ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোহাম্মদপুরে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার Logo সুপার ফোরে উঠতে পারে বাংলাদেশ, আশাবাদী শোয়েব মালিক Logo চিরনিদ্রায় শায়িত জাবি শিক্ষিকা জান্নাতুল ফেরদৌস Logo বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না: দুলু Logo জাকসু: অব্যবস্থাপনা ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ Logo লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি, সরে দাঁড়ালেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার Logo অবশেষে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সুশীলা কার্কি, রাতেই শপথ Logo চাঁদা না দেওয়ায় ইমামকে হত্যাচেষ্টা, থানায় অভিযোগ Logo ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেই চলবে ভোট গণনা, ফলাফল আজকের মধ্যেই Logo জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির ৫০ নেতাকর্মী

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ডের পর বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। তার স্থলে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর কবীরকে সাময়িক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পদত্যাগ ও নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দয়িত্ব পালনকালে প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, আমার এ পথ চলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

এদিকে আ স ম ফিরোজ উল হাসানের পদত্যাগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করলো জাবিতে কোনো ধর্ষকের সহায়তাকারীর স্থান নেই। মাহমুদুর রহমান জনির মত বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধ-রাজ্য গড়ে তোলার কারিগরের অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এ রকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোহাম্মদপুরে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে জাবি প্রক্টরের পদত্যাগ

আপডেট সময় ০৮:০২:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ডের পর বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। তার স্থলে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর কবীরকে সাময়িক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে পদত্যাগ ও নতুন প্রক্টর নিয়োগের বিষয়টি জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দয়িত্ব পালনকালে প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, আমার এ পথ চলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।

এদিকে আ স ম ফিরোজ উল হাসানের পদত্যাগে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করলো জাবিতে কোনো ধর্ষকের সহায়তাকারীর স্থান নেই। মাহমুদুর রহমান জনির মত বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধ-রাজ্য গড়ে তোলার কারিগরের অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। যাতে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এ রকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়।