ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo শপথের আগে ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ Logo সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি Logo ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার,রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি Logo স্পিকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন হাসিনা Logo জাবিতে মহিলা হলে বহিরাগত যুবক আটক Logo শীতে কাপছে পঞ্চগড়, একদিনে ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে ৭.৯ ডিগ্রিতে নামল Logo একইস্থানে বিএনপির দু‘পক্ষের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫ Logo থানার ভেতরে পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল Logo যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ব্যর্থ হলে আবার যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি

ভোট কারচুপির অভিযোগে পিটিআইসহ পাকিস্তানের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

ইসলামাবাদ পুলিশ হুমকি দিয়েছে, যে বা যারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ‘গণ জমায়েত’ বা ‘সমাবেশ’ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, “কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণ জমায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।”

রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। যদিও প্রথমে পিটিআই তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন শহরে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করে রাখার কর্মসূচি দেয় তারা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে নির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন হলেও; রোববার সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। যার মধ্যে ৯৬টি আসনে জিতেছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে।

এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসন জিতেছে।

পিটিআইয়ের দাবি, তারা আরও বেশি আসনে জয় পেয়েছে এবং একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কিন্তু তারা যেন সরকার গঠন করতে না পারে; সেজন্য বিভিন্ন আসনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

আগের সরকার সীমান্তে ছাড় দিলেও, এখন ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পাকিস্তানে ১৪৪ ধারা জারি

আপডেট সময় ০৫:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভোট কারচুপির অভিযোগে পিটিআইসহ পাকিস্তানের কয়েকটি রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

ইসলামাবাদ পুলিশ হুমকি দিয়েছে, যে বা যারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ‘গণ জমায়েত’ বা ‘সমাবেশ’ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) মাইক্রো ব্লগিং সাইটে ইসলামাবাদ পুলিশ বলেছে, “কিছু মানুষ নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সরকারি অফিসের সামনে উস্কানিমূলক জমায়েত করছে। পরিষ্কারভাবে বলা হচ্ছে, গণ জমায়েতের জন্য উস্কানি দেওয়াও এক ধরনের অপরাধ।”

রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। যদিও প্রথমে পিটিআই তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন শহরে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করে রাখার কর্মসূচি দেয় তারা।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে নির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন হলেও; রোববার সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। যার মধ্যে ৯৬টি আসনে জিতেছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে।

এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসন জিতেছে।

পিটিআইয়ের দাবি, তারা আরও বেশি আসনে জয় পেয়েছে এবং একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কিন্তু তারা যেন সরকার গঠন করতে না পারে; সেজন্য বিভিন্ন আসনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।