চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ মোতালেবকে জামায়াতের এমপি বলে সম্বোধন করেছেন এই আসনের সাবেক সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় জামায়াত তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে। শিবির কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে মিছিল করেছে। মনে হচ্ছে তারা এখান থেকে ইসলামি স্টেটের কাজ শুরু করেছে। তাহলে স্বতন্ত্র এমপি সাহেব সরকারের এমপি, না কি জামায়াতের এমপি আমি জানি না।’
বৃহস্পতিবার (২১মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সাতকানিয়া-লোহাগড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি’, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা-মামলা’র প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
নদভী বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে এখন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নৌকা নাই, নৌকা নাই মানে আওয়ামী লীগ নাই। স্বতন্ত্র আছে, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে, স্বতন্ত্রও নাই, জামায়াত আছে। এখন জামায়াতের এমন কোনো ক্যাডার নাই, যারা মাঠে নাই।’
তার দাবি, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নিজের বাড়ি যেতে পারছেন না। এছাড়া গত দুই মাসে ছয়টি হত্যাকাণ্ডসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর প্রায় দুই মাসে ৬ মার্ডার হয়েছে। যেখান আমার ১০ বছরে একজনও মার্ডার হয়নি। আমি এমপি হওয়ার আগে যে পরিস্থিতি ছিল, এখন তার চাইতে ডেঞ্জারাস পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কি ঘটনা ঘটে আমি জানি না। এমন কোনো দিন নাই ডাকাতি হচ্ছে না, কেউ না কেউ আহত হচ্ছে।
এসব ঘটনার জন্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ডা. আ.ম.ম মিনহাজুর রহমান ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেবকে দায়ী করেন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ইদ্রিসসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী প্রায় ৪৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থীও আওয়াম লীগ নেতা আব্দুল মোতালেবের কাছে।