দেশের ভবিষ্যৎ ডাক্তারদের সৎ ও স্বচ্ছ মনের হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. সামন্ত লাল বলেন, ‘এবারের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস, বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সব কেন্দ্রেই বিশেষ সতর্কতা নেওয়া ছিল।
প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা-নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্র এলাউড ছিল না। কোনো মেডিকেল কোচিংও গত এক মাস খোলা ছিল না। পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা।
মোট কথা, এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, আমরা থেকেছি। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারা জীবন সৎ থেকেছি, এ দেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করে জীবন পার করে দেবে আমি সেটাই চাই।’
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম, বি এম এ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মেডিকেলের অধ্যক্ষসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী দেশের ১৯টি পরীক্ষা কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনের বিপরীতে এবং বেসরকারি পর্যায়ে অনুমোদিত ৬৭টি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৫টি আসনের বিপরীতে এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।