ঢাকা ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল মহররমের চাঁদ দেখা যায়নি, আশুরা ১৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে হামাস চলমান আন্দোলনকে আদালত বিরোধী বলা দেশকে মেধাশূণ্য করার নামান্তর: ইসলামী আন্দোলন নারীর গোসলের ভিডিও করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক পুলিশ সদস্য ডুয়েট শিক্ষার্থী রিফাত-তাওহীদ এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র রাতের আঁধারে ১০ হাজার কলাগাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ বগুড়ায় স্বপ্নপূরণ স্কুলে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি থেকে এমপি হলেন ২২ বছরের স্যাম কার্লিং কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে সংবিধানবিরোধী: জি এম কাদের

বৈরিতা ভুলে ঐক্যের ঘোষণা হামাস ও ফাতাহর

বৈরিতা ভুলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ঘোষণা দিল ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) রাশিয়া আয়োজিত এক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিরল এই ঐক্যের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শুক্রবার ঐক্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে এক হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ফাতাহ ও অন্য ফিলিস্তিন গোষ্ঠীরা।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইসরাইলকে মোকাবিলা করা যায় এবং যুদ্ধের পর কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় মস্কোতে। ফিলিস্তিনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ তার পদত্যাগের পর ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের ডাক দেন। এর পরই মস্কোতে মিলিত হয় গোষ্ঠীগুলো।

শুক্রবার ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলো মস্কো থেকে এক হয়ে বার্তা দিয়েছে যে, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) অধীনে আবারও একই ব্যানারের নিচে আসছে সবাই। সব পক্ষই এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। যদিও হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো।

যদিও পিএলওর সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় তারা। এর আগেও হামাস ও পিএলওকে একসঙ্গে আনার নানা চেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। তবে সর্বশেষ রাশিয়ার উদ্যোগে এই চেষ্টা সফল হলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফাতাহ ও হামাসসহ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সব পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। যদিও ইসরাইলের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রথম থেকেই গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে রাশিয়া।

একই সঙ্গে একাধিকবার ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ইসরাইলের হামলা থামাতে জাতিসংঘে প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিল মস্কো।

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারাল বিশ্বকাপে যায়গা না পাওয়া দল

বৈরিতা ভুলে ঐক্যের ঘোষণা হামাস ও ফাতাহর

আপডেট সময় ০৩:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

বৈরিতা ভুলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ঘোষণা দিল ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস ও ফাতাহসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) রাশিয়া আয়োজিত এক আলোচনার মধ্য দিয়ে বিরল এই ঐক্যের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। শুক্রবার ঐক্যের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্য দিয়ে নিজেদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে এক হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ফাতাহ ও অন্য ফিলিস্তিন গোষ্ঠীরা।

টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান যুদ্ধে কীভাবে ইসরাইলকে মোকাবিলা করা যায় এবং যুদ্ধের পর কর্মপরিকল্পনা কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় মস্কোতে। ফিলিস্তিনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ তার পদত্যাগের পর ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যের ডাক দেন। এর পরই মস্কোতে মিলিত হয় গোষ্ঠীগুলো।

শুক্রবার ফিলিস্তিন গোষ্ঠীগুলো মস্কো থেকে এক হয়ে বার্তা দিয়েছে যে, প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) অধীনে আবারও একই ব্যানারের নিচে আসছে সবাই। সব পক্ষই এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছে। যদিও হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো।

যদিও পিএলওর সরকারকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয় তারা। এর আগেও হামাস ও পিএলওকে একসঙ্গে আনার নানা চেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। তবে সর্বশেষ রাশিয়ার উদ্যোগে এই চেষ্টা সফল হলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফাতাহ ও হামাসসহ ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সব পক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া। যদিও ইসরাইলের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রথম থেকেই গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে রাশিয়া।

একই সঙ্গে একাধিকবার ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ইসরাইলের হামলা থামাতে জাতিসংঘে প্রস্তাবও উত্থাপন করেছিল মস্কো।