ঢাকা ১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোল করায় নয়, গোল মিসেও শীর্ষে হলান্ড

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত রোববার রাতে ম্যানচেস্টার সিটি বনাম চেলসি ম্যাচ। ইতিহাদে এই ম্যাচে ৩১টি শট নিয়েও একটির বেশি গোল পায়নি সিটি। সে গোলেও অবশ্য সিটি জিততে পারেনি ম্যাচ। ১–১ গোলের ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় দুই দলকে।

চেলসির বিপক্ষে হোঁচট খাওয়ার পথে সিটির হয়ে সেদিন ৯টি শট নিয়েও কোনো গোল পাননি হলান্ড। এই ৯ শটের মাত্র ২টি তিনি পোস্টে রাখতে পেরেছেন। সিটিতে আসার পর নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচে এত শট নিয়েও তার গোল না পাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। তবে শুধু এ ম্যাচেই নয়, সামগ্রিকভাবেই চলতি মৌসুমে অনেক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন হলান্ড।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, হলান্ড চলতি মৌসুমে এই প্রতিযোগিতায় ২১টি গোলের বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, যা কিনা প্রিমিয়ার লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। হলান্ডের মতো ২১টি সুযোগ হাতছাড়া করে অনাকাঙ্ক্ষিত এ তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে লিভারপুল স্ট্রাইকার দারউইন নুনিয়েজ।

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে গোলের রেকর্ড ভাঙা হলান্ড অবশ্য এরপরও এবারের লিগ মৌসুমে গোল করায় সবার ওপরে আছেন। ১৯ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। তবু দায় মুক্তি নেই নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারের। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ১৯ ম্যাচে ২১ গোল করেছিলেন হলান্ড। এবারও গোলের জন্য সিটি অনেকটাই তার ওপর নির্ভরশীল। মাঝে চোটের কারণে তার অনুপস্থিতিতে ভুগেছে ক্লাবটি। কিন্তু হলান্ডকে পেয়েও কি স্বস্তিতে থাকতে পারছে সিটি? কারণ, মূল স্কোরারের ২১টি বড় সুযোগ মিস করা যেকোনো দলকে চাপে ফেলতে যথেষ্ট।

লিভারপুলের হয়ে নুনিয়েজ এ পর্যন্ত গোল করেছেন ৯টি। তবে ‘অল রেড’দের হয়ে নুনিয়েজের ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়েছেন সালাহ–দিয়েগো জোতারা। ১৫ গোল করা সালাহ এ মৌসুমে গোল করায় আছেন হলান্ডের পরেই মিস তারকা গোলের বড় সুযোগ মিস করেছেন ৯টি। এমনকি ১৯ ম্যাচ খেলা জোতাও করেছেন নুনিয়েজের সমান ৯ গোল। সর্বোচ্চ গোলের শীর্ষ ১২ জনের মধ্যে লিভারপুলের তিনজন জায়গা পেয়েছেন। অন্যদিকে সিটির হয়ে ৮টি করে গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও ফিল ফোডেন।

কিন্তু এরপরও তারা হলান্ডের মিসের ঘাটতি মেটাতে পারেননি। এ ছাড়া শীর্ষ চারে থাকা অন্য তিন দল লিভারপুল, আর্সেনাল ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হলান্ড পেয়েছেন ৩ ম্যাচে মাত্র ১ গোল। যেখানে আর্সেনাল ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হেরেই যায় সিটি। আর লিভারপুলের বিপক্ষে হলান্ডের গোল পাওয়া ম্যাচটি হয় ১–১ ড্র। অর্থাৎ শিরোপা লড়াইয়ে থাকা অন্য তিন দলের বিপক্ষেই হলান্ড ছিলেন নিষ্প্রভ। যেখানে ম্যাচগুলো তারা জিততেও পারেনি। এটিও সামগ্রিকভাবে সিটির পারফরম্যান্সে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে একদিনে নিহত আরও ৫৯

গোল করায় নয়, গোল মিসেও শীর্ষে হলান্ড

আপডেট সময় ০২:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত রোববার রাতে ম্যানচেস্টার সিটি বনাম চেলসি ম্যাচ। ইতিহাদে এই ম্যাচে ৩১টি শট নিয়েও একটির বেশি গোল পায়নি সিটি। সে গোলেও অবশ্য সিটি জিততে পারেনি ম্যাচ। ১–১ গোলের ড্রয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় দুই দলকে।

চেলসির বিপক্ষে হোঁচট খাওয়ার পথে সিটির হয়ে সেদিন ৯টি শট নিয়েও কোনো গোল পাননি হলান্ড। এই ৯ শটের মাত্র ২টি তিনি পোস্টে রাখতে পেরেছেন। সিটিতে আসার পর নির্দিষ্ট কোনো ম্যাচে এত শট নিয়েও তার গোল না পাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। তবে শুধু এ ম্যাচেই নয়, সামগ্রিকভাবেই চলতি মৌসুমে অনেক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন হলান্ড।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, হলান্ড চলতি মৌসুমে এই প্রতিযোগিতায় ২১টি গোলের বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছেন, যা কিনা প্রিমিয়ার লিগে যৌথভাবে সর্বোচ্চ। হলান্ডের মতো ২১টি সুযোগ হাতছাড়া করে অনাকাঙ্ক্ষিত এ তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে লিভারপুল স্ট্রাইকার দারউইন নুনিয়েজ।

গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে গোলের রেকর্ড ভাঙা হলান্ড অবশ্য এরপরও এবারের লিগ মৌসুমে গোল করায় সবার ওপরে আছেন। ১৯ ম্যাচে করেছেন ১৬ গোল। তবু দায় মুক্তি নেই নরওয়েজীয় স্ট্রাইকারের। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ১৯ ম্যাচে ২১ গোল করেছিলেন হলান্ড। এবারও গোলের জন্য সিটি অনেকটাই তার ওপর নির্ভরশীল। মাঝে চোটের কারণে তার অনুপস্থিতিতে ভুগেছে ক্লাবটি। কিন্তু হলান্ডকে পেয়েও কি স্বস্তিতে থাকতে পারছে সিটি? কারণ, মূল স্কোরারের ২১টি বড় সুযোগ মিস করা যেকোনো দলকে চাপে ফেলতে যথেষ্ট।

লিভারপুলের হয়ে নুনিয়েজ এ পর্যন্ত গোল করেছেন ৯টি। তবে ‘অল রেড’দের হয়ে নুনিয়েজের ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়েছেন সালাহ–দিয়েগো জোতারা। ১৫ গোল করা সালাহ এ মৌসুমে গোল করায় আছেন হলান্ডের পরেই মিস তারকা গোলের বড় সুযোগ মিস করেছেন ৯টি। এমনকি ১৯ ম্যাচ খেলা জোতাও করেছেন নুনিয়েজের সমান ৯ গোল। সর্বোচ্চ গোলের শীর্ষ ১২ জনের মধ্যে লিভারপুলের তিনজন জায়গা পেয়েছেন। অন্যদিকে সিটির হয়ে ৮টি করে গোল করেছেন হুলিয়ান আলভারেজ ও ফিল ফোডেন।

কিন্তু এরপরও তারা হলান্ডের মিসের ঘাটতি মেটাতে পারেননি। এ ছাড়া শীর্ষ চারে থাকা অন্য তিন দল লিভারপুল, আর্সেনাল ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হলান্ড পেয়েছেন ৩ ম্যাচে মাত্র ১ গোল। যেখানে আর্সেনাল ও অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে হেরেই যায় সিটি। আর লিভারপুলের বিপক্ষে হলান্ডের গোল পাওয়া ম্যাচটি হয় ১–১ ড্র। অর্থাৎ শিরোপা লড়াইয়ে থাকা অন্য তিন দলের বিপক্ষেই হলান্ড ছিলেন নিষ্প্রভ। যেখানে ম্যাচগুলো তারা জিততেও পারেনি। এটিও সামগ্রিকভাবে সিটির পারফরম্যান্সে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে।