ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বর্ণিল আয়োজনে ঢাকাস্থ হাতিয়া ফোরাম এর ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo ভাঙা হলো বিজয় সরণির ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’, নির্মান হবে জুলাই ‘গণমিনার’ Logo ‘অচিরেই দেশের সকল ইসলামী শক্তির মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে’ Logo আজ হিজরি নববর্ষ — ১লা মুহাররম, নতুন বছর ১৪৪৭ Logo বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে পিস্তল ও ককটেল উদ্ধার Logo গাজায় উপত্যকায় ৩ দিনে অন্তত ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত Logo মুন্সিগঞ্জে সেতুর নিচে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ম*র*দে*হ উদ্ধার Logo ইরানকে আলোচনায় ফেরাতে লোভনীয় প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের Logo ইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে বিশৃঙ্খলা: সেনবাগ ছাত্রদল সভাপতি বহিষ্কার

রমজানের প্রথম দিনেই লেবুর হালি ৮০ টাকা

রমজান মাসের প্রথম দিনই ৫ টাকার প্রতিপিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। ৪০ টাকার শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। রাজধানীতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। হিসাব না মেলায় চাহিদামতো পণ্য কিনতে না পেরে মলিন চেহারায় ঘরে ফিরছেন অনেক মানুষ। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে এক দিকে বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা, অন্যদিকে করের জালকে দায়ী করছেন ভোক্তারা।

রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। মূলত রমজানে লেবুর চাহিদা বাড়ে ইফতারিতে শরবতের জন্য। শরবতের দুই উপাদানের একটিরও দাম মানুষের নাগালে নেই। প্রতি কেজি চিনিও এখন ১৪৫ টাকা। ফলে স্বল্প আয়ের অধিকাংশ মানুষকেই ইফতারির তালিকা থেকে শরবতকে বাইরে রাখতে হচ্ছে।

রমজানের প্রথম ইফতার হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিভিন্ন পণ্যের দাম শুনে অনেকেই মুখ ভার করে ফিরে গেছে। কোনোভাবেই হিসাব মিলাতে পারছেন না বেশিরভাগ ক্রেতা।

একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে গিয়ে ২০ টাকা দেওয়ার পর বিক্রেতা একটি লেবু দিয়েছে। মাত্র দুইদিন আগে একই লেবু কিনেছি ৫ টাকায়। অনেকটা হরিলুট হিসাব। যে যেভাবে পারছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১১০ টাকা, মটর ডাল ৮০ টাকা এবং মসুর ডালের মধ্যে মোটা জাতের ১১৫ টাকা এবং চিকন জাতের দেশীয় মসুর ডাল ১৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে বেড়ে গেছে সব ধরনের সবজির দাম। বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝালও। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। রমজানে অতি চাহিদাসম্পন্ন শসার দাম শতক ছুঁয়েছে। বেগুনের দামও শতকের কাছাকাছি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। অথচ দুই দিন আগেও সবচেয়ে ভালো জাতের বেগুন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে।

বর্ণিল আয়োজনে ঢাকাস্থ হাতিয়া ফোরাম এর ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

রমজানের প্রথম দিনেই লেবুর হালি ৮০ টাকা

আপডেট সময় ০১:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

রমজান মাসের প্রথম দিনই ৫ টাকার প্রতিপিস লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। ৪০ টাকার শসা ও খিরা বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। সবধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে। রাজধানীতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রমজান মাস শুরু না হতেই বাজারে অস্বাভাবিক উত্তাপ ছড়িয়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। লেবু, শসা, পেঁয়াজ, আলু, বেগুনসহ সেহরি ও ইফতার সংশ্লিষ্ট সব পণ্যের দাম যেন আকাশছোঁয়া। হিসাব না মেলায় চাহিদামতো পণ্য কিনতে না পেরে মলিন চেহারায় ঘরে ফিরছেন অনেক মানুষ। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে এক দিকে বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা, অন্যদিকে করের জালকে দায়ী করছেন ভোক্তারা।

রমজান শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকেই শসা এবং লেবুর দাম বাড়তে শুরু করে অস্বাভাবিকভাবে। এক হালি লেবুর দাম ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। মূলত রমজানে লেবুর চাহিদা বাড়ে ইফতারিতে শরবতের জন্য। শরবতের দুই উপাদানের একটিরও দাম মানুষের নাগালে নেই। প্রতি কেজি চিনিও এখন ১৪৫ টাকা। ফলে স্বল্প আয়ের অধিকাংশ মানুষকেই ইফতারির তালিকা থেকে শরবতকে বাইরে রাখতে হচ্ছে।

রমজানের প্রথম ইফতার হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাজারে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিভিন্ন পণ্যের দাম শুনে অনেকেই মুখ ভার করে ফিরে গেছে। কোনোভাবেই হিসাব মিলাতে পারছেন না বেশিরভাগ ক্রেতা।

একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে গিয়ে ২০ টাকা দেওয়ার পর বিক্রেতা একটি লেবু দিয়েছে। মাত্র দুইদিন আগে একই লেবু কিনেছি ৫ টাকায়। অনেকটা হরিলুট হিসাব। যে যেভাবে পারছে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে, মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, প্রতি কেজি ছোলার ডাল ১১০ টাকা, মটর ডাল ৮০ টাকা এবং মসুর ডালের মধ্যে মোটা জাতের ১১৫ টাকা এবং চিকন জাতের দেশীয় মসুর ডাল ১৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে বেড়ে গেছে সব ধরনের সবজির দাম। বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝালও। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না। রমজানে অতি চাহিদাসম্পন্ন শসার দাম শতক ছুঁয়েছে। বেগুনের দামও শতকের কাছাকাছি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। অথচ দুই দিন আগেও সবচেয়ে ভালো জাতের বেগুন বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে।