নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় উপজেলার ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার জেলা সদরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। সকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেনসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা থানায় ভুক্তভোগী মা-মেয়ের সাক্ষ্য নেন। দুপুরে পুলিশ পাহারায় মা-মেয়েকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার দিনগত রাত আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা একব্যক্তি চরকাজী মোখলেছ গ্রামের উত্তর তালতলা এলাকায় একটি টিনের তৈরি বসতঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে। এ সময় গৃহকর্তা বাড়িতে ছিলেন না। ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা খুলে দিলে অজ্ঞাতনামা আরও দুজন ভেতরে ঢুকে। এ সময় ঘরে ঘুমে থাকা গৃহবধূ (৩০) টের পেয়ে চোর বলে চিৎকার করলে অজ্ঞাতনামা তিনজন ওড়না ও কাপড় দিয়ে তাঁর হাত, মুখ ও পা বেঁধে ফেলে। এ সময় বসতঘরের পাশের কক্ষে থাকা তার ১২ বছর বয়সী মেয়ে মা বলে ডাক দিলে তারা তারও হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে অজ্ঞাতনামা দুজন মাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং একজন মেয়েকে ধর্ষণ করে। এরপর বসতঘর থেকে এক জোড়া কানের দুল, দুটি নাকফুল ও নগদ ১৭ হাজার ২২৫ টাকা নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।’
‘বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাই জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দিয়ে জানালে তাৎক্ষণিক চরজব্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত জব্দ করে।‘ জানান এসপি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগেী ওই নারী বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত একজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবুল খায়ের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের প্রয়াত গোলাপ রহমানের ছেলে।’
অন্য দুজনকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের সবাইকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এসপি।