ঢাকা ০৫:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo “নতুন জাহিলিয়াতের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা রাজপথে সজাগ” : শিবির নেতা হেলাল  Logo ছাত্রদল নেতার পরিবার থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে Logo দেশবাসী চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না Logo যুবদল নেতা হত্যা ও খতিবের ওপর হামলায় জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা Logo বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছে ড.ফয়জুল হক Logo মিটফোর্ডে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo এবার ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করলেন মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য রাব্বি Logo সিরিয়ার কৃষিজমিতে আগুন ধরিয়ে দিলো দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী Logo মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে: আইন উপদেষ্টা Logo হাসিনা কন্যা পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠালো ডব্লিউএইচও

রাজধানীর ১৫ শতাংশ ঈদযাত্রী নৌপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • 345

রাজধানীর ১৫ শতাংশ ঈদযাত্রী নৌপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ

 আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ বছর রাজধানীর সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে। এই সংখ্যা আনুমানিক ২২ লাখ ৫০ হাজার; যা ঢাকার মোট ঈদ যাত্রীর ১৫ শতাংশ। পদ্মা সেতু চালুর আগে এই সংখ্যা ছিল আনুমানিক ৩৭ লাখ। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ঈদ-পূর্ব খাতভিত্তিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই সকল যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে লঞ্চে উঠবে। এই সাড়ে ২২ লাখ মানুষের সিংহভাগ বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের যাত্রী। বাকি যাত্রীরা যাবে চাঁদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নোয়াখালীর হাতিয়াসহ অন্যান্য এলাকায়।
বিড়ম্বনামুক্ত নিরাপদ ঈদ যাত্রার স্বার্থে সরকারি উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থায় নৌযানের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ঈদুল ফিতরে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ছেড়ে যায়। দুই বছর আগে ঢাকার ঈদ যাত্রীদের ২৫ শতাংশ (৩৭ লাখ ৫০ হাজার) নৌপথ ব্যবহার করত। সড়ক ও রেলপথে যাতায়াত করত যথাক্রমে ৫৫ ও ২০ শতাংশ মানুষ।
২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু চালুর পর চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও হাতিয়া ছাড়া অন্য জেলাগুলোর নৌযাত্রীর হার ৪০ শতাংশ কমেছে; যা মোট ঈদ যাত্রীর ১০ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। তবে ঘরমুখী জনস্রোত কার্যত শুরু হবে ৪ এপ্রিল থেকে। ওই দিন থেকে ঈদ স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চলাচল করবে। ৪ থেকে ১০ এপ্রিল (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত সাত দিনে সাড়ে ২২ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছাড়বে।
এই হিসাবে প্রতিদিন তিন লাখের বেশি যাত্রী সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যাবে। নৌযান স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্যসংকট ও যাত্রীস্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১০টি নৌপথ ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। বাকি ৩১টি নৌপথে ঈদ উপলক্ষে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ছোট-বড় ১৭৫টি লঞ্চ চলাচল করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রী চাপ সামাল দিতে অনেক লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ যাত্রী বহন করা হয়। ফলে ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী তোলা হয়। এ ছাড়া এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে কালবৈশাখী মৌসুমে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাগরে লঘুচাপের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌযাত্রায় বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই টার্মিনালসহ নৌপথে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
জনপ্রিয় সংবাদ

“নতুন জাহিলিয়াতের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা রাজপথে সজাগ” : শিবির নেতা হেলাল 

রাজধানীর ১৫ শতাংশ ঈদযাত্রী নৌপথে বাড়ি যাবে: এসসিআরএফ

আপডেট সময় ০৯:৩০:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
 আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ বছর রাজধানীর সবচেয়ে কমসংখ্যক মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে। এই সংখ্যা আনুমানিক ২২ লাখ ৫০ হাজার; যা ঢাকার মোট ঈদ যাত্রীর ১৫ শতাংশ। পদ্মা সেতু চালুর আগে এই সংখ্যা ছিল আনুমানিক ৩৭ লাখ। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ঈদ-পূর্ব খাতভিত্তিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই সকল যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে লঞ্চে উঠবে। এই সাড়ে ২২ লাখ মানুষের সিংহভাগ বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের যাত্রী। বাকি যাত্রীরা যাবে চাঁদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মুন্সীগঞ্জ ও নোয়াখালীর হাতিয়াসহ অন্যান্য এলাকায়।
বিড়ম্বনামুক্ত নিরাপদ ঈদ যাত্রার স্বার্থে সরকারি উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থায় নৌযানের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি ঈদুল ফিতরে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ মানুষ ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা ছেড়ে যায়। দুই বছর আগে ঢাকার ঈদ যাত্রীদের ২৫ শতাংশ (৩৭ লাখ ৫০ হাজার) নৌপথ ব্যবহার করত। সড়ক ও রেলপথে যাতায়াত করত যথাক্রমে ৫৫ ও ২০ শতাংশ মানুষ।
২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু চালুর পর চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও হাতিয়া ছাড়া অন্য জেলাগুলোর নৌযাত্রীর হার ৪০ শতাংশ কমেছে; যা মোট ঈদ যাত্রীর ১০ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। তবে ঘরমুখী জনস্রোত কার্যত শুরু হবে ৪ এপ্রিল থেকে। ওই দিন থেকে ঈদ স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস চলাচল করবে। ৪ থেকে ১০ এপ্রিল (ঈদের আগের দিন) পর্যন্ত সাত দিনে সাড়ে ২২ লাখ মানুষ নৌপথে ঢাকা ছাড়বে।
এই হিসাবে প্রতিদিন তিন লাখের বেশি যাত্রী সদরঘাট টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যাবে। নৌযান স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কাগজে-কলমে ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের নৌপথ ৪১টি। তবে তীব্র নাব্যসংকট ও যাত্রীস্বল্পতার কারণে বড় আয়তনের ও বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল না করায় অন্তত ১০টি নৌপথ ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। বাকি ৩১টি নৌপথে ঈদ উপলক্ষে আসা-যাওয়া মিলিয়ে ছোট-বড় ১৭৫টি লঞ্চ চলাচল করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রী চাপ সামাল দিতে অনেক লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ যাত্রী বহন করা হয়। ফলে ডেকে অতিরিক্ত যাত্রীর পাশাপাশি ছাদেও যাত্রী তোলা হয়। এ ছাড়া এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে কালবৈশাখী মৌসুমে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাগরে লঘুচাপের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে নৌযাত্রায় বিশৃঙ্খলা ও জনদুর্ভোগের পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই টার্মিনালসহ নৌপথে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।