ঢাকা ০১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘কাইন্দেন না’ বলতেই আরও বেশি কাঁদলেন পলক Logo পদত্যাগের ইচ্ছা নেই, সরকার বললে চলে যাবো: শিক্ষা উপদেষ্টা Logo আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানায় বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি Logo নির্বাচনে কালো টাকার খেলা ও মাস্তানতন্ত্র বরদাশত করা হবে না: জামায়াত আমির Logo বিমান বিধ্বস্ত: ঢাকায় পৌঁছেছে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল Logo এনসিপির এজেন্ডা বিএনপির নামে বদনাম করা: ইশরাক Logo বিমান বিধ্বস্তে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর Logo চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শিবিরের বিক্ষোভ Logo ৯ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম; জেনে নিন সফরসূচি Logo পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

আ.লীগ সিন্ডিকেটের হাতে বাজার বর্গা দিয়েছে: রিজভী

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৬:১৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 249

আ.লীগ সিন্ডিকেটের হাতে বাজার বর্গা দিয়েছে: রিজভী

বর্তমান সরকার নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা, মাফিয়া-সিন্ডিকেটের হাতে বর্গা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে জনগণ। রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে এর কোনও প্রভাব তো পড়েইনি; উল্টো গত ১০ দিনে রমজান-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, শুল্ক কমানোর পরও ওই ৪টি পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমার কথা। অথচ তা না কমে পণ্যগুলোর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এখন খুচরা বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও সেই দরে কিনতে হচ্ছে চিনি।

রিজভী বলেন, গত সপ্তাহে পাইকারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬১, পাম অয়েল ১৩১ ও সুপার পাম অয়েল ১৩৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন সয়াবিন তেল ১৫৫, পাম অয়েল ১৩৪ ও সুপার পাম অয়েল ১৩৭ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭৩ এবং খোলা তেল ১৫৮ থেকে ১৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম অয়েলের লিটার কিনতে হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। চালের দাম এক আনাও কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬৫ ও মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রিজভী বলেন, শুল্ক ছাড়ের পর দাম কমার বদলে লাফিয়ে বাড়ছে ছোলার দাম। মাসখানেক আগেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। শনিবার মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজারে ছোলার কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। ছোলার মতো অ্যাংকর ডালের চাহিদাও বেশি থাকে রমজানে। এক-দেড় মাসের ব্যবধানে এ জাতের ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তবে সারা বছরই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মসুর ডাল। বাজারে এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল এখন ১০০ থেকে ১১০ এবং দেশি মসুর ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেট যে সরাসরি শেখ হাসিনা নিয়ন্ত্রিত; তা বিভিন্ন সময় ইশারা ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন। ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে আজ জনগণ সর্বশান্ত। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থবিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘কাইন্দেন না’ বলতেই আরও বেশি কাঁদলেন পলক

আ.লীগ সিন্ডিকেটের হাতে বাজার বর্গা দিয়েছে: রিজভী

আপডেট সময় ০৬:১৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বর্তমান সরকার নিত্যপণ্যের বাজার লুটেরা, মাফিয়া-সিন্ডিকেটের হাতে বর্গা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্রমাগত দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে জনগণ। রমজানকে সামনে রেখে এখন থেকেই সরকারের সিন্ডিকেট চক্র জনগণের পকেট কাটতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিলেও বাজারে এর কোনও প্রভাব তো পড়েইনি; উল্টো গত ১০ দিনে রমজান-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, শুল্ক কমানোর পরও ওই ৪টি পণ্যের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমার কথা। অথচ তা না কমে পণ্যগুলোর দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৪ টাকা দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩২ টাকায় বিক্রি হতো। এখন খুচরা বাজারে খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখনও সেই দরে কিনতে হচ্ছে চিনি।

রিজভী বলেন, গত সপ্তাহে পাইকারিতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬১, পাম অয়েল ১৩১ ও সুপার পাম অয়েল ১৩৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন সয়াবিন তেল ১৫৫, পাম অয়েল ১৩৪ ও সুপার পাম অয়েল ১৩৭ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০ থেকে ১৭৩ এবং খোলা তেল ১৫৮ থেকে ১৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম অয়েলের লিটার কিনতে হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। চালের দাম এক আনাও কমেনি, বরং বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭৫ থেকে ৮০, মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬৫ ও মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রিজভী বলেন, শুল্ক ছাড়ের পর দাম কমার বদলে লাফিয়ে বাড়ছে ছোলার দাম। মাসখানেক আগেও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ছোলার কেজি ছিল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। শনিবার মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজারে ছোলার কেজি বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায়। ছোলার মতো অ্যাংকর ডালের চাহিদাও বেশি থাকে রমজানে। এক-দেড় মাসের ব্যবধানে এ জাতের ডালের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তবে সারা বছরই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মসুর ডাল। বাজারে এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আমদানি করা বড় দানার মসুর ডাল এখন ১০০ থেকে ১১০ এবং দেশি মসুর ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বছরের ব্যবধানে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ। কোনো কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেট যে সরাসরি শেখ হাসিনা নিয়ন্ত্রিত; তা বিভিন্ন সময় ইশারা ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতারা প্রকাশ্যে বলেছেন। ডামি সরকারের বাজার লুটের কারণে আজ জনগণ সর্বশান্ত। বাজারে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ আর অর্থবিত্তের পুকুরে সাঁতার কাটছে সরকারের লোকজন।