ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশন শুরু শুক্রবার Logo ছন্দে থাকা ব্রাজিলকে হারিয়ে ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচালো জাপান Logo শিক্ষকদের আন্দোলনে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন সহ যেসব দল-সংগঠনের একাত্মতা প্রকাশ Logo মিরপুরে প্রিন্টিং কারখানায়ি ভয়াবহ আগুন, নিহত বেড়ে ১৬ Logo দেশে ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৪১ Logo নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার চেয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিস Logo আমরণ অনশনে যাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা Logo বাগেরহাটে যুবদল নেতাসহ ২ মৃতদেহ উদ্ধার Logo নির্বাচন কমিশনের নিন্দা জানিয়ে প্রজেকশন মিটিং স্থগিত করল শিবির সমর্থিত প্যানেল Logo মহিলা জামায়াত কর্মীদের ‘পেটানোর নির্দেশ’ বিএনপির নেতার

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশের সূচনা

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশের সূচনা

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে। পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে ৩৩তম দেশ হিসেবে পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ। পরমাণু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভও রূপপুর সাইটে উপস্থিত থাকবেন।

দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি-ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালানটি ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে এখানে পৌঁছেছিল।

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ, গড়বে নতুন ইতিহাস। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে রূপপুরে এসেছে উচ্চপর্যায়ের রুশ প্রতিনিধি দল। প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান এবং পারমাণবিক জ্বালানির সনদ ও মডেল হস্তান্তরের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত। অতিথিরা চারটি পয়েন্ট থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

গতকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের সামগ্রিক কাজের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। তবে প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়েছে, সেভাবে এগোয়নি সঞ্চালন লাইনের কাজ। গ্রিড লাইন নির্মাণে সকল মন্ত্রণালয় কাজ করছে, বিষয়টি কো-অর্ডিনেট করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ২০২৫ সালের শুরুতে রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে দেশের জনগণ। সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আসার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক স্থাপনার স্বীকৃতি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গর্ভনিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

এদিকে, পুরো প্রকল্প ও গ্রিনসিটি আবাসিক এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসবের সাজে সেজেছে ঈশ্বরদীর রূপপুর এলাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন রঙের পতাকা শোভা পাচ্ছে। গ্রিনসিটি আবাসিকের সামনের প্রাচীরে রঙিন চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। তবে ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে এখানকার মানুষ উন্মুখ হয়ে আছেন।

১৯৬১ সালে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও গতি পায় ২০০৮ সালের পরে। তখন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে দলটি ক্ষমতায় আসলে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন।

২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ এগিয়ে নেয়। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ১ হাজার ৬২ একর জমির ওপর প্রকল্পের পূর্ণোদ্দমে কাজ শুরু হয়। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রকল্পের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা করছে রাশিয়া। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। এর ফলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা ভয়েস/এমএ

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ফ্র্যাগরেন্স এক্সিবিশন শুরু শুক্রবার

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশের সূচনা

আপডেট সময় ০১:২১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে। পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে ৩৩তম দেশ হিসেবে পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হচ্ছে বাংলাদেশ। পরমাণু হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভও রূপপুর সাইটে উপস্থিত থাকবেন।

দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে ইউরেনিয়াম হস্তান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক শক্তি-ব্যবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালানটি ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ ফ্লাইটে এখানে পৌঁছেছিল।

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ, গড়বে নতুন ইতিহাস। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে রূপপুরে এসেছে উচ্চপর্যায়ের রুশ প্রতিনিধি দল। প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানসহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব গণমাধ্যমকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান এবং পারমাণবিক জ্বালানির সনদ ও মডেল হস্তান্তরের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রস্তুত। অতিথিরা চারটি পয়েন্ট থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

গতকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) প্রকল্প পরিদর্শনে এসে প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের সামগ্রিক কাজের প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ। তবে প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়েছে, সেভাবে এগোয়নি সঞ্চালন লাইনের কাজ। গ্রিড লাইন নির্মাণে সকল মন্ত্রণালয় কাজ করছে, বিষয়টি কো-অর্ডিনেট করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ২০২৫ সালের শুরুতে রূপপুর থেকে বিদ্যুৎ পাবে দেশের জনগণ। সঞ্চালন লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামো তৈরি হওয়ার পরই পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হবে। উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জনগণ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম আসার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক স্থাপনার স্বীকৃতি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল এটোমিক এনার্জি কমিশনের (আইএইএ) গর্ভনিং বডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

এদিকে, পুরো প্রকল্প ও গ্রিনসিটি আবাসিক এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসবের সাজে সেজেছে ঈশ্বরদীর রূপপুর এলাকা। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন রঙের পতাকা শোভা পাচ্ছে। গ্রিনসিটি আবাসিকের সামনের প্রাচীরে রঙিন চিত্রকর্ম নজর কাড়ছে সবার। তবে ঐতিহাসিক এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে এখানকার মানুষ উন্মুখ হয়ে আছেন।

১৯৬১ সালে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও গতি পায় ২০০৮ সালের পরে। তখন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে দলটি ক্ষমতায় আসলে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেন।

২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় নিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ এগিয়ে নেয়। ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর ১ হাজার ৬২ একর জমির ওপর প্রকল্পের পূর্ণোদ্দমে কাজ শুরু হয়। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিট রয়েছে। প্রকল্পের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা করছে রাশিয়া। প্রকল্পটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

২০২৪ সালের মার্চে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয় ইউনিটেও ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সমপরিমাণ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটির উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। এর ফলে দেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা ভয়েস/এমএ