৪৮তম ওভারের শুরুতে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম বলটি ওয়াইড করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। পরের বল করতে গিয়ে রানআপের আগেই আটকে যান এই বাঁহাতি পেসার। পরে চেষ্টা করেও না পেরে থেমে যান। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়লেন মোস্তাফিজ।
এর আগে পরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে এগিয়েছে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার খেলে অলআউট হওয়ার আগে ২৩৫ রান করেছে সফরকারীরা। সেটাও অষ্টম উইকেট জুটিতে আসা ৬০ রানের সুবাদে।
প্রচণ্ড গরমের কারণে পেস বোলারদের সমস্যা হচ্ছিল, সে কারণে ধারণা করা হচ্ছে মোস্তাফিজের হয়তো ক্র্যাম্প হয়েছে। এর আগেই দিলশান মাদুশঙ্কা ও তানজিম হাসান সাকিব হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েন শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন। আজ দিনের আলোয় খেলা বলে তাপটা ভুগিয়েছে সবাইকে।
তবে বাংলাদেশের পেসাররা গরম সামলেই দুর্দান্ত বল করেছেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তে এলবিডাব্লিউ হন পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু নিজের পরের ওভারে তাসকিন যেভাবে আভিষ্কা ফার্নান্দোকে যেভাবে আউট করেছেন, তাতে পুরো কৃতিত্ব তাসকিনেরই।
শুরুতেই তাসকিনের জোড়া ধাক্কা সামলে শ্রীলঙ্কা আর রানের গতি বাড়াতে পারেনি। পাওয়ার প্লের পর বোলিং করতে এসেই সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ১৮তম ওভারে রিশাদ হোসেনের প্রথম বলে হাস্যকরভাবে ক্যাচ দেন অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসও। ৭৪ বলে ৪ উইকেট হারানো দলকে টানার দায়িত্ব ছিল সহ-অধিনায়ক আসালাঙ্কার।
তবে মোস্তাফিজের পরের স্পেলেই মুশফিকের চতুর্থ ক্যাচ হয়ে ফিরে গেছেন তিনিও। শ্রীলঙ্কার রান তখন ১১৭। ১০ ওভারের মধ্যে সেটা ৭ উইকেটে ১৫৪ হয়ে যায় মিরাজের সুবাদে।
তবে এক প্রান্তে কোনোভাবেই হার মানতে রাজি হননি জানিত লিয়ানাগে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ফিফটি পাওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মহিশ তিকশানাকে নিয়ে ৬০ রান এনে দিয়েছেন। এতে তিকশানার অবদান মাত্র ১৫, সেটাও ৪০ বলে। মোস্তাফিজ চলে যাওয়ায় তাঁর ওভার করতে এসেই তিকশানাকে ফিরিয়েছেন সৌম্য।
তবু ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত মাঠে ছিলেন লিয়ানাগে (১০১*)। ১০১ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো লিয়ানাগে আউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৪২ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। মোস্তাফিজ ও মিরাজ পেয়েছেন ২টি করে।