নৌ-বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ১৩টি বিয়ে করেছেন মো. মহিদুল ইসলাম ওরফে মইদুল (২৭)। প্রতারক মহিদুল ইসলামকে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসে তার আসল পরিচয়। মহিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরে তার ছয়জন স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। মহিদুল ইসলাম মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভুঁঞা এ সব কথা বলেন। পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী কুদ্দুস আলীকে আটক করা হয়েছে। সহযোগী কুদ্দুস ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার নগুয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘সম্প্রতি তারাকান্দা উপজেলা থেকে এক যুবতীর পরিবারের লোকজন এসে মহিদুলের প্রতারণার বিষয়টি আমাকে বলেন। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশের ভিত্তিতে তদন্ত করে মহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
মহিদুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রতারক মহিদুল নৌ-বাহিনীতে এমএলএস পদে চাকরি করতেন। সেখানে দুই বছর চাকরি করার পর বিভিন্ন কারণে তাকে চাকরিচ্যু করা হয়। এরপর থেকে তিনি নৌ-বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মানিকগঞ্জ ৩টি, টাঙ্গাইলে ৩টি, কিশোরগঞ্জে ১টি ও ময়মনসিংহে ৬টিসহ মোট ১৩টি বিয়ে করেন। এক প্রতিবন্ধী নারীকে বিয়ে করে ভাতার টাকাও আত্মসাত করতেন মহিদুল ইসলাম।’
তিনি আরও বলেন, মানুষের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে একের পর এক বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বিয়ে করে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন মইদুল। মহিদুল ইসলামের গ্রেপ্তারের খবরে তার ছয় জন স্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। তারা প্রত্যেকে টাকা উদ্ধার ও মহিদুল ইসলামের বিচার দাবি করেন। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।