ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা Logo টানা ৪১ দিন নামাজ আদায়কারী শিশুদের সাইকেল উপহার দিলো জামায়াত Logo ‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’ Logo গোয়াইনঘাটে বাজার দখল নিয়ে আওয়ামী-বিএনপির সংঘর্ষ; আহত ১৫ Logo তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ Logo ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি হয়নি ইরান: ট্রাম্প Logo তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

রমজান উপলক্ষে রাত ৯টার পরেও চলবে মেট্টোরেল

পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬তম রমজানের দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেলে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চালাতে হবে। এর জন্য দরকারি ২৪ সেট মেট্রোরেল আছেও। আগামী জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যাত্রী আশানুরূপ না বাড়লে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানো যাবে কি না, এ নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছে কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে মেট্রোরেল চলে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পিক আওয়ারে (৭টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। কিন্তু রোজা শুরুর পর দিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এ ছাড়া চলাচলের সময় বাড়ানোর ফলে যাত্রীসংখ্যা আগের জায়গায় চলে যাবে বা এর চেয়েও বেশি হবে। আর ঈদের পর বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে এপ্রিলেই দুই ট্রেনের মধ্যে চলাচলের যে সময় নির্ধারিত আছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা তাদের লক্ষ্য। এ জন্য চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে তারা বিশ্লেষণ করছেন। প্রয়োজন অনুসারে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন। তিনি বলেন, তাঁরা নিজেদের আয়ে চলছেন। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছেন না। মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

রমজান উপলক্ষে রাত ৯টার পরেও চলবে মেট্টোরেল

আপডেট সময় ০১:০৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও মেট্রোরেল চালু রাখার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যাও।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬তম রমজানের দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। তখন চলবে ১৯৪ বার। পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, মেট্রোরেলে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চালাতে হবে। এর জন্য দরকারি ২৪ সেট মেট্রোরেল আছেও। আগামী জুনের মধ্যে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে যাত্রী আশানুরূপ না বাড়লে সর্বোচ্চ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালানো যাবে কি না, এ নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় আছে কর্তৃপক্ষ।

বর্তমানে মেট্রোরেল চলে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পিক আওয়ারে (৭টা থেকে সাড়ে বেলা ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। কিন্তু রোজা শুরুর পর দিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এ ছাড়া চলাচলের সময় বাড়ানোর ফলে যাত্রীসংখ্যা আগের জায়গায় চলে যাবে বা এর চেয়েও বেশি হবে। আর ঈদের পর বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে এপ্রিলেই দুই ট্রেনের মধ্যে চলাচলের যে সময় নির্ধারিত আছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

এ বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা তাদের লক্ষ্য। এ জন্য চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে তারা বিশ্লেষণ করছেন। প্রয়োজন অনুসারে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন। তিনি বলেন, তাঁরা নিজেদের আয়ে চলছেন। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নিচ্ছেন না। মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।