ঢাকা ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন Logo এ মাসে জুলাই সনদ না হলে দায় সরকার আর ঐকমত্য কমিশনের: সালাহউদ্দিন Logo মুন্সীগঞ্জে এনসিপির পথসভা: “নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ লড়াই অব্যাহত থাকবে” Logo সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সেক্রেটারি শোয়াইব Logo পাবনায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে  জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে প্রতীকী ম্যারাথন Logo ‘যতদিন বাংলাদেশের নাম থাকবে, ততদিন উচ্চারিত হবে জুলাই যোদ্ধাদের নাম’ Logo গোপালগঞ্জকে ৪ জেলায় ভাগ করে দিয়ে ৬৩ জেলার বাংলাদেশ করা হোক- আমির হামজা Logo ‘সামনের জুলাই তুই কনে থাকবি’ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার হুমকি Logo যেসব অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি ও ভারি বর্ষণ হতে শঙ্কা Logo গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে আরও একজনের মৃত্যু

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগানের পরাজয়

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতে জয়ের দাবি করেছে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ের দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। খবর আল জাজিরা

রোববার (৩১ মার্চ) নির্বাচনের পর ইস্তাম্বুলে ৯৫ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনা করা হয়েছে। রিপাবলিক্যান পিপল’স পার্টি’র (সিএইচপি) মেয়র প্রার্থী ইকরাম এমামগলু বলেন, তিনি ক্ষমতাসীন এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখ ভোটে পরাজিত করেছেন।

সাবেক ব্যবসায়ী ইমামগলু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, যারা জাতির বার্তা বুঝতে পারে না তারা হারবেই। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলের ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ আমাদের বিরোধী পক্ষ এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

এদিকে, রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছেন সিএইচপির মেয়র প্রার্থী মনসুর ইয়াভাস। বিরোধী দলের বিপরীতে বিপুল ভোটে জয়লাভের দাবি করেছেন তিনি। মনসুর ইয়াভাস বলেন, ভোটের মাধ্যমে ভোটাররা দেশের ক্ষমতাসীন দলকে একটি বার্তা দিয়েছে।

তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইসমিরেও এগিয়ে রয়েছে সিএইচপি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে সিএইচপি এগিয়ে রয়েছে। এমনকি একে পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটিগুলোতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছে।

ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ইস্তাম্বুলে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করছেন। প্রায় ১০ হাজার মানুষ আলো জ্বালিয়ে এবং তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে এ জয় উদযাপন করছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ থেকে বক্তব্য দিয়েছেন এরদোগান। ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা একে পার্টির প্রধান এরদোগান এ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, হারের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ কাঠামোয় সাত কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগানের পরাজয়

আপডেট সময় ০২:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতে জয়ের দাবি করেছে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ের দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। খবর আল জাজিরা

রোববার (৩১ মার্চ) নির্বাচনের পর ইস্তাম্বুলে ৯৫ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনা করা হয়েছে। রিপাবলিক্যান পিপল’স পার্টি’র (সিএইচপি) মেয়র প্রার্থী ইকরাম এমামগলু বলেন, তিনি ক্ষমতাসীন এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখ ভোটে পরাজিত করেছেন।

সাবেক ব্যবসায়ী ইমামগলু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, যারা জাতির বার্তা বুঝতে পারে না তারা হারবেই। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলের ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ আমাদের বিরোধী পক্ষ এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

এদিকে, রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছেন সিএইচপির মেয়র প্রার্থী মনসুর ইয়াভাস। বিরোধী দলের বিপরীতে বিপুল ভোটে জয়লাভের দাবি করেছেন তিনি। মনসুর ইয়াভাস বলেন, ভোটের মাধ্যমে ভোটাররা দেশের ক্ষমতাসীন দলকে একটি বার্তা দিয়েছে।

তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইসমিরেও এগিয়ে রয়েছে সিএইচপি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে সিএইচপি এগিয়ে রয়েছে। এমনকি একে পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটিগুলোতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছে।

ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ইস্তাম্বুলে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করছেন। প্রায় ১০ হাজার মানুষ আলো জ্বালিয়ে এবং তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে এ জয় উদযাপন করছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ থেকে বক্তব্য দিয়েছেন এরদোগান। ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা একে পার্টির প্রধান এরদোগান এ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, হারের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে।