ইস্যু তৈরি করার জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকায় জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙতে চাইলে বহু আগেই ভাঙতাম। দিনের বেলা ভাঙতাম। ১৯৮৯ সালে জিয়াউর রহমানকে জীবিত অবস্থায়ই তাকে আটকে দিয়েছি। সুতরাং রাতের বেলা ভাঙার প্রশ্নই আসে না। ওরা এটা করে একটা ইস্যু তৈরি করতে চায় যেন এ কাজটা না হয়। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা বলেছি এখানে একটি মঞ্চ হবে। এখানে ১৯৪৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সব ইতিহাস ধারণ করা হবে। এখানে বিএনপিরও গর্ববোধ করা উচিত। কারণ তাদের পূর্ব পুরুষরাও এখানে অবদান রেখেছেন। গতকাল দেখলাম আমাকে দায়ী করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল তো থাকারই কথা না। পঞ্চম সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি জাতীয় সংসদে বলেছিলাম, এখানে ছয় দফার একটা মঞ্চ করা হোক। এখানে নাটক, গান বাজনা, সংস্কৃতির চর্চা হবে। এর বাউন্ডারিতে ’৪৮ সাল থেকে নিয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ওই জায়গায় একটা মিউজিয়ামও করা হবে। আমার সাবজেক্ট হলো স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু ও নারায়ণগঞ্জ। এ তিন বিষয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক তুলে ধরা হবে। পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ইতিহাস জানতে পারে।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকার শহীদ জিয়া হলের ওপরে স্থাপিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল কে বা কারা ভেঙে ফেলেন। এ ঘটনার জন্য বিএনপির নেতারা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে দায়ী করেন।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত। আমরা যে চিত্রটি দেখলাম এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই জিয়া হল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অধীনে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই জিয়া হল ভাঙার জন্য সরকারি দলের এমপি শামীম ওসমান সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। এখানে তিনি ভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন। আমরা মনে করি শামীম ওসমানের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে।