ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু Logo নীলফামারীতে শিবিরের উদ্যোগে এসএসসি-দাখিল জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo গ্রেড ও বেতন নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বড় সুখবর Logo মার্কিন অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা স্থগিত করেছে ভারত Logo বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ফরম বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে পূর্ব তিমুরকে ৮ গোলে হারাল বাংলাদেশ Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার চেয়ে জবি সাংবাদিক সমিতির মানববন্ধন Logo জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে :মেজর হাফিজ Logo ফুটপাতে পড়ে থাকা ব্যাগে মিলল অজ্ঞাত ব্যক্তির কয়েক টুকরো মরদেহ Logo মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগানের পরাজয়

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতে জয়ের দাবি করেছে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ের দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। খবর আল জাজিরা

রোববার (৩১ মার্চ) নির্বাচনের পর ইস্তাম্বুলে ৯৫ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনা করা হয়েছে। রিপাবলিক্যান পিপল’স পার্টি’র (সিএইচপি) মেয়র প্রার্থী ইকরাম এমামগলু বলেন, তিনি ক্ষমতাসীন এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখ ভোটে পরাজিত করেছেন।

সাবেক ব্যবসায়ী ইমামগলু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, যারা জাতির বার্তা বুঝতে পারে না তারা হারবেই। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলের ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ আমাদের বিরোধী পক্ষ এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

এদিকে, রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছেন সিএইচপির মেয়র প্রার্থী মনসুর ইয়াভাস। বিরোধী দলের বিপরীতে বিপুল ভোটে জয়লাভের দাবি করেছেন তিনি। মনসুর ইয়াভাস বলেন, ভোটের মাধ্যমে ভোটাররা দেশের ক্ষমতাসীন দলকে একটি বার্তা দিয়েছে।

তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইসমিরেও এগিয়ে রয়েছে সিএইচপি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে সিএইচপি এগিয়ে রয়েছে। এমনকি একে পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটিগুলোতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছে।

ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ইস্তাম্বুলে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করছেন। প্রায় ১০ হাজার মানুষ আলো জ্বালিয়ে এবং তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে এ জয় উদযাপন করছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ থেকে বক্তব্য দিয়েছেন এরদোগান। ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা একে পার্টির প্রধান এরদোগান এ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, হারের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালের সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াত নেতার মর্মান্তিক মৃত্যু

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে এরদোগানের পরাজয়

আপডেট সময় ০২:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

তুরস্কে আঞ্চলিক নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতে জয়ের দাবি করেছে। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টিকে বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়ের দাবি করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। খবর আল জাজিরা

রোববার (৩১ মার্চ) নির্বাচনের পর ইস্তাম্বুলে ৯৫ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ভোট গণনা করা হয়েছে। রিপাবলিক্যান পিপল’স পার্টি’র (সিএইচপি) মেয়র প্রার্থী ইকরাম এমামগলু বলেন, তিনি ক্ষমতাসীন এরদোগানের একে পার্টির প্রার্থীকে ১০ লাখ ভোটে পরাজিত করেছেন।

সাবেক ব্যবসায়ী ইমামগলু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, যারা জাতির বার্তা বুঝতে পারে না তারা হারবেই। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুলের ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ আমাদের বিরোধী পক্ষ এবং প্রেসিডেন্টের কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছে।

এদিকে, রাজধানী আঙ্কারাতেও জয় পেয়েছেন সিএইচপির মেয়র প্রার্থী মনসুর ইয়াভাস। বিরোধী দলের বিপরীতে বিপুল ভোটে জয়লাভের দাবি করেছেন তিনি। মনসুর ইয়াভাস বলেন, ভোটের মাধ্যমে ভোটাররা দেশের ক্ষমতাসীন দলকে একটি বার্তা দিয়েছে।

তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইসমিরেও এগিয়ে রয়েছে সিএইচপি। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে সিএইচপি এগিয়ে রয়েছে। এমনকি একে পার্টির শক্তিশালী ঘাঁটিগুলোতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা জয় পেয়েছে।

ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ইস্তাম্বুলে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করছেন। প্রায় ১০ হাজার মানুষ আলো জ্বালিয়ে এবং তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে এ জয় উদযাপন করছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর প্রেসিডেন্সিয়াল প্রাসাদ থেকে বক্তব্য দিয়েছেন এরদোগান। ২০০২ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা একে পার্টির প্রধান এরদোগান এ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, হারের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে।