ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা পানি

ভারতের উত্তর সিকিমে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের লালমনিরহাট অংশে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৪০ মিটার। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে, নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং শুরু করেছে। একই সঙ্গে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে যেতে অনুরোধ করেছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডাব্লিউসি) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিস্তার পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে পানিসমতল আজ রাত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে। লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের নিতে সব প্রস্তুতি নিতেও বলা হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করতে বলেছি। সরেজমিন খোঁজ নিচ্ছি। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের গবাদিপশুসহ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে সতর্ক করতে কাজ করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢলে তিস্তায় পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন চরমোনাইর পীর

বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

আপডেট সময় ০৭:২৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের উত্তর সিকিমে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের লালমনিরহাট অংশে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে হাতিবান্ধায় অবস্থিত তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৪০ মিটার। যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এদিকে, নদীর পানি বাড়তে থাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকিং শুরু করেছে। একই সঙ্গে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে যেতে অনুরোধ করেছে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডাব্লিউসি) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে তিস্তার পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে পানিসমতল আজ রাত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে। লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে বন্যা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতির কথা জানানো হয়েছে। এছাড়াও মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের নিতে সব প্রস্তুতি নিতেও বলা হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করতে বলেছি। সরেজমিন খোঁজ নিচ্ছি। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের গবাদিপশুসহ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন, বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে সতর্ক করতে কাজ করছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খোলা রয়েছে। উপজেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢলে তিস্তায় পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। আমরা সার্বিক খোঁজ খবর রাখছি।