ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা একরামুজ্জামান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ঢাকা বোট ক্লাবে নাসিরনগর উপজেলার সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি।

একরামুজ্জামানের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী সংসদ সদস্যকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।

কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন পান ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ঢাকা বোট ক্লাবে গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে নাসিরনগরের সব জনপ্রতিনিধির মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন সংসদ সদস্য একরামুজ্জামান। এতে উপজেলার প্রায় ৩০০ জন জনপ্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন একরামুজ্জামান। পরে গণপূর্তমন্ত্রী ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে একরামুজ্জামানকে আওয়ামী লীগে বরণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম এবং সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগদান করায় একরামুজ্জামানকে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে নিজের বক্তৃতায় সংসদ সদস্য একরামুজ্জামান বলেন, ‘মন্ত্রী আমাকে আপনাদের সামনে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নাসিরনগরের ৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি এখানে আছেন। কে আমার নির্বাচন করেছেন, কে করেননি, তা মাথায় রাখিনি। আমি এখন সবার প্রতিনিধি। কোনো ভেদাভেদ না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’ এ সময় শেখ কামালের নামে নাসিরনগরে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করার ঘোষণা দেন তিনি।

জানতে চাইলে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে সংসদ সদস্য একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমাকে আগে ডাকা হয়নি, তাই যাওয়া হয়নি। গণপূর্তমন্ত্রী বললেন, “আপনি আমাদের সঙ্গে যোগদান করেন।” আমি সশ্রদ্ধচিত্তে ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি এবং আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বেড়ে নিহতের সংখ্যা এখন ২০৪

আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা একরামুজ্জামান

আপডেট সময় ১২:৫০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ঢাকা বোট ক্লাবে নাসিরনগর উপজেলার সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি।

একরামুজ্জামানের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সহকারী মোহাম্মদ এনামুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী সংসদ সদস্যকে সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছেন।

কলার ছড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন পান ৪৬ হাজার ১৮৯ ভোট।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ঢাকা বোট ক্লাবে গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে নাসিরনগরের সব জনপ্রতিনিধির মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন সংসদ সদস্য একরামুজ্জামান। এতে উপজেলার প্রায় ৩০০ জন জনপ্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন একরামুজ্জামান। পরে গণপূর্তমন্ত্রী ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে একরামুজ্জামানকে আওয়ামী লীগে বরণ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম এবং সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগদান করায় একরামুজ্জামানকে শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে নিজের বক্তৃতায় সংসদ সদস্য একরামুজ্জামান বলেন, ‘মন্ত্রী আমাকে আপনাদের সামনে আওয়ামী লীগে গ্রহণ করে নিয়েছেন। এটি আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নাসিরনগরের ৯৯ শতাংশ জনপ্রতিনিধি এখানে আছেন। কে আমার নির্বাচন করেছেন, কে করেননি, তা মাথায় রাখিনি। আমি এখন সবার প্রতিনিধি। কোনো ভেদাভেদ না করে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।’ এ সময় শেখ কামালের নামে নাসিরনগরে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করার ঘোষণা দেন তিনি।

জানতে চাইলে সন্ধ্যায় মুঠোফোনে সংসদ সদস্য একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমাকে আগে ডাকা হয়নি, তাই যাওয়া হয়নি। গণপূর্তমন্ত্রী বললেন, “আপনি আমাদের সঙ্গে যোগদান করেন।” আমি সশ্রদ্ধচিত্তে ওই প্রস্তাব গ্রহণ করেছি এবং আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি।