নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রাখার প্রচলন শুরু হয় স্বাধীনতার পরপরই। সেসময় ১৫টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়। এরপর ১৫ থেকে বেড়ে ৫০টিতে দাঁড়িয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা। সময় যত গড়িয়েছে ধীরে ধীরে সংসদে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সংরক্ষিত নারী আসনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন কতটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলগুলোতে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকায় সংরক্ষিত আসনের মনোনয়ন অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক বিবেচনায় হয়। ফলে বাদ পড়ছেন ত্যাগী, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ৫০ জনের মধ্যে ১৯ জনই ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে যা ছিল ৯ জন। এবার ব্যবসায়ী ছাড়াও নিজেদের পেশা গৃহিণী উল্লেখ করেছেন পাঁচজন। সাতজন নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন সাংবাদিক, কৃষিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী। কয়েকজন পেশার কথা উল্লেখ না করলেও তারা সংশ্লিষ্ট এলাকায় রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জনের মধ্যে ২৯ জনই বসবাস করেন রাজধানীতে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের ব্যক্তিগত তথ্যের হলফনামা প্রকাশ করা হয়। ওই হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত আসনে ৫০ নারীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ৫০ জনের মধ্যে ১৯ জনই ব্যবসায়ী। একাদশ জাতীয় সংসদে যা ছিল ৯ জন। এবার ব্যবসায়ী ছাড়াও নিজেদের পেশা গৃহিণী উল্লেখ করেছেন পাঁচজন। সাতজন নিজেকে রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে ২২৪ আসনে। জাতীয় পার্টি ১১ ও ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন। সংরক্ষিত ৫০ নারী আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্রদের সমর্থন নিয়ে পেয়েছে ৪৮ আসন। বাকি দুটি পেয়েছে জাতীয় পার্টি।