ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 137

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরবফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন নয়। ওয়াশিংটনকে এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব ও ইসরায়েল আগ্রহী।

কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তার ওই দাবি আজ বুধবার সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এই শর্ত পূরণের পরেই তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক দিন ধরেই ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। কিন্তু সৌদি আরব মার্কিন প্রশাসনের অনুরোধেও এ সংক্রান্ত চুক্তিতে যুক্ত হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বর্তমান টার্গেট সৌদি আরব। কারণ দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলেই একই পথে হাঁটবে অনেক মুসলিম দেশ। তাই সৌদি আরব অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপে হাঁটছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ চালু করলো পাকিস্তান

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নয়: সৌদি আরব

আপডেট সময় ০৯:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে কোনোরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন নয়। ওয়াশিংটনকে এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরব ও ইসরায়েল আগ্রহী।

কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তার ওই দাবি আজ বুধবার সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এই শর্ত পূরণের পরেই তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনেক দিন ধরেই ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্য কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইসরায়েলের সঙ্গে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। কিন্তু সৌদি আরব মার্কিন প্রশাসনের অনুরোধেও এ সংক্রান্ত চুক্তিতে যুক্ত হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বর্তমান টার্গেট সৌদি আরব। কারণ দেশটি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলেই একই পথে হাঁটবে অনেক মুসলিম দেশ। তাই সৌদি আরব অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপে হাঁটছে।