ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা Logo টানা ৪১ দিন নামাজ আদায়কারী শিশুদের সাইকেল উপহার দিলো জামায়াত Logo ‘১৫ বছর কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হবে’ Logo গোয়াইনঘাটে বাজার দখল নিয়ে আওয়ামী-বিএনপির সংঘর্ষ; আহত ১৫ Logo তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ Logo ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধে রাজি হয়নি ইরান: ট্রাম্প Logo তিন মাস পর বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ Logo থানায় হামলার ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন মাহমুদুর রহমানের Logo আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক নিপীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য : তারেক রহমান Logo সিলেটে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

বৈরিতা ভুলে ঐক্যের ঘোষণা হামাস ও ফাতাহর

বৈরিতা ভুলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ঘোষণা দিল ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) রাশিয়া আয়োজিত এক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিরল এই ঐক্যের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শুক্রবার ঐক্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে এক হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ফাতাহ ও অন্য ফিলিস্তিন গোষ্ঠীরা।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইসরাইলকে মোকাবিলা করা যায় এবং যুদ্ধের পর কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় মস্কোতে। ফিলিস্তিনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ তার পদত্যাগের পর ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের ডাক দেন। এর পরই মস্কোতে মিলিত হয় গোষ্ঠীগুলো।

শুক্রবার ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলো মস্কো থেকে এক হয়ে বার্তা দিয়েছে যে, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) অধীনে আবারও একই ব্যানারের নিচে আসছে সবাই। সব পক্ষই এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। যদিও হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো।

যদিও পিএলওর সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় তারা। এর আগেও হামাস ও পিএলওকে একসঙ্গে আনার নানা চেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। তবে সর্বশেষ রাশিয়ার উদ্যোগে এই চেষ্টা সফল হলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফাতাহ ও হামাসসহ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সব পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। যদিও ইসরাইলের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রথম থেকেই গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে রাশিয়া।

একই সঙ্গে একাধিকবার ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ইসরাইলের হামলা থামাতে জাতিসংঘে প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিল মস্কো।

জনপ্রিয় সংবাদ

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

বৈরিতা ভুলে ঐক্যের ঘোষণা হামাস ও ফাতাহর

আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

বৈরিতা ভুলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ঘোষণা দিল ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) রাশিয়া আয়োজিত এক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিরল এই ঐক্যের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শুক্রবার ঐক্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে এক হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ফাতাহ ও অন্য ফিলিস্তিন গোষ্ঠীরা।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইসরাইলকে মোকাবিলা করা যায় এবং যুদ্ধের পর কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় মস্কোতে। ফিলিস্তিনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ তার পদত্যাগের পর ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের ডাক দেন। এর পরই মস্কোতে মিলিত হয় গোষ্ঠীগুলো।

শুক্রবার ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলো মস্কো থেকে এক হয়ে বার্তা দিয়েছে যে, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) অধীনে আবারও একই ব্যানারের নিচে আসছে সবাই। সব পক্ষই এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। যদিও হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো।

যদিও পিএলওর সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় তারা। এর আগেও হামাস ও পিএলওকে একসঙ্গে আনার নানা চেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। তবে সর্বশেষ রাশিয়ার উদ্যোগে এই চেষ্টা সফল হলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফাতাহ ও হামাসসহ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সব পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। যদিও ইসরাইলের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রথম থেকেই গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে রাশিয়া।

একই সঙ্গে একাধিকবার ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ইসরাইলের হামলা থামাতে জাতিসংঘে প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিল মস্কো।