আগামী ২৫ মার্চ থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে। প্রথম দিনে দেওয়া হবে ৪ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে। স্টেশনের কাউন্টার থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে না।
বুধবার (১৩ মার্চ) রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রার বিস্তারিত জানাবেন। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ২৫ মার্চ ৪ এপ্রিলের, ২৬ মার্চ ৫ এপ্রিলের, ২৭ মার্চ ৬ এপ্রিলের, ২৮ মার্চ ৭ এপ্রিলের, ২৯ মার্চ ৮ এপ্রিলের, ৩০ মার্চ ৯ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
রমজান মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হলে আগামী ১১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সেক্ষেত্রে ১০ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বিক্রি করা হবে। ফিরতি ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩ এপ্রিল থেকে। সেদিন দেওয়া হবে ১৩ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট।
ঈদযাত্রায় ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। এর মধ্যে দুই জোড়া চলবে শুধু ঈদের দিনে। বাকি পাঁচ জোড়া চলবে ঈদের আগে থেকে। পঞ্চগড়ের এমপি নুরুল ইসলাম সুজন রেলমন্ত্রী থাকাকালে ৫ বছর বিশেষ ট্রেন ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত চালিয়েছে রেলওয়ে। এবার জয়দেবপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত চালাবে।
প্রতি বছর ঈদে অনলাইনে টিকিট পেতে বিড়ম্বনায় পড়েন যাত্রীরা। এক সঙ্গে লাখো মানুষ চেষ্টা করায় সার্ভারে সমস্যা দেখা দেয়। তাই এবারও গতবারের মতো পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট পৃথক সময়ে বিক্রি করা হবে। সকালে পূর্বাঞ্চলের এবং দুপুরের পর পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট দেওয়া হতে পারে।
রেল সূত্র জানিয়েছে, ৪৪টি মিটার গেজ এবং ২৭টি ব্রডগেজ বগি অতিরিক্ত হিসেবে যুক্ত করা হবে ঈদযাত্রায়। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর ট্রেনে মোট আসনের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৭২। বিশেষ ট্রেনসহ তা বেড়ে ৩২ হাজারের কাছাকাছি হতে পারে। ঈদযাত্রায় নীলসাগর এবং চিলাহাটি এক্সপ্রেস কমলাপুরের পরিবর্তে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়বে।