ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই Logo চাঁদা না পেয়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিককে পেটাল ছাত্রদল নেতা Logo সীমাবদ্ধতার মাঝেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি

কিডনি রোগীদের জন্য রোজায় সতর্কতা

সবজি

সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কিডনি রোগীরা রোজা পালন করতে পারেন। তৃতীয় পর্যায়ের রোগীদের অবশ্যই কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের রোগী এবং ডায়ালাইসিসের রোগীদের রোজা পালন করা নিষেধ।

দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এ সংখ্যা দুই কোটির বেশি। প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। কিডনি রোগীরা রোজা পালন করতে চাইলে তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি নিতে হবে। রোজা পালন করলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনার খাদ্যতালিকা সাজাবেন।

কী খাবেন
কিডনি রোগ এমন একটি রোগ, যেখানে পানিও মেপে খেতে হয়। তাই আপনাকে সারা দিন বুঝেশুনে খাবার খেতে হবে।

কিডনি রোগীদের রক্তের ক্রিয়েটিনিন রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রক্তের ইলেকট্রোলাইটসে পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেটের রিপোর্ট দেখে শাকসবজি ও ফলমূলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

রোগীদের যদি শুধু ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে ডাল ও ডালের তৈরি খাবার বন্ধ রাখতে হবে। ডালের বেসন দিয়ে তৈরি চানাবুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন রকমের চপ, পাকোড়া, হালিম খাওয়া বন্ধ। শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটি, বাদাম বা এগুলো দিয়ে তৈরি খাবারও বন্ধ। মাছ–মাংস স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমাতে হবে। গরু–খাসির মাংস বন্ধ; তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে পরিমিত খাওয়া যাবে।

কিডনি রোগীদের পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট বেশি থাকলে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফল খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

ফল
ফলের মধ্যে প্রায় সব ফলই পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। তাই সব ধরনের ফল খাওয়া বন্ধ রাখাই উত্তম। বিশেষ করে টক ফলে পটাশিয়াম বেশি থাকে। শুধু আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, পেঁপে, বরই কম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। এগুলো দিনে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। ডাবের পানিও বেশ পটাশিয়ামসমৃদ্ধ।

শাকসবজি ও আটা–ময়দার খাবার
● সব ধরনের শাকসবজিতেই কমবেশি পটাশিয়াম থাকে; যা কিডনিবান্ধব নয়। তাই শাকসবজি থেকে কিছুটা পটাশিয়াম কমিয়ে খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে শাকসবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে। শাকসবজি বেশি ঝোল করে রান্না করবেন, কিন্তু কম ঝোল নিয়ে খাবেন। শাকসবজি ভাজি করে খাওয়া নিষেধ।

● আটা–ময়দার তৈরি খাবার খাওয়া কমাতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম পর্যায়ের রোগীদের আটা–ময়দার তৈরি খাবার বন্ধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে চালের আটার খাবার খেতে পারেন।

●সারা দিনে লবণের ব্যবহার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে।

মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কিডনি রোগীদের জন্য রোজায় সতর্কতা

আপডেট সময় ০১:২৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কিডনি রোগীরা রোজা পালন করতে পারেন। তৃতীয় পর্যায়ের রোগীদের অবশ্যই কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কিন্তু চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের রোগী এবং ডায়ালাইসিসের রোগীদের রোজা পালন করা নিষেধ।

দেশের জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এ সংখ্যা দুই কোটির বেশি। প্রতিবছর এ সংখ্যা বাড়ছে। কিডনি রোগীরা রোজা পালন করতে চাইলে তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি নিতে হবে। রোজা পালন করলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনার খাদ্যতালিকা সাজাবেন।

কী খাবেন
কিডনি রোগ এমন একটি রোগ, যেখানে পানিও মেপে খেতে হয়। তাই আপনাকে সারা দিন বুঝেশুনে খাবার খেতে হবে।

কিডনি রোগীদের রক্তের ক্রিয়েটিনিন রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে দ্বিতীয় শ্রেণির প্রোটিনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। রক্তের ইলেকট্রোলাইটসে পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেটের রিপোর্ট দেখে শাকসবজি ও ফলমূলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

রোগীদের যদি শুধু ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকে, সে ক্ষেত্রে ডাল ও ডালের তৈরি খাবার বন্ধ রাখতে হবে। ডালের বেসন দিয়ে তৈরি চানাবুট, পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন রকমের চপ, পাকোড়া, হালিম খাওয়া বন্ধ। শিমের বিচি, কাঁঠালের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটি, বাদাম বা এগুলো দিয়ে তৈরি খাবারও বন্ধ। মাছ–মাংস স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ শতাংশ কমাতে হবে। গরু–খাসির মাংস বন্ধ; তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে পরিমিত খাওয়া যাবে।

কিডনি রোগীদের পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট বেশি থাকলে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ শাকসবজি ও ফল খাওয়া বন্ধ করতে হবে।

ফল
ফলের মধ্যে প্রায় সব ফলই পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। তাই সব ধরনের ফল খাওয়া বন্ধ রাখাই উত্তম। বিশেষ করে টক ফলে পটাশিয়াম বেশি থাকে। শুধু আপেল, পেয়ারা, নাশপাতি, পেঁপে, বরই কম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। এগুলো দিনে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে। ডাবের পানিও বেশ পটাশিয়ামসমৃদ্ধ।

শাকসবজি ও আটা–ময়দার খাবার
● সব ধরনের শাকসবজিতেই কমবেশি পটাশিয়াম থাকে; যা কিডনিবান্ধব নয়। তাই শাকসবজি থেকে কিছুটা পটাশিয়াম কমিয়ে খেতে হবে। সে ক্ষেত্রে শাকসবজি সেদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে। শাকসবজি বেশি ঝোল করে রান্না করবেন, কিন্তু কম ঝোল নিয়ে খাবেন। শাকসবজি ভাজি করে খাওয়া নিষেধ।

● আটা–ময়দার তৈরি খাবার খাওয়া কমাতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম পর্যায়ের রোগীদের আটা–ময়দার তৈরি খাবার বন্ধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে চালের আটার খাবার খেতে পারেন।

●সারা দিনে লবণের ব্যবহার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে হবে।

মো. ইকবাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল