২০১৯ এবং ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল নিয়ে অনেক বেশি প্রত্যাশার কথা শোনা গিয়েছিলো। কেউ বলেছিলো বাংলাদেশ নিশ্চিত সেমিফাইনালে খেলবে, কেউ বলেছিলো ফাইনালও খেলতে পারে। কারো প্রত্যাশা ছিল- ফাইনাল বা সেমিফাইনাল না হোক অন্তত সেরা চারে থাকার সর্বোচ্চ লড়াইটা যেন হয়।
ঠিক একইভাবে প্রত্যাশার কথা শোনা গিয়েছিলো ২০২১ এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। অথচ, ২০২১ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে চূড়ান্ত পর্বের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছিলো টাইগাররা। কোনোমতে চূড়ান্ত পর্বে উঠলেও সেখানে ৫ ম্যাচের একটিতেই জয় পায়নি তারা। ২০২২ বিশ্বকাপে সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে। এখানে নেদারল্যান্ডস এবং জিম্বাবুয়েকে পেয়ে দুটি জয় তুলে নিলেও বাকিগুলোতে প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি।
সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারও বাংলাদেশ এই করবে, সেই করবে বলে অনেকেই প্রত্যাশার পারদ আকাশচুম্বি করতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মাটিতেই থাকতে চাইলেন। প্রত্যাশার বেলুন তিনি এতটা ফোলাতে নিজেও রাজি নন, অন্যদেরকেও প্রত্যাশা খুব বেশি করার দরকার নাই বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা, বিশ্বকাপ আসলেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে যে মাতামাতি শুরু হয়, সেটা না করতে বলে দিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
আজ রাজধানীতে একটি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নাজমুল শান্ত। সেখানেই তার কাছে বিশ্বকাপের প্রত্যাশা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন শান্ত জবাবে বলেন, ‘প্রতি বছরই আমি দেখি, বিশ্বকাপের আগে এসব নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা করা হয়- এটা করব, সেটা করব। আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে, প্রত্যাশাটা খুব একটা করার দরকার নেই। প্রত্যাশাটা সবার মনের ভেতরেই থাক।’
বিশ্বকাপ আসলে যে মাতামাতি হয়, তা ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না নাজমুল শান্তর। তিনি বলেন, ‘আপনারাও জানেন, বাংলাদেশ দল কি চায়। আমরা ক্রিকেটাররাও জানি, আমরা দলকে কত দূর নিয়ে যেতে চাই। সবাই চায় যে, আমরা অনেক বড় কিছু করি। তবে এটা নিয়ে যখন অনেক বেশি মাতামাতি হয়, তখন আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে না।’