ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন চবির ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন চবির ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান।

রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান কক্ষে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। সভাপতির কক্ষে সভাপতির চেয়ারের ঠিক উপরে প্রায় ৪০ কেজি ওজনের একটি প্লাইউড বোর্ড ইন্টেরিয়র নকশার জন্য ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কর্তৃক স্থাপন করা হয়েছিলো। নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলা, নিম্নমানের ইনস্টলেশন এর কারণে, এই কাঠের বোর্ডটি দেয়াল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপদজনকভাবে ঠিক চেয়ারম্যান স্যারের কাছাকাছি এসে পড়ে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্লাইউড বোর্ডটি মাত্র ৩ মিলিমিটার গভীরে ঢোকানো পেরেক ব্যবহার করে দেয়ালে লাগানো ছিল। জং ধরা পেরেক দিয়ে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি বোর্ড লাগানো হলে, এটি সবার জন্য মাত্রাতিরিক্ত ঝুকি তৈরী করে। নিছক স্যারের ভাগ্য সহায় না হলে এবং উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করে স্যার সরে না গেলে, ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট আজ একটি কলংকিত ঘটনার সাক্ষী হতে পারতো। যদি বোর্ডটি মাত্র 4 ইঞ্চি বামে ও পড়ে যেত তাহলে পরিণতি খুবই ভয়ানক হতো; গুরুতর আঘাত, এমনকি প্রাণহানিও হতে পারতো।

উল্লেখ্য মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মাত্র ৫ মাস আগে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং করা হয়। পরিচালক ও চেয়ারম্যান কক্ষের সাজসজ্জার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিলো। পর্যাপ্ত বাজেট ব্যাবহার করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় দ্বায়িত্বশীলদের কাজের স্বচ্ছতা ও দ্বায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

আমরা ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।। একই সাথে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গের কাছে সুষ্ঠু জবাবদিহিতা দাবী করছি। ইন্টেরিয়র ডিজাইং নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু, সেটা কখনোইই মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে পারেনা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন চবির ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান

আপডেট সময় ০৫:২০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন চবির ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান।

রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে ফিশারিজ বিভাগের চেয়ারম্যান কক্ষে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। সভাপতির কক্ষে সভাপতির চেয়ারের ঠিক উপরে প্রায় ৪০ কেজি ওজনের একটি প্লাইউড বোর্ড ইন্টেরিয়র নকশার জন্য ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কর্তৃক স্থাপন করা হয়েছিলো। নিরাপত্তার বিষয়ে অবহেলা, নিম্নমানের ইনস্টলেশন এর কারণে, এই কাঠের বোর্ডটি দেয়াল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিপদজনকভাবে ঠিক চেয়ারম্যান স্যারের কাছাকাছি এসে পড়ে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, প্লাইউড বোর্ডটি মাত্র ৩ মিলিমিটার গভীরে ঢোকানো পেরেক ব্যবহার করে দেয়ালে লাগানো ছিল। জং ধরা পেরেক দিয়ে প্রায় ৩০ কেজি ওজনের একটি বোর্ড লাগানো হলে, এটি সবার জন্য মাত্রাতিরিক্ত ঝুকি তৈরী করে। নিছক স্যারের ভাগ্য সহায় না হলে এবং উপস্থিত বুদ্ধি ব্যবহার করে স্যার সরে না গেলে, ফিশারিজ ডিপার্টমেন্ট আজ একটি কলংকিত ঘটনার সাক্ষী হতে পারতো। যদি বোর্ডটি মাত্র 4 ইঞ্চি বামে ও পড়ে যেত তাহলে পরিণতি খুবই ভয়ানক হতো; গুরুতর আঘাত, এমনকি প্রাণহানিও হতে পারতো।

উল্লেখ্য মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ অনুষদে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মাত্র ৫ মাস আগে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং করা হয়। পরিচালক ও চেয়ারম্যান কক্ষের সাজসজ্জার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিলো। পর্যাপ্ত বাজেট ব্যাবহার করা সত্ত্বেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় দ্বায়িত্বশীলদের কাজের স্বচ্ছতা ও দ্বায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

আমরা ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।। একই সাথে ইন্টেরিয়র ডিজাইনের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিবর্গের কাছে সুষ্ঠু জবাবদিহিতা দাবী করছি। ইন্টেরিয়র ডিজাইং নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু, সেটা কখনোইই মৌলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে পারেনা।