এবার চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) খেলছেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠেছেন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই পেয়েছেন চার উইকেট। আইপিএল ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম চার উইকেট।
শুক্রবার (২২ মার্চ) চেন্নাইয়ের মাঠ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার টস জিতে আগে ব্যাটিং নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। মোস্তাফিজের বোলিং তোপে ৭৮ রানে পাঁচ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করে। চার ওভার বল করে ২৯ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান মোস্তাফিজ।
আইপিএলে এটাই মোস্তাফিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এর আগে ২০১৬ সালের নিজের প্রথম আসরে সানরাইজার্স হায়দারাবাদের হয়ে মূম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬ রানে ৩ উইকেট ছিল তার আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
অথচ মাতিশা পাতিরানা সুস্থ থাকলে হয়তো একাদশেই থাকা হতো না মোস্তাফিজের। সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন লঙ্কান পেসার। যে কারণে সুযোগটা সহজেই মিলে যায় মোস্তাফিজের।
এদিন ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনে চেন্নাই। প্রথম ওভারেই বাজিমাত! তার দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি তুলে নেন দু প্লেসি। তবে পরের বলেই মোস্তাফিজের পাল্টা আঘাত। আরও একটি বাউন্ডারি তুলে নেওয়ার চেস্টায় দু প্লেসি ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দেন রাচিন রবীন্দ্রকে। অবশ্য দারুণ ক্যাচ লুফে নেন এই অলরাউন্ডার।
একই ওভারে তিন নামা রজত পতিদারকেও তুলে নেন মোস্তাফিজ। প্রথম দুই বলে ব্যাটে লাগাতে পারেননি এই ব্যাটার। শেষ বলে ড্রাইভ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে।
এরপর দ্বাদশ ওভারে বল করতে আসেন কাটার মাস্টার। দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলিকে। তার স্লোয়ার বাউন্সারে পুল করতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে ডিপ মিডউইকেটে আজিঙ্কা রাহানে ও রাচিন রবীন্দ্রর তিকি-তাকা ক্যাচে পরিণত হন। ক্যাচ ধরে রাহানে নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে বাউন্ডারি লাইনে দিকে চলে গেলে ছুঁড়ে দেন রাচিনকে।
এক বল পর ক্যামেরুন গ্রিনকে আউট করে দেন মোস্তাফিজ। তার খাট লেন্থের বল পেছনের দিকে সরে কাট করতে গিয়েছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার। তবে লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
এরপর ১৭তম ওভারে ফের বল করতে আসেন মোস্তাফিজ। তবে কোনো উইকেট পাননি। ১৯তম ওভারে নিজের শেষ ওভারে দুটি সুযোগ তৈরি করলেও উইকেট মিলেনি। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে।