ঢাকা ০৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা Logo চাকসু জাতীয় নির্বাচনের রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে: চবি উপাচার্য Logo চাকসু নির্বাচন: ২৫০ সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষন হচ্ছে ভোটের পরিস্থিতি Logo চাকসু: আঙুলের অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রদল-শিবিরের Logo চাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলকে জরিমানার খবরটি সঠিক নয়: নির্বাচন কমিশনার Logo পর্যায়ক্রমে ৩ স্তরে গণনা হবে চাকসু নির্বাচনের ভোট Logo চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটারদের লম্বা লাইন Logo মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ Logo চাকসু প্রার্থীকে হেনস্তা করতে ফেইক আইডি খুলে অপপ্রচার Logo ছাত্রশিবিরকে নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের মিথ্যাচারপূর্ণ সংবাদের নিন্দা প্রকাশ

অনেক প্রকাশনী আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়, কিন্তু আমি রাজি হইনি

বইমেলায় মুশতাক তিশা দম্পতি কান্ডকে কেন্দ্র এ ঘটনার জন্য প্রকাশনীগুলোকে দায়ী করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান। বইমেলায় গিয়ে গত কয়েক দিন আগে কয়েক জন তরুণের রোষানলে পড়েছেন আলোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এর পরও বইমেলায় যাওয়া বন্ধ রাখবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

মুশতাক-তিশা প্রসঙ্গে আলোচিত নায়ক জায়েদ খান বলেন, শুধু একতরফা মুশতাক-তিশা দম্পতিকে দোষ দিলে চলবে না। যারা তাদেরকে ব্যবহার করে বই প্রকাশ করেছে তারাও দোষী।

প্রকাশনীকে দোষ দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জায়েদ খান এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘দুইটা প্রকাশনী আমাকে খুব কনভিন্স করার চেষ্টা করেছিল, আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।’

নায়কের ভাষায়, ‘আমি অভিনয় করি। একজন অভিনয় শিল্পী আমি, আমার কাজ অভিনয় করা। অনেকভাবে তারা চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি আমাকে রাজি করাতে। আমার মনে হয় এই দম্পতির বেলাতেও এমনটা হয়েছে।

ভাইরাল হলেই কিছু প্রকাশনী তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে। তিনি বলেন, একটা প্রকাশনী থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, আপনার বই বের করতে চাই। আপনি বলবেন আমরাই লিখব। তখন আমার রাগ লেগেছে। এ কেমন লেখক? আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র, মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অদ্ভুত এক ভালোলাগা নিয়ে বই মেলায় যেতাম। বই কিনতাম। লেখকদের সঙ্গে দেখা হলে কী যে ভালো লাগতো। তাদের অটোগ্রাফ নিতাম। অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত। আর এখন যারা ভাইরাল তাদের বই বের হয়। বিষয়গুলো থেকে প্রজন্ম কী শিখবে?’

তার মতে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এইসব মৌসুমী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা ব্যবসাটাকেই বড় করে দেখে। অন্যকিছু ভাবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আইন উপদেষ্টা

অনেক প্রকাশনী আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়, কিন্তু আমি রাজি হইনি

আপডেট সময় ০৩:২৬:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বইমেলায় মুশতাক তিশা দম্পতি কান্ডকে কেন্দ্র এ ঘটনার জন্য প্রকাশনীগুলোকে দায়ী করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান। বইমেলায় গিয়ে গত কয়েক দিন আগে কয়েক জন তরুণের রোষানলে পড়েছেন আলোচিত দম্পতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এর পরও বইমেলায় যাওয়া বন্ধ রাখবেন না বলে জানিয়েছেন তারা।

মুশতাক-তিশা প্রসঙ্গে আলোচিত নায়ক জায়েদ খান বলেন, শুধু একতরফা মুশতাক-তিশা দম্পতিকে দোষ দিলে চলবে না। যারা তাদেরকে ব্যবহার করে বই প্রকাশ করেছে তারাও দোষী।

প্রকাশনীকে দোষ দিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জায়েদ খান এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘দুইটা প্রকাশনী আমাকে খুব কনভিন্স করার চেষ্টা করেছিল, আমাকে নিয়ে বই বের করতে চায়। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি।’

নায়কের ভাষায়, ‘আমি অভিনয় করি। একজন অভিনয় শিল্পী আমি, আমার কাজ অভিনয় করা। অনেকভাবে তারা চেষ্টা করেছে কিন্তু পারেনি আমাকে রাজি করাতে। আমার মনে হয় এই দম্পতির বেলাতেও এমনটা হয়েছে।

ভাইরাল হলেই কিছু প্রকাশনী তাদের লেখক বানানোর চেষ্টা করে। তিনি বলেন, একটা প্রকাশনী থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে, আপনার বই বের করতে চাই। আপনি বলবেন আমরাই লিখব। তখন আমার রাগ লেগেছে। এ কেমন লেখক? আমি ছিলাম আর্টসের ছাত্র, মুখস্থ করেছি আর পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আমাকে তোমরা হুমায়ূন আহমেদ বানাতে চাও? নাকি আমার পরিচিতি কাজে লাগাতে চাও?’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম তখন অদ্ভুত এক ভালোলাগা নিয়ে বই মেলায় যেতাম। বই কিনতাম। লেখকদের সঙ্গে দেখা হলে কী যে ভালো লাগতো। তাদের অটোগ্রাফ নিতাম। অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত। আর এখন যারা ভাইরাল তাদের বই বের হয়। বিষয়গুলো থেকে প্রজন্ম কী শিখবে?’

তার মতে, বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে এইসব মৌসুমী প্রকাশনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তারা ব্যবসাটাকেই বড় করে দেখে। অন্যকিছু ভাবে না।