অতিরিক্ত ঘাম হলে মাথা ঘোরানো, মাথাব্যথা, অবসন্নতা কিংবা ক্ষুধামান্দ্যর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ রকম হলে অবশ্যই ঠান্ডা স্থানে বিশ্রাম নিন। সম্ভব হলে শরীরে ঠান্ডা পানি ঢালুন। মাথায়ও পানি দিতে পারেন। পানি ঢালতে না পারলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে ফেলুন। এমন পরিস্থিতিতে তরল খাবারও খেতে হয়।
এমনটাও কিন্তু হতে পারে যে আপাতদৃষ্টে হয়তো ঘাম হওয়ার কোনো কারণই নেই, তবুও আপনি বা আপনার আপনজন ঘামছেন। এভাবে কারণ ছাড়াই হঠাৎ অতিরিক্ত ঘাম হওয়াটা কোনো শারীরিক সমস্যার উপসর্গ হতে পারে। এই যেমন রক্তের সুগার কমে গেলে কিংবা হার্ট অ্যাটাক হলে এমনভাবে ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের সুগার কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই তাঁদের এভাবে ঘাম হলে দ্রুত চিনি মেশানো পানি খাইয়ে দিতে হয় এবং রক্তের সুগার মাপতে হয়। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে হয়। ডায়াবেটিস না থাকলেও হঠাৎ খুব ঘাম হলে নিকটস্থ চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে হবে জরুরিভাবে। বুঝতেই পারছেন, এটি যদি হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করাটা কত জরুরি।
যখন আপনি বেশ ঘামছেন, তখন ছায়াশীতল পরিবেশে অবস্থান করতে চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল হচ্ছে এমন জায়গায় থাকতে পারলে ভালো। সেটি সম্ভব না হলে সব সময় সঙ্গে রাখতে পারেন ছোট্ট একটি ফ্যান, যা ব্যাটারিতে চলে। ঘাম হলে কিন্তু ঘাম মুছেও ফেলতে হবে। তা না হলে তাতে জন্ম নেবে জীবাণু। জীবাণুর কারণে ঘামে কটু গন্ধ হয়। আর এসব জীবাণু দিয়ে ত্বকে সংক্রমণ হওয়ারও ঝুঁকি থাকে। এমনটাই বলছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।