ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শর্ত অনুযায়ী নেই রিজার্ভ, আইএমএফকে জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

শর্ত অনুযায়ী নেই রিজার্ভ, আইএমএফকে জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বাংলাদেশকে দেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল চলতি বছরের জুনের মধ্যে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলারে রাখা। তবে শর্ত অনুযায়ী সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শর্ত পূরণের অগ্রগতি, সফলতা ও ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়। বৈঠকে রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানা যায়, আইএমএফের ঋণের যেসব শর্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পূরণ করার কথা, তার মধ্যে বেশির ভাগ শর্তই পূরণ হয়েছে। তবে যে পরিমাণ নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ইতিমধ্যে আইএমএফের বেশ কিছু শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দু-একটি জায়গায় ব্যর্থতা আছে।

রিজার্ভ কিছু কম আছে। রাজস্ব আহরণ কম হয়েছে। তবে অনেক কিছু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করেছে। বিপিএমসিক্স অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুদ্রার বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার প্রবর্তন করা হয়েছে। সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। তাদের দেওয়া যেসব শর্ত অর্জিত হয়েছে তা জানিয়েছি আর যেগুলো হয়নি সেগুলো কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে। শর্ত পূরণ ও ব্যর্থতা নিয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আজ বৈঠক শুরু হয়েছে।

তারা (আইএমএফ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে বসে আলোচনা করবে। প্রথম তথ্য নিচ্ছে তারপর আবার বৈঠক করবে। আগামী ১৯ অক্টোবর শেষ মিটিং। সেখানে তাদের মতামত জানাবে, আমরাও আমাদের বিষয়গুলো জানাব। আইএমএফের শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ দুই হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার রাখা, সেপ্টেম্বরে তা দুই হাজার ৫৩০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে দুই হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত জুনে দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ১২০ কোটি ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ (ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) অনুযায়ী জুনে রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৪৭৫ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট রিজার্ভ আছে দুই হাজার ৭০৫ কোটি ডলার আর বিপিএম ৬ অনুযায়ী আছে দুই হাজার ১১৫ কোটি ডলার।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইকুয়েডরকে ৭ গোল দিল আর্জেন্টিনা

শর্ত অনুযায়ী নেই রিজার্ভ, আইএমএফকে জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

আপডেট সময় ০৭:৩৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বাংলাদেশকে দেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের অন্যতম শর্ত ছিল চলতি বছরের জুনের মধ্যে নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলারে রাখা। তবে শর্ত অনুযায়ী সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শর্ত পূরণের অগ্রগতি, সফলতা ও ব্যর্থতা তুলে ধরা হয়। বৈঠকে রিজার্ভের শর্ত পূরণে ব্যর্থতার কথাও জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানা যায়, আইএমএফের ঋণের যেসব শর্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পূরণ করার কথা, তার মধ্যে বেশির ভাগ শর্তই পূরণ হয়েছে। তবে যে পরিমাণ নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ইতিমধ্যে আইএমএফের বেশ কিছু শর্ত পূরণ করা হয়েছে। দু-একটি জায়গায় ব্যর্থতা আছে।

রিজার্ভ কিছু কম আছে। রাজস্ব আহরণ কম হয়েছে। তবে অনেক কিছু বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করেছে। বিপিএমসিক্স অনুযায়ী রিজার্ভ হিসাবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুদ্রার বাজার-নির্ধারিত বিনিময় হার প্রবর্তন করা হয়েছে। সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। তাদের দেওয়া যেসব শর্ত অর্জিত হয়েছে তা জানিয়েছি আর যেগুলো হয়নি সেগুলো কেন হয়নি তাও জানানো হয়েছে। শর্ত পূরণ ও ব্যর্থতা নিয়ে আইএমএফের পক্ষ থেকে কী বলা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আজ বৈঠক শুরু হয়েছে।

তারা (আইএমএফ) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে বসে আলোচনা করবে। প্রথম তথ্য নিচ্ছে তারপর আবার বৈঠক করবে। আগামী ১৯ অক্টোবর শেষ মিটিং। সেখানে তাদের মতামত জানাবে, আমরাও আমাদের বিষয়গুলো জানাব। আইএমএফের শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ দুই হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার রাখা, সেপ্টেম্বরে তা দুই হাজার ৫৩০ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে দুই হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত জুনে দেশের মোট (গ্রস) রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ১২০ কোটি ডলার। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ (ব্যাল্যান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) অনুযায়ী জুনে রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৪৭৫ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট রিজার্ভ আছে দুই হাজার ৭০৫ কোটি ডলার আর বিপিএম ৬ অনুযায়ী আছে দুই হাজার ১১৫ কোটি ডলার।