রমজান মাস উপলক্ষে ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট ছাড় দেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ এপ্রিল। এখন আগের দামে তেল বিক্রি করতে চান মিল মালিকরা। ফলে, ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, তেলের দাম বাড়িয়ে আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ। উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউ নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমানোর মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। সেক্ষেত্রে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হবে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, তেলে ৫ শতাংশ ডিউটি কমিয়েছিলাম। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১০ টাকা কমেছিল তেলের দাম। সেই ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আমাদের ট্যারিফ কমিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। দেখা হচ্ছে, মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন, তার দাম কেমন পড়ছে ইত্যাদি। তবে, তেলের দাম পূর্বের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই, এটা বলতে পারি।
প্রসঙ্গত, রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় পর্যায়ে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ কমায় এনবিআর। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকেরা।
তেলের দাম বাড়াতে গতকাল সোমবার বাণিজ্য সচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি এখনও চিঠি পাইনি। যদি পাঠিয়ে থাকে, অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।