ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা Logo ‘সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই’ Logo রাকসুতে হেরে যাওয়া ছাত্রদল প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের শিবিরের সঙ্গীতকে কটাক্ষ করে নাচ Logo দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি Logo দ্য নিউজের সাংবাদিক ইমরানকে প্রাণনাশের হুমকি Logo দেশ জুড়ে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: মির্জা ফখরুল Logo চট্রগ্রাম বন্দরে ১২০০ টন কাচামাল নিয়ে জাহাজডুবি Logo রিশাদের রেকর্ড বোলিংয়ে মিরপুরে বাংলাদেশের বড় জয় Logo মৌলভীবাজারে এম নাসের রহমানের নির্বাচনী গণসংযোগ শুরু Logo একাত্তরের শহিদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করলেন চাকসুর ভিপি-জিএসরা

সামর্থবানদের সম্পদে দরিদ্রদের হক রয়েছে- শিবির সভাপতি

মাহে রমাদান উপলক্ষ্যে রমাদান ফুড প্যাক উপহার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রমাদান ফুড প্যাক উপহার প্রদান করেন। আয়োজনে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামসহ সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ”মাহে রমাদান হচ্ছে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের প্রশিক্ষণের মাস। তাই মাহে রমাদানের শিক্ষা রমাদানেই বাস্তবায়ন করতে হবে। রমাদান আমাদেরকে সংযমের মাধ্যমে সামাজিক ভেদাভেদ ও শ্রেণী বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসার শিক্ষা দেয়। রমাদানের সংযমের শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। সাধ্য অনুযায়ী সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। এ সাহায্য কোন দয়া নয়। বরং সামর্থবানদের সম্পদে দরিদ্র মানুষের হক রয়েছে। সেই হক সঠিকভাবে আদায় করলে একদিকে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে, অপরদিকে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।”

তিনি বলেন, ”হক আদায় করে রোজা পালনের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে সুযোগ ও সহায়তা দরকার ছিল তা থেকে জনগণ বঞ্চিত। উল্টো সরকারই মাহে রমাদানকে সামনে রেখে বাজারকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় ইফতার আয়োজনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের মদদে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ইফতার মাহফিলে রোজাদার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তাদের রক্তাক্ত করছে। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন ইসলাম বিদ্ধেষ ও বর্বরতার নিন্দা জানায়।”

তিনি আরও বলেন, ”আমরা ইসলাম প্রিয় তাওহীদি জনতা ও ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, আপনারা যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইফতার আয়োজন সফল করে ইসলাম বিদ্ধেষীদের উপযুক্ত জবাব দিন। ছাত্রশিবির একটি ছাত্র সংগঠন হলেও আমরা সাধ্যমত সর্বস্তরের মানুষের সাথে মাহে রমাদান পালন করতে চেষ্টা করি। মাহে রমাদান উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা সারাদেশে রোজাদারদের মাঝে ফুড প্যাক উপহার প্রদান করে। সারাদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

তবে দূর্ভাগ্যজনকভাবে স্বয়ং রাষ্ট্র শক্তি আমাদের কল্যাণমূলক কাজগুলোকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা নিজেরা যেমন মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে আগ্রহী নয় তেমনি আমরা জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে চাইলে সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিন্তু ছাত্রশিবির তার গঠনমূলক কাজে কখনো থেমে যায়নি। মানবতার জন্য আমাদের কাজ যে কোন মূল্য অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।”

আমরা জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার প্রতি আস্থাশীল। ছাত্রশিবিরের সকল গঠনমূলক কাজে জনগণের সার্বিক সহযোগিতা, সম্পৃক্ততা ও দোয়া কামনা করছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

সামর্থবানদের সম্পদে দরিদ্রদের হক রয়েছে- শিবির সভাপতি

আপডেট সময় ০৭:১৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

মাহে রমাদান উপলক্ষ্যে রমাদান ফুড প্যাক উপহার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম রমাদান ফুড প্যাক উপহার প্রদান করেন। আয়োজনে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামসহ সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ”মাহে রমাদান হচ্ছে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের প্রশিক্ষণের মাস। তাই মাহে রমাদানের শিক্ষা রমাদানেই বাস্তবায়ন করতে হবে। রমাদান আমাদেরকে সংযমের মাধ্যমে সামাজিক ভেদাভেদ ও শ্রেণী বৈষম্য থেকে বেরিয়ে আসার শিক্ষা দেয়। রমাদানের সংযমের শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। সাধ্য অনুযায়ী সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। এ সাহায্য কোন দয়া নয়। বরং সামর্থবানদের সম্পদে দরিদ্র মানুষের হক রয়েছে। সেই হক সঠিকভাবে আদায় করলে একদিকে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হবে, অপরদিকে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।”

তিনি বলেন, ”হক আদায় করে রোজা পালনের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে সুযোগ ও সহায়তা দরকার ছিল তা থেকে জনগণ বঞ্চিত। উল্টো সরকারই মাহে রমাদানকে সামনে রেখে বাজারকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারী প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় ইফতার আয়োজনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারের মদদে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ইফতার মাহফিলে রোজাদার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে তাদের রক্তাক্ত করছে। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন ইসলাম বিদ্ধেষ ও বর্বরতার নিন্দা জানায়।”

তিনি আরও বলেন, ”আমরা ইসলাম প্রিয় তাওহীদি জনতা ও ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান রেখে বলতে চাই, আপনারা যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইফতার আয়োজন সফল করে ইসলাম বিদ্ধেষীদের উপযুক্ত জবাব দিন। ছাত্রশিবির একটি ছাত্র সংগঠন হলেও আমরা সাধ্যমত সর্বস্তরের মানুষের সাথে মাহে রমাদান পালন করতে চেষ্টা করি। মাহে রমাদান উপলক্ষ্যে প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা সারাদেশে রোজাদারদের মাঝে ফুড প্যাক উপহার প্রদান করে। সারাদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।

তবে দূর্ভাগ্যজনকভাবে স্বয়ং রাষ্ট্র শক্তি আমাদের কল্যাণমূলক কাজগুলোকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা নিজেরা যেমন মানুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে আগ্রহী নয় তেমনি আমরা জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে চাইলে সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। কিন্তু ছাত্রশিবির তার গঠনমূলক কাজে কখনো থেমে যায়নি। মানবতার জন্য আমাদের কাজ যে কোন মূল্য অব্যাহত রাখব ইনশাআল্লাহ।”

আমরা জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার প্রতি আস্থাশীল। ছাত্রশিবিরের সকল গঠনমূলক কাজে জনগণের সার্বিক সহযোগিতা, সম্পৃক্ততা ও দোয়া কামনা করছি।