ঢাকা ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সরকারের সিদ্ধান্ত বিএনপির কথার সঙ্গে মিলে গেছে : এ্যানি Logo রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের খবরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শিবিরের আনন্দ মিছিল Logo কেরানীগঞ্জে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে “কোরআন দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo আওয়ামী লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল চায় এনসিপি Logo বিক্ষোভে উত্তাল তেল আবিব Logo আবারও শাহবাগ ব্লকেড জুলাই মঞ্চের Logo উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগের দাবি ‘কুচক্রীমূলক’ দাবি করে বেকার মুক্তি পরিষদের সংবাদ সম্মেলন Logo গাইবান্ধায় আ.লীগ কার্যালয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ Logo কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াতে তাৎখনিক আনন্দ মিছিল

বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিলেন ওবায়দুল কাদের

বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিলেন ওবায়দুল কাদের

সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্রের পথ ছাড়তে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে আজকের এই সমাবেশ থেকে আলটিমেটাম দিলাম, ৩৬ দিনের আলটিমেটাম, ৩৬ ঘণ্টা নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঠিক হয়ে যান। ৩৬ দিনের মধ্যে আগুনসন্ত্রাস ছাড়তে হবে। ৩৬ দিনের মধ্যে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ৩৬ দিনের মধ্যে যদি বিএনপি সঠিক পথে না আসে, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির কালো হাত গুঁড়িয়ে দেব।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে তারা ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়, তারা তাদের নেত্রীর জন্য কিছু করতে পারেনি। শেখ হাসিনার মহানুভবতায় আজ তিনি বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মির্জা ফখরুলের লজ্জা করে না? ৩৬ মিনিটও তারা তাদের নেত্রীর জন্য আন্দোলন করতে পারেনি। গোলাপবাগের গর্তে পড়ে ফখরুল এখন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। তিনি বলেন, কারো ভিসানীতির তোয়াক্কা আমরা করি না। বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, কারো নিষেধাজ্ঞা আমরা তোয়াক্কা করি না। এই দেশ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি, কারো নিষেধাজ্ঞা মানার জন্য নয়। তুমি কে? সাত-সমুদ্র, তেরো নদীর আটলান্টিকের ওপাড় থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে?

যারা নিষেধাজ্ঞার কথা বলে, স্যাংশনের কথা বলে, তাদের দেশে গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের নিজেদের দেশে মানবতা ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। তারা কিছুই করতে পারছে না। কোনো নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি আমরা মানি না। কারো খবরদারিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না, বাংলাদেশের নির্বাচন চলবে না। বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফখরুল ছটফটিয়ে ঘুমায় না রাতে। উপরে-উপরে নেতাকর্মীদের বোঝানোর জন্য বড় বড় কথা বলে। হায়রে কষ্ট, হায়রে দুঃখ। এত লোটা, এত কম্বল, এত বিছানা নিয়ে সমাবেশ করল, কোনো কাজ হয় না।

এ সময় নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে, কষ্ট আছে, দুঃখ আছে কিন্তু আমাদের একজন নেতা আছে। যে নেতা ঘুমায় না। আজকের এই দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য শেখ হাসিনাকেই এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। তিনি যা করতে পারবেন, তাই বলেন। কোনোদিনও মিথ্যা কথা বলেন না। তার মতো ঈমানদার নেতা নেই। তিনি যত দিন আছেন, আল্লাহর আশীর্বাদ বাংলাদেশের সঙ্গে আছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের সিদ্ধান্ত বিএনপির কথার সঙ্গে মিলে গেছে : এ্যানি

বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিলেন ওবায়দুল কাদের

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্রের পথ ছাড়তে বিএনপিকে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে আজকের এই সমাবেশ থেকে আলটিমেটাম দিলাম, ৩৬ দিনের আলটিমেটাম, ৩৬ ঘণ্টা নয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঠিক হয়ে যান। ৩৬ দিনের মধ্যে আগুনসন্ত্রাস ছাড়তে হবে। ৩৬ দিনের মধ্যে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। ৩৬ দিনের মধ্যে যদি বিএনপি সঠিক পথে না আসে, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপির কালো হাত গুঁড়িয়ে দেব।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে তারা ৩৬ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়, তারা তাদের নেত্রীর জন্য কিছু করতে পারেনি। শেখ হাসিনার মহানুভবতায় আজ তিনি বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মির্জা ফখরুলের লজ্জা করে না? ৩৬ মিনিটও তারা তাদের নেত্রীর জন্য আন্দোলন করতে পারেনি। গোলাপবাগের গর্তে পড়ে ফখরুল এখন সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। তিনি বলেন, কারো ভিসানীতির তোয়াক্কা আমরা করি না। বার্তা দিয়ে দিচ্ছি, কারো নিষেধাজ্ঞা আমরা তোয়াক্কা করি না। এই দেশ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি, কারো নিষেধাজ্ঞা মানার জন্য নয়। তুমি কে? সাত-সমুদ্র, তেরো নদীর আটলান্টিকের ওপাড় থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে?

যারা নিষেধাজ্ঞার কথা বলে, স্যাংশনের কথা বলে, তাদের দেশে গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের নিজেদের দেশে মানবতা ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। তারা কিছুই করতে পারছে না। কোনো নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি আমরা মানি না। কারো খবরদারিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলবে না, বাংলাদেশের নির্বাচন চলবে না। বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ফখরুল ছটফটিয়ে ঘুমায় না রাতে। উপরে-উপরে নেতাকর্মীদের বোঝানোর জন্য বড় বড় কথা বলে। হায়রে কষ্ট, হায়রে দুঃখ। এত লোটা, এত কম্বল, এত বিছানা নিয়ে সমাবেশ করল, কোনো কাজ হয় না।

এ সময় নির্বাচন যথাসময়ে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে, কষ্ট আছে, দুঃখ আছে কিন্তু আমাদের একজন নেতা আছে। যে নেতা ঘুমায় না। আজকের এই দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য শেখ হাসিনাকেই এ দেশের মানুষ বিশ্বাস করে। তিনি যা করতে পারবেন, তাই বলেন। কোনোদিনও মিথ্যা কথা বলেন না। তার মতো ঈমানদার নেতা নেই। তিনি যত দিন আছেন, আল্লাহর আশীর্বাদ বাংলাদেশের সঙ্গে আছে।