ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে টিকটক বন্ধের পরামর্শ অতিরিক্ত আইজিপির

অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, টিকটক ও লাইকির মতো এমন অনেক অ্যাপস আছে যা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে এসব বিতর্কিত অ্যাপস প্রয়োজনে বন্ধ করা যেতে পারে। ঢাকা শহরে শিশুদের উপযুক্ত খেলার মাঠ, সুস্থ বিনোদন ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ কম, যে কারণে শিশুরা অসুস্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি আসক্ত হচ্ছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে পরোক্ষ প্রভাব থাকলেও সরাসরি কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। কিশোর গ্যাং নিমূর্লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। মিরপুরে ফয়সাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কিশোর অপরাধে জড়িত মদদদাতাদেরও তালিকা তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও আইন প্রয়োগে সেটা বড় কোনো সমস্যা হবে না।

কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন নিম্নের ১০ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন: ১) কিশোর অপরাধ রোধে রাজনৈতিক উচ্চ পর্যায় থেকে প্রশাসনের সর্বস্তরে সদিচ্ছা প্রদান করা ২) প্রচলিত শিশু আইনে কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া জটিল মনে হলে প্রয়োজনে আইনের সংস্কার করা। ৩) স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন অনুযায়ী বিতর্কিত অ্যাপসগুলো বন্ধ করতে বিটিআরসিকে উদ্যোগ গ্রহণ করা। রাত ১০টার পর অতি জরুরি নয় এ ধরনের অ্যাপসগুলো বন্ধ রাখা ৪) স্কুল কলেজগুলোতে পাঠ দানে বৈচিত্রতা তৈরি করে শিশু কিশোরদের আরও বেশি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা। এলাকাভিত্তিক পাঠাগার, খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা ৫) পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ৬) সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার ওয়ার্ড পর্যায়ে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সিটিজেন মনিটরিং কমিটি গঠন করা ৭) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্মহ অভিযানের মাধ্যমে কিশোর গ্যাংদের বিরদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা ৮) সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে জাতীয় পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে কাউন্সেলিং গাইডলাইন প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়ন করা ৯) সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভূমিকা বাড়ানোর লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণ করা ১০) কিশোর অপরাধ সংশোধন কেন্দ্রগুলো আধুনিকায়ন করে সেখানে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা।

“সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহারের কারণে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে” শীর্ষক ছায়া সংসদে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে বিতার্কিকদের পরাজিত করে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. রাশেদা রওনক খান, সাংবাদিক এস এম ফয়েজ, সাংবাদিক মাসুদা লাবনী এবং সাংবাদিক জুমাতুল বিদা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত

কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে টিকটক বন্ধের পরামর্শ অতিরিক্ত আইজিপির

আপডেট সময় ১১:৪৭:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

অতিরিক্ত আইজিপি ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেছেন, টিকটক ও লাইকির মতো এমন অনেক অ্যাপস আছে যা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর। কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে এসব বিতর্কিত অ্যাপস প্রয়োজনে বন্ধ করা যেতে পারে। ঢাকা শহরে শিশুদের উপযুক্ত খেলার মাঠ, সুস্থ বিনোদন ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ কম, যে কারণে শিশুরা অসুস্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি আসক্ত হচ্ছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির কারণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে পরোক্ষ প্রভাব থাকলেও সরাসরি কোনো রাজনৈতিক চাপ নেই। কিশোর গ্যাং নিমূর্লে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। মিরপুরে ফয়সাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কিশোর অপরাধে জড়িত মদদদাতাদেরও তালিকা তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও আইন প্রয়োগে সেটা বড় কোনো সমস্যা হবে না।

কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন নিম্নের ১০ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন: ১) কিশোর অপরাধ রোধে রাজনৈতিক উচ্চ পর্যায় থেকে প্রশাসনের সর্বস্তরে সদিচ্ছা প্রদান করা ২) প্রচলিত শিশু আইনে কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া জটিল মনে হলে প্রয়োজনে আইনের সংস্কার করা। ৩) স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন অনুযায়ী বিতর্কিত অ্যাপসগুলো বন্ধ করতে বিটিআরসিকে উদ্যোগ গ্রহণ করা। রাত ১০টার পর অতি জরুরি নয় এ ধরনের অ্যাপসগুলো বন্ধ রাখা ৪) স্কুল কলেজগুলোতে পাঠ দানে বৈচিত্রতা তৈরি করে শিশু কিশোরদের আরও বেশি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা। এলাকাভিত্তিক পাঠাগার, খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বিনোদনের ব্যবস্থা করা ৫) পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ জাগ্রত করে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা ৬) সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার ওয়ার্ড পর্যায়ে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সিটিজেন মনিটরিং কমিটি গঠন করা ৭) আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্মহ অভিযানের মাধ্যমে কিশোর গ্যাংদের বিরদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা ৮) সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে জাতীয় পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে কাউন্সেলিং গাইডলাইন প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়ন করা ৯) সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভূমিকা বাড়ানোর লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণ করা ১০) কিশোর অপরাধ সংশোধন কেন্দ্রগুলো আধুনিকায়ন করে সেখানে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা।

“সোশ্যাল মিডিয়ার অবাধ ব্যবহারের কারণে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে” শীর্ষক ছায়া সংসদে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে বিতার্কিকদের পরাজিত করে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. রাশেদা রওনক খান, সাংবাদিক এস এম ফয়েজ, সাংবাদিক মাসুদা লাবনী এবং সাংবাদিক জুমাতুল বিদা। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।