ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ হাসিনার বিজয় মিছিলে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মায়েদের ছবি ভাইরাল Logo মুন্সিগঞ্জে কার্টুন খুলে মিললো নবজাতকের মরদেহ Logo গাজীপুরে ব্যবসায়ীকে আটকের পর র‌্যাবের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ Logo ক‍্যান্টিন বয় দিয়ে হলে হলে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ বাকেরের বিরুদ্ধে Logo সংসদ ভবন এলাকায় আ.লীগের মিছিল, আটক ১ Logo ডাকসু নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ Logo নির্বাচন নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন: মির্জা ফখরুল Logo অবশেষে ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন Logo তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন, সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে Logo রাকসু নির্বাচন: সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট নামে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা

আমদানি করা খেজুরের শুল্ক মওকুফের দাবি রিজভীর

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • 302

আমদানি করা খেজুরের শুল্ক মওকুফের দাবি রিজভীর

রমজান মাসের জন্য হলেও খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

রিজভী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা পালন করবে, ইফতার করবে, একাগ্রতা নিয়ে এবাদত বন্দেগি করবে, এমনটিই ছিল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে চাল-ডাল-লবণ-তেল-চিনি-পেঁয়াজ-রসুন ও তরিতরকারির দাম। এমনকি রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের দাম পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে। শেখ হাসিনার ‘ডামি সরকার’ বলছে, খেজুর নাকি বিলাসী পণ্য। এ অজুহাতে খেজুর আমদানির ওপর অস্বাভাবিক হারে শুল্কারোপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সচেতন জনগণের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, রোজাদারদের কাছে খেজুর কি বিলাসী পণ্য? সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্তমানে দেশে ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক দিতে ২১০ টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, খেজুরের ওপর এমন অস্বাভাবিক হারে শুল্কারোপ করলে দাম কমবে কী করে? অন্তত রমজান মাসের জন্য হলেও খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানাচ্ছি। এটা এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একজন মহীয়সী নারী। যিনি অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে বার-বার মুক্ত করেছেন। যিনি বাংলাদেশ নারী সমাজের অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। অথচ তাকে সীমাহীন হয়রানি ও হেনস্তার করার জন্য অন্যায় এবং বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। সব মৌলিক মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করে তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।

অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে কেবল একজন রাজনৈতিক নেত্রীকেই নয় বরং দেশের কণ্ঠকেই রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা নারী অধিকারের কথা বললেও আদতে সব ভাঁওতাবাজি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকলে ভয় প্রাধান্য লাভ করে। কারণ এবারও ডামি নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর মুুকুটে শোভিত হলো গণশক্রর এক কালিমা লিপ্ত পালক।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার বিজয় মিছিলে ছাত্রদল প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মায়েদের ছবি ভাইরাল

আমদানি করা খেজুরের শুল্ক মওকুফের দাবি রিজভীর

আপডেট সময় ১০:০৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

রমজান মাসের জন্য হলেও খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

রিজভী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা পালন করবে, ইফতার করবে, একাগ্রতা নিয়ে এবাদত বন্দেগি করবে, এমনটিই ছিল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু দেশে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। প্রতিদিন বেড়েই চলছে চাল-ডাল-লবণ-তেল-চিনি-পেঁয়াজ-রসুন ও তরিতরকারির দাম। এমনকি রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান অনুষঙ্গ খেজুরের দাম পর্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাড়ানো হয়েছে। শেখ হাসিনার ‘ডামি সরকার’ বলছে, খেজুর নাকি বিলাসী পণ্য। এ অজুহাতে খেজুর আমদানির ওপর অস্বাভাবিক হারে শুল্কারোপ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সচেতন জনগণের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, রোজাদারদের কাছে খেজুর কি বিলাসী পণ্য? সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্তমানে দেশে ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। ১২০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরের শুল্ক দিতে ২১০ টাকা। প্রশ্ন হচ্ছে, খেজুরের ওপর এমন অস্বাভাবিক হারে শুল্কারোপ করলে দাম কমবে কী করে? অন্তত রমজান মাসের জন্য হলেও খেজুর আমদানিতে শুল্ক মওকুফের দাবি জানাচ্ছি। এটা এখন সময়ের দাবি।

তিনি বলেন, দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একজন মহীয়সী নারী। যিনি অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে বার-বার মুক্ত করেছেন। যিনি বাংলাদেশ নারী সমাজের অগ্রগতিতে অসামান্য অবদান রেখেছেন। অথচ তাকে সীমাহীন হয়রানি ও হেনস্তার করার জন্য অন্যায় এবং বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা হয়েছে। সব মৌলিক মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকারকে পদদলিত করে তাকে সুচিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।

অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে কেবল একজন রাজনৈতিক নেত্রীকেই নয় বরং দেশের কণ্ঠকেই রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা নারী অধিকারের কথা বললেও আদতে সব ভাঁওতাবাজি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকলে ভয় প্রাধান্য লাভ করে। কারণ এবারও ডামি নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর মুুকুটে শোভিত হলো গণশক্রর এক কালিমা লিপ্ত পালক।