ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া Logo ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo নওগাঁয় আলু চাষিদের বিক্ষোভ: ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ Logo বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ৪০০ এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা দিল জুড়ী ছাত্রশিবির Logo ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ Logo তিস্তার পানি বিপদসীমা ছাড়িয়েছে: বন্যা আতঙ্কে স্থানীয়রা Logo দেশ থেকে পালিয়েছে হাসিনা—কারাগারে মিষ্টি বিক্রেতার মুখে খবর, বাঁধে উল্লাস – উদযাপন Logo বিচার বিভাগের পদ সৃজনের ক্ষমতা এখন সুপ্রিম কোর্টের

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১০:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 250

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি মাটি কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালযয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৯ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬(খ) ধারা অনুসারে বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল আইন অমান্য করে তা করে যাচ্ছে। শুধু পাহড়ই না, কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাহাড় ও মাটি কাটার মহোৎসব চললেও প্রশাসন সেখানে নিষ্ক্রিয়।

আর এই নিষ্ক্রিয়তায় মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। আদালত রিট আবেদনের বক্তব্য শুনে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কেটা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

আপডেট সময় ১০:৪৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কাটা ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিবাদীদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি মাটি কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে রুলে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালযয়ের সিচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৯ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ৬(খ) ধারা অনুসারে বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল আইন অমান্য করে তা করে যাচ্ছে। শুধু পাহড়ই না, কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে তা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাহাড় ও মাটি কাটার মহোৎসব চললেও প্রশাসন সেখানে নিষ্ক্রিয়।

আর এই নিষ্ক্রিয়তায় মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়ছে পরিবেশ-প্রকৃতি। আদালত রিট আবেদনের বক্তব্য শুনে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।’
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কেটা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। পরে এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।