাওয়া যাত্রীরা ছিলেন একটি ছোট ট্রাকে, যাতে যাত্রী পরিবহন আইনে একেবারেই নিষিদ্ধ।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও হাইওয়ে পুলিশের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দুর্ঘটনার স্থানে মহাসড়কে কিছু খানাখন্দ ছিল। বাসের চাকা গর্তে পড়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অবশ্য বিআরটিএর কোনো কোনো কর্মকর্তা বলছেন, বাসটির চালক দীর্ঘ যাত্রায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তেও পারেন।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের দিগনগর তেঁতুলতলায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় পড়া বাসটি ইউনিক পরিবহনের। সেটি চট্টগ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ছোট ট্রাকটি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসছিল।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সাহানা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা গর্তে পড়ে। এতে সেটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় ছোট ট্রাকটি দ্রুতগতিতে এসে বাসের মাঝামাঝি আঘাত করে।

মারা যাওয়া সবাই ট্রাকের যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও হাসপাতালে ৩ জন মারা যান। নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের চারজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন ফরিদপুরের বোয়ালমারীর রাকিবুল হাসান মোল্লা ওরফে মিলন (৩৫), তাঁর স্ত্রী শামীমা আক্তার ওরফে সুমি (২৩) এবং তাঁদের দুই ছেলে আলবি রোহান (৬) ও আবু সিনান (৩)।

নয়াদিগন্ত:

উপজেলা নির্বাচন বর্জন সব বিরোধী দলের
জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও থাকছে না বিএনপি। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশের অনুপস্থিতি এবং নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে থাকাসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট কারণ বিশ্লেষণ করে দলটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যা গতকাল এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি দলের কেউ প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। ইতোমধ্যে দলের যেসব প্রার্থী প্রথম দফার নির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন, তাদের তা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামীসহ বিএনপি জোটের অন্য শরিকরাও উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পর রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান। এতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হতে পারে না। তাই এই নির্বাচন বর্জন করবে বিএনপি।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে গত কিছু দিন ধরে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের পরামর্শ নিয়েছে বিএনপি। নেতাদের কেউ কেউ দলগতভাবে নির্বাচন বর্জন করলেও যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান তাদের বিষয়ে নমনীয় থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে পথে হাঁটেননি দলের নীতিনির্ধারকরা। তৃণমূলের মতামত ও সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মূলত পাঁচটি বিষয় সামনে রেখে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথমত, দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আদলে উপজেলা নির্বাচন করবে সরকার। এ জন্য দলীয় নেতাদের প্রতীক দেয়নি আওয়ামী লীগ। উন্মুক্ত মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী। মূলত দেশ-বিদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতে এই আয়োজন করা হলেও নিয়ন্ত্রণ থাকবে সরকারের হাতে। সরকার যাকে ইচ্ছে তাকে নির্বাচিত করে আসবে। এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে তাতে ভোটের প্রক্রিয়াকে বৈধতা দেয়া হবে। দ্বিতীয়ত, মাত্র তিন মাস আগে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। সেই নির্বাচনে বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। সাধারণ মানুষের সেই সমর্থনে আঘাত দিতে চায় না বিএনপি।

বাংলাদেশ প্রতিদিন:

স্বাধীনতা সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ
গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্টে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অবনতি হচ্ছে। ২০০০ সালের পর থেকে এ সূচকে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬, এখন ১৬৪ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘স্বাধীনতাবঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ‘অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে। ইউনাইটেড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে আটলান্টিক কাউন্সিলের নতুন বৈশ্বিক স্বাধীনতা ও সমৃদ্ধি প্রতিবেদন (গ্লোবাল ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট)-এর ফলাফল জানাতে গতকাল সমৃদ্ধি ও সুশাসন সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। সম্মেলনে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা, একাডেমিয়া এবং থিংকট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন। তিনি প্রতিবেদনটির মূল ফলাফল তুলে ধরেন, যা স্বাধীনতা সূচকের মাধ্যমে দেশগুলোর গণতান্ত্রিক এবং শাসনবিষয়ক নির্দেশকগুলো পরিমাপ ও ক্রম নির্ধারণ করে এবং সমৃদ্ধি সূচকের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পরিমাপ করে। মূল উপস্থাপনায় লেমোনি বলেন, উপাত্ত বলছে যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংকট্যাংকটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশ সমৃদ্ধিতে ভারত-পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেলেও পিছিয়েছে স্বাধীনতার সূচকে। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে, যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা উৎসাহিত করে, তারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি করে স্বাগত জানায়। এসব দেশ কম স্বাধীনতা থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশি বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ। আবার সুশাসন বৃহত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। ২০২৩ সালের জন্য করা এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪টি দেশের মধ্যে ৯৯তম। তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৪৬তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৫০তম। কিন্তু স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম যেখানে ভারত ১০৪তম এবং পাকিস্তান ১১৩তম অবস্থানে রয়েছে। সমৃদ্ধি সূচকের তালিকা করার জন্য স্বাস্থ্য, বৈষম্য, পরিবেশগত অবস্থা, সংখ্যালঘু অধিকার এবং শিক্ষাসহ মাথাপিছু জিডিপির মতো বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে স্বাধীনতা সূচকের তালিকা করার জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং আইনি অবস্থার পরিমাপ করা হয়েছে।

 

মানবজমিন

:ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা
বিশ্ববাজারে ভোজ্য তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। বিশ্বব্যাংকের নিয়মিত মাসিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের গড়মূল্য নেমে এসেছে প্রতি টন ৯১২ ডলারে। ২০২২ সালে এই দাম ছিল ১ হাজার ৬৬৭ ডলার। সেই হিসাবে দুই বছরের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম কমেছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়াও কমেছে। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হলেও সয়াবিন তেলের দাম অনেক কমার কথা। কিন্তু দেশের বাজারে উল্টোচিত্র। এই সময়ে পণ্যটির দাম নামমাত্র কমানো হলেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি। ভোক্তাদের বাড়তি দামেই ভোজ্য তেল কিনতে হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম অর্ধেকের বেশি কমেছে। এছাড়া জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে জাহাজ ভাড়াও কমেছে। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতে তেল পরিবহন খরচ কমেছে। সয়াবিন আমদানির খরচও কমেছে। ফলে তেলের দাম অনেক কমার কথা। কিন্তু দেশের বাজারে সেভাবে কমেনি। আর নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে সরকার কিছুই করতে পারছে না। এছাড়া পণ্যের দাম নির্ধারণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের অ্যানালাইসিসে সমস্যা দেখছেন বিশ্লেষকরা।

কালবেলা:

খালি হাতে আটক দুই যুবককে ফাঁসানো হলো অস্ত্র মামলায়
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সমতল থেকে পাহাড়—দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ধর্ষ সব অপারেশন পরিচালনা করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে আলোচিত হয়েছে এই এলিট ফোর্স। ক্লু-লেস অনেক মামলার রহস্য উদ্ঘাটনেও দেখিয়েছে সাফল্য। তা সত্ত্বেও কোনো কোনো সদস্যের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে নানা সময়ে সমালোচিত হয়েছে র‌্যাব। এবার র‌্যাব-৪-এর কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। রাজধানীর আগারগাঁও থেকে দুই যুবককে খালি হাতে আটকের পর অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে—এমন দাবি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে সুপারিশ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তবে ১৫ দিন পার হলেও জামিন পাননি ওই দুই যুবক। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা মোটেই কাম্য নয়।

মিরপুর মডেল থানায় র‌্যাবের দায়ের করা এজাহারে বলা হয়েছে, ‘গত ৩০ মার্চ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে রাত আনুমানিক ২১.৩০ ঘটিকায় মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সূত্রে সংস্থাটি জানতে পারে, মো. রহিম সুলতান ওরফে বায়েজিদ এবং তার সঙ্গীয় অন্য একজন সন্ত্রাসীসহ একটি মোটরসাইকেলে মিরপুর মডেল থানাধীন মধ্য পীরেরবাগ এলাকার ৬০ ফিট পাকা মসজিদের উত্তর পাশে নিউ অটোকার সলিউশন ওয়ার্কসের সামনে পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার ওপর অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ দস্যুতা সংঘটনের উদ্দেশ্যে ঘোরাফেরা করছে। এরপর ফোর্সসহ রাত ২২.৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ১ নম্বর আসামি কর্তৃক চালিত মোটরসাইকেলে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় মোটরসাইকেলসহ তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে মোটরসাইকেলের সিটের নিচ থেকে কাঠের বাঁটের একটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. রহিম সুলতান ওরফে বায়েজিদ ও মো. বেল্লাল হোসেন।’

তবে বায়েজিদ ও বেল্লালের পরিবারের দাবি, দুজনকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের পাশে আগারগাঁও জামে মসজিদের গেটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

যুগান্তর:

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ
অনিয়মের দশ অভিযোগ থাকলে অযোগ্য
ঋণখেলাপিসহ ১০ অনিয়মের অভিযোগ থাকলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারের শেয়ারভুক্ত বেসরকারি ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পর্ষদে চেয়ারম্যান ও পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাবেন না। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে হিসাব-নিরীক্ষা ও আইনের বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে নিষ্পন্ন করতে পর্ষদে কমপক্ষে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেট (সিএ), অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ/ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ব্যাংকার নিয়োগ দিতে হবে। তবে পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের জন্য সরকারের কর্মরত কোনো সচিব ও সমগ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা বিবেচিত হবেন না।

এসব বিধান রেখে গত ৯ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জারি করা হয় ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের শেয়ার রয়েছে এমন বেসরকারি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ নীতিমালা।’ সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

নতুন নীতিমালায় চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিবের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের বাছাই কমিটি। ওই কমিটি নিয়োগের আগে চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে অনুমোদন নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এবং পরিচালকের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর। তবে কমিটি নিয়োগ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক অবস্থা নিয়ে একটি বোর্ড প্রোফাইল প্রস্তুত করবে।

রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে কারা নিয়োগ পাবেন-তা নিয়ে এতদিন কোনো নীতিমালা ছিল না। এই সুযোগে সব সরকারের সময়েই দলীয় লোক কিংবা পছন্দের পেশাজীবীদের সেখানে বসানো হয়েছে। ফলে বহুল আলোচিত হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ ও অ্যাননটেক্স, মুন গ্রুপ, গোল্ড আনোয়ার এবং বেসিক ব্যাংকে বড় ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। ব্যাংক খাত বিশ্লেষকদের অনেকে আলোচিত ব্যাংক কেলেঙ্কারির জন্য পর্ষদগুলোতে যুক্ত হওয়া প্রভাবশালী সদস্যদের দায়ী করেন।

কারণ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া এসব সদস্যের বেশিরভাগ ব্যক্তির উদ্দেশ্য থাকে কীভাবে নিজে লাভবান হবেন। এরপর রয়েছে অদক্ষতা। অর্থাৎ পর্ষদ সদস্য হওয়ার মতো ব্যাংকিং, মুদ্রানীতি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ঘাটতি ছিল যথেষ্ট। যে কারণে ব্যাংকিং খাতে একের পর এক বিপর্যয় ঘটে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংক রেডজোনে থাকা বেশ কিছু ব্যাংককে উদ্ধার করতে একীভূত করার ফর্মুলা সামনে এনেছে।

ইতোমধ্যে কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ মনে করছে, এভাবে হয়তো সাময়িক কিছুটা উপশম হবে, তবে স্থায়ীভাবে এর সমাধান করার জন্য দরকার বাস্তবভিত্তিক কঠোর নীতিমালা। মূলত এমন চিন্তা থেকেই সরকারের নীতিনির্ধারক মহল উল্লেখিত নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ফলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আরও কার্যকর, দক্ষ ও পেশাভিত্তিক হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মইনুল ইসলাম মঙ্গলবার যুগান্তরকে জানান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের শর্ত দিয়ে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা সমাধান করা যাবে না। কারণ যারা রাঘববোয়াল ঋণখেলাপি তাদের ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করে টাকা আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে ঋণখেলাপিদের জন্য পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে। সেটি করতে না পারলে এসব শর্ত দিয়ে দুর্নীতিপরায়ণ প্রভাবশালী মহলকে সঠিক পথে আনা যাবে না।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় চেয়ারম্যান ও পরিচালক নিয়োগের অযোগ্যতা ও অনুপযুক্ততা হিসাবে ১০টি ক্ষেত্র তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের নাগরিক না হলে অথবা অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন বা কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেন এমন ব্যক্তিকে পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের যোগ্য হবেন না। এছাড়া ন্যূনতম ১০ বছরের প্রশাসনিক বা ব্যবস্থাপনা বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকলে এবং ফৌজদারি অপরাধ কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্য কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বা থাকলে সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান বা পরিচালক হিসাবে নিয়োগের যোগ্যতা হারাবেন

বনিক বার্তা:

গ্যাসের স্থানীয় জোগান নিয়ে চিন্তিত পেট্রোবাংলা এখন পরিত্যক্ত কূপে নজর দিচ্ছে
স্থানীয় পর্যায়ে উত্তোলিত গ্যাসের জোগান চাহিদার চেয়ে অনেক কম। সরবরাহ সংকটে নির্ভরতা বাড়ছে আমদানিতে। আবার বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কয়েকটির মজুদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে চাপ বাড়ছে পেট্রোবাংলার ওপর। এ পরিস্থিতিতে খনন ও সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) মাধ্যমে পরিত্যক্ত গ্যাসকূপগুলোকে উত্তোলনে ফিরিয়ে আনায় মনোযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে গঠিত পেট্রোবাংলার এক কমিটির সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্রের আওতাধীন অন্তত ৯৮টি কূপ এখন পরিত্যক্ত ও সাময়িক বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে কূপগুলো থেকে নতুন করে দৈনিক ২২০-২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব।

বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প ও আবাসিকে এখন দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে চাহিদার তুলনায় প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট কম। গ্যাস সংকটে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে প্রায় অর্ধেক সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যাপকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-কারখানায়। আবাসিকেও গ্যাস সংকটের কারণে নতুন কোনো সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মজুদও প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ পরিস্থিতিতে আমদানির পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বাড়াতে জ্বালানি বিভাগের নির্দেশনার ভিত্তিতে ওই কমিটি গঠন করে পেট্রোবাংলা। কমিটির সদস্যরা বন্ধ ও পরিত্যক্ত কূপ সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের সম্ভাব্য বাড়তি জোগানের পরিমাণ নির্ণয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালান। এসব কূপে চালানো সমীক্ষার ভিত্তিতে চলতি ২০২৪ সালের মার্চে পেট্রোবাংলা বরাবর একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন তারা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশে এ যাবত ২৫৩টি কূপ খনন করা হয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদনে রয়েছে ৭০টি। বিভিন্ন কারণে সাময়িক বন্ধ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ৯৮টি কূপ। এর মধ্যে ৬৭টি ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদনে আনা সম্ভব। বাকি ৩১টিতেও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বন্ধ ও পরিত্যক্ত এসব কূপ সঠিক উপায়ে ওয়ার্কওভার বা পুনঃখনন করা গেলে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক আরো ২২০-২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে।

সমকাল:

সুষ্ঠু ভোটের প্রধান চ্যালেঞ্জ মন্ত্রী-এমপির স্বজন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলার ভোটেও আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ নেই মাঠে। তবু তৃণমূল আওয়ামী লীগে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন মন্ত্রী-এমপির আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থীরা। প্রথম ধাপের অধিকাংশ উপজেলায় স্থানীয় এমপির ঘনিষ্ঠজন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না দিলেও তারাই নিজেদের দলের প্রার্থী হিসেবে প্রচার করছেন।

এরই মধ্যে প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে নাটোরের সিংড়ায় দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীবের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিকে পাল্টাপাল্টি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্ষমতাসীনদের ঘরোয়া বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে পরিস্থিতি সহিংসতায় রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, নাটোরের সিংড়ার ঘটনায় কমিশনের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তের কাজ শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে কমিশন সভায় বসছে। সেখানে নাটোরের তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে। এ ছাড়া ওই বৈঠক থেকে তৃতীয় ধাপের তপশিল অনুমোদনের প্রস্তুতিও রয়েছে।

প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তাদের অধিকাংশ কেন্দ্রের নির্দেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছেন। দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ এবার প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি। ফলে এক উপজেলায় দলীয় পদধারী একাধিক নেতা প্রার্থী হচ্ছেন।