ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু Logo চীনে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে যা বলেছিলেন ড. ইউনূস? যেজন্য হতভম্ব ভারত Logo জামায়াতের ঈদ উপলক্ষে প্রীতি ভোজের ঘটনায় বিএনপি – যুবলীগের হামলা Logo শহীদ নাসিব হাসান রিহান-এর পরিবারের সদস্যদের সাথে আমীরে জামায়াতের ঈদ কুশল বিনিময় Logo ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ Logo মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ২ হাজার ছাড়াল নিহতের সংখ্যা Logo গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: খালেদা জিয়া Logo ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের পদত্যাগ Logo ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’স্লোগান, বিএনপির সাথে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ ১ Logo আইপিএলসহ টিভিতে যা দেকবেন আজ

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানালো শিবির

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 0 Views

ক্লাসে হাদিস বলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আজ মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারী) ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ সাক্ষরিত বিবৃতি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত হয়।

বিবৃতিতে ক্লাসে পর্দাসংক্রান্ত হাদিস বলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দেশে ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যার সর্বশেষ নজির স্থাপন করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় এক বছর আগে প্রসঙ্গক্রমে ক্লাসে পর্দার একটি হাদিস উল্লেখ করেছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক। শুধুমাত্র ক্লাসে একটি হাদিস বলায় তাঁকে প্রায় এক বছর পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণে জাতি চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

এতদিন ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের সাথে ইসলামবিদ্বেষী আচরণ করা হয়েছে। এখন শিক্ষকদের ওপরও একই আচরণ শুরু হয়েছে। এগুলো সুস্পষ্ট পরিকল্পিত ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে একটি হাদিস বলা অপরাধ হয় কোন আইনে, জনগণ তা জানতে চায়! এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং ইসলামবিরোধী সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। দেশবাসী এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই মেনে নেবে না। একটি হাদিস সহ্য করার মতো সক্ষমতা না থাকলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এদেশে কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত। ইতোমধ্যে শিক্ষকের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। অবিলম্বে সম্মানিত শিক্ষককে পুনর্বহাল করতে হবে।

অন্যথায় আন্দোলন শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছাত্রজনতা এক হয়ে ইসলামবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বহন করতে হবে।”

জনপ্রিয় সংবাদ

গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ১৮ জনের মৃত্যু

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানালো শিবির

আপডেট সময় ০১:১২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ক্লাসে হাদিস বলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

আজ মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারী) ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ সাক্ষরিত বিবৃতি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত হয়।

বিবৃতিতে ক্লাসে পর্দাসংক্রান্ত হাদিস বলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিককে বহিষ্কারের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।

এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দেশে ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। যার সর্বশেষ নজির স্থাপন করেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় এক বছর আগে প্রসঙ্গক্রমে ক্লাসে পর্দার একটি হাদিস উল্লেখ করেছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. নূর মোহাম্মদ মল্লিক। শুধুমাত্র ক্লাসে একটি হাদিস বলায় তাঁকে প্রায় এক বছর পর উদ্দেশ্যমূলকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণে জাতি চরমভাবে ক্ষুব্ধ।

এতদিন ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের সাথে ইসলামবিদ্বেষী আচরণ করা হয়েছে। এখন শিক্ষকদের ওপরও একই আচরণ শুরু হয়েছে। এগুলো সুস্পষ্ট পরিকল্পিত ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে একটি হাদিস বলা অপরাধ হয় কোন আইনে, জনগণ তা জানতে চায়! এসব কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; বরং ইসলামবিরোধী সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ। দেশবাসী এ ষড়যন্ত্র কিছুতেই মেনে নেবে না। একটি হাদিস সহ্য করার মতো সক্ষমতা না থাকলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এদেশে কার্যক্রম বন্ধ করা উচিত। ইতোমধ্যে শিক্ষকের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আমরা শিক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত দাবি ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি। অবিলম্বে সম্মানিত শিক্ষককে পুনর্বহাল করতে হবে।

অন্যথায় আন্দোলন শুধু শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছাত্রজনতা এক হয়ে ইসলামবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বহন করতে হবে।”