ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘কাইন্দেন না’ বলতেই আরও বেশি কাঁদলেন পলক Logo পদত্যাগের ইচ্ছা নেই, সরকার বললে চলে যাবো: শিক্ষা উপদেষ্টা Logo আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানায় বিএনপি-গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি Logo নির্বাচনে কালো টাকার খেলা ও মাস্তানতন্ত্র বরদাশত করা হবে না: জামায়াত আমির Logo বিমান বিধ্বস্ত: ঢাকায় পৌঁছেছে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল Logo এনসিপির এজেন্ডা বিএনপির নামে বদনাম করা: ইশরাক Logo বিমান বিধ্বস্তে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: আইএসপিআর Logo চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে শিবিরের বিক্ষোভ Logo ৯ দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম; জেনে নিন সফরসূচি Logo পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে: ধর্মমন্ত্রী

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৪:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 271

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ফরিদুল হক খান বলেন, ‘মাওলানা সাদ সাহেবকে আনার জন্য তার পক্ষের লোকজন কাজ করছেন। সরকারের সঙ্গেও তাদের কথা চলছে। আমরাও আলোচনা করছি। সমঝোতার মধ্যে হয়তো তাকে (মাওলানা সাদ) আনা সম্ভব হতে পারে। আমরা সেই চেষ্টাটাই করছি।’

বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের আয়োজনে ১৯৬৩ সাল থেকে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে তাবলিগের বর্তমান আমির ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আমির মানা না-মানাকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত। ওই বছর ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে এসে বিরোধের মুখে ফিরে যান সাদ কান্ধলভী। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তুরাগ ময়দানে সংঘর্ষে নিহত হন এক মুসল্লি। এরপর ২০১৯ সাল থেকে দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা শুরু করে।

সেই বিরোধের জেরে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। গত রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগের প্রথম পক্ষ বা বাংলাদেশি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের ইজতেমা। আগামীকাল শুরু হবে দ্বিতীয় পক্ষ বা মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা। তবে ২০১৮ সালে বিরোধের মুখে ফিরে যাওয়ার পর আর ইজতেমায় অংশ নেননি সাদ কান্ধলভী। এ নিয়ে বারবার সাদ অনুসারীদের পক্ষ থেকে তাকে আনার দাবি জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে সাদ কান্ধলভীকে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইজতেমা মাঠের মূল ফটকে সাধারণ মুসল্লি পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘মাওলানা সাদের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হ্যাঁ বা না নেই। তবে এটা করতে গেলে সরকারের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, কিছু নিয়ম আছে, সে নিয়মের মধ্যেই সবকিছু করতে হয়। এখানে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষে যাঁরা আছেন, কোনো কারণে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় বা কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে তাঁদের দায়িত্ব থাকে। তারপরও আমি বলব, পরশু রাতে মাওলানা আশরাফ মাদানী সাহেব এসেছিলেন। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আমরা রেকর্ড করেছি। তাঁর বক্তব্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আলোচনার মাধ্যমে দেখব, কিছু করা যায় কি না।’

দুই পক্ষের বিরোধ নিরসনের বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের মধ্যকার যে বিরোধ, তা নিরসনের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে আজকেও মিটিং হচ্ছে। মিটিংটা হয়ে গেলে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ করব, তাদের নিয়ে বসব। আল্লাহপাকের হুকুম হলে আবার দুই পক্ষ মিলেও যেতে পারে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

‘কাইন্দেন না’ বলতেই আরও বেশি কাঁদলেন পলক

ইজতেমায় মাওলানা সাদকে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে: ধর্মমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামীকাল শুক্রবার শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। এ পর্বে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনার ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ফরিদুল হক খান বলেন, ‘মাওলানা সাদ সাহেবকে আনার জন্য তার পক্ষের লোকজন কাজ করছেন। সরকারের সঙ্গেও তাদের কথা চলছে। আমরাও আলোচনা করছি। সমঝোতার মধ্যে হয়তো তাকে (মাওলানা সাদ) আনা সম্ভব হতে পারে। আমরা সেই চেষ্টাটাই করছি।’

বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের আয়োজনে ১৯৬৩ সাল থেকে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১৮ সালে তাবলিগের বর্তমান আমির ভারতের দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আমির মানা না-মানাকে কেন্দ্র করে বিভক্ত হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত। ওই বছর ইজতেমায় অংশ নিতে বাংলাদেশে এসে বিরোধের মুখে ফিরে যান সাদ কান্ধলভী। বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের বিরোধে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তুরাগ ময়দানে সংঘর্ষে নিহত হন এক মুসল্লি। এরপর ২০১৯ সাল থেকে দুই পক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা শুরু করে।

সেই বিরোধের জেরে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে। গত রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে তাবলিগের প্রথম পক্ষ বা বাংলাদেশি মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের ইজতেমা। আগামীকাল শুরু হবে দ্বিতীয় পক্ষ বা মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা। তবে ২০১৮ সালে বিরোধের মুখে ফিরে যাওয়ার পর আর ইজতেমায় অংশ নেননি সাদ কান্ধলভী। এ নিয়ে বারবার সাদ অনুসারীদের পক্ষ থেকে তাকে আনার দাবি জানালেও কোনো সমাধান মেলেনি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে সাদ কান্ধলভীকে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ইজতেমা মাঠের মূল ফটকে সাধারণ মুসল্লি পরিষদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, ‘মাওলানা সাদের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হ্যাঁ বা না নেই। তবে এটা করতে গেলে সরকারের কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, কিছু নিয়ম আছে, সে নিয়মের মধ্যেই সবকিছু করতে হয়। এখানে সরকার ও প্রশাসনের পক্ষে যাঁরা আছেন, কোনো কারণে যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় বা কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সেদিকে তাঁদের দায়িত্ব থাকে। তারপরও আমি বলব, পরশু রাতে মাওলানা আশরাফ মাদানী সাহেব এসেছিলেন। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আমরা রেকর্ড করেছি। তাঁর বক্তব্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আলোচনার মাধ্যমে দেখব, কিছু করা যায় কি না।’

দুই পক্ষের বিরোধ নিরসনের বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুই পক্ষের মধ্যকার যে বিরোধ, তা নিরসনের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে আজকেও মিটিং হচ্ছে। মিটিংটা হয়ে গেলে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ করব, তাদের নিয়ে বসব। আল্লাহপাকের হুকুম হলে আবার দুই পক্ষ মিলেও যেতে পারে।’