ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শুনে নেতাকর্মীদের পালাতে নিষেধ ফখরুলের

পুলিশের হুইসেল (বাঁশি) ও সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজ শুনে পালাবে না এমন মানসিকতা তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ জন্য জনগণকে নিয়ে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ছাত্র-শ্রমিক, যুবক—সবাইকে মাঠে নামতে হবে। যারা পুলিশের একটি হুইসেল (বাঁশি), একটি সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজ শুনে পালাবে না—সেই ধরনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে, সেই ধরনের সাহস তৈরি করে দাঁড়াতে হবে।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ কোনো দেশের প্রভুত্ব মানবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো দেশ আমাদের ওপর প্রভুত্ব করতে চাইলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। দেশকে পরাধীন করার ক্ষমতা কারও নেই। তাদের জেনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করেনি। মোগল আমলে করেনি, ব্রিটিশ আমলে করেনি, পাকিস্তান আমলে করেনি, এখনো করবে না।

ক্ষমতাসীনরা ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চালু করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগকে একদিন ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তবে এজন্য সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে নামাতে হবে। বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে ক্ষমতাসীনরা। পরিকল্পিতভাবে ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। আর দেশের মানুষ নিজেদের ভোটের অধিকার হারিয়েছেন।

ছাত্র ও যুবসমাজকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াই সহজ নয়, ১৫ বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছি। অত্যাচার, নির্যাতন, পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। গ্রামের নেতাকর্মীদের অবস্থাও খুব খারাপ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমরা পাকিস্তানের নাম শুনলেই সবাই ফুসকে উঠি, অন্যভাবে চিন্তা করি। ইমরান খান দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে তরুণদের মাঠে নিয়ে আসতে হয়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে নারীদের মাঠে আনতে হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন

পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শুনে নেতাকর্মীদের পালাতে নিষেধ ফখরুলের

আপডেট সময় ০৪:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

পুলিশের হুইসেল (বাঁশি) ও সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজ শুনে পালাবে না এমন মানসিকতা তৈরি করতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ জন্য জনগণকে নিয়ে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ছাত্র-শ্রমিক, যুবক—সবাইকে মাঠে নামতে হবে। যারা পুলিশের একটি হুইসেল (বাঁশি), একটি সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজ শুনে পালাবে না—সেই ধরনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে, সেই ধরনের সাহস তৈরি করে দাঁড়াতে হবে।

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ কোনো দেশের প্রভুত্ব মানবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কোনো দেশ আমাদের ওপর প্রভুত্ব করতে চাইলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। দেশকে পরাধীন করার ক্ষমতা কারও নেই। তাদের জেনে রাখতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনো দিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করেনি। মোগল আমলে করেনি, ব্রিটিশ আমলে করেনি, পাকিস্তান আমলে করেনি, এখনো করবে না।

ক্ষমতাসীনরা ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চালু করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগকে একদিন ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তবে এজন্য সাধারণ মানুষকে আন্দোলনে নামাতে হবে। বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে ক্ষমতাসীনরা। পরিকল্পিতভাবে ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে তারা নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। আর দেশের মানুষ নিজেদের ভোটের অধিকার হারিয়েছেন।

ছাত্র ও যুবসমাজকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক লড়াই সহজ নয়, ১৫ বছর ধরে লড়াই করে যাচ্ছি। অত্যাচার, নির্যাতন, পায়ের নখ তুলে ফেলা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীর। গ্রামের নেতাকর্মীদের অবস্থাও খুব খারাপ।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমরা পাকিস্তানের নাম শুনলেই সবাই ফুসকে উঠি, অন্যভাবে চিন্তা করি। ইমরান খান দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে তরুণদের মাঠে নিয়ে আসতে হয়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে নারীদের মাঠে আনতে হয়।