ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খননের পথে আফগানিস্তান

আফগানিস্তান

করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে— বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।

প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি।

এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য ‘গেমচেঞ্জার’ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।

আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।

এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।

২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো— কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।

শান্ত আকাশ থেকে উড়ে এসে অধিনায়ক হয়নি, পারফর্ম করে দলে এসেছে: পাপন

সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খননের পথে আফগানিস্তান

আপডেট সময় ০৬:০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে— বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।

প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি।

এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য ‘গেমচেঞ্জার’ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।

আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।

এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।

২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো— কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।